Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জনতার আদালতে বিচার হবে : রব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৫ এএম

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে, গায়েবি মামলা বন্ধ করতে হবে, নাইলে খবর আছে। জনতার আদালতে বিচার হবে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
আ স ম আবদুর রব বলেন, সংসদ ভেঙে দিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিন, তা না হলে জাতির ক্ষতি হবে।
তিনি বলেন, এটা কোনো দলের জনসভা নয়, এটা জাতীয় ঐক্যের জনসভা। সরকারকে বলবো, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে দেখে যান, মানুষ কিভাবে জেগে উঠেছে। এখন আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করলে হবে না, গ্রামে-গঞ্জে যেতে হবে। দাবি মেনে নিন, নাইলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ১১ নভেম্বর, ২০১৮, ৮:৩৫ এএম says : 0
    রব সাহেব আমি আপনাকে ১৯৬৫ সালে ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করেই পেয়েছি যতটা আমার মনে আছে। আপনি তখন দেখেছেন পাকিদের অত্যাচার। রাজনৈতিক নেতাদের বিরিদ্ধে মামলা দিয়েই তাকে জেলে পুরে রাখা হতো। যেমন ধরুন ’৬৫ সালে সেসময়ের আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মুজিবর রহমান ছয় দফার কর্মসূচী দেয়ার সাথে সাথে আইয়ুব খান তাকে আগারতলার ষড়যন্ত্রের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পুরে রেখেছিল। আর এধরনের মামলা ও জেলকেই বলা হয় রজনৈতিক মিথ্যা মামলায় রাজনৈতিক বন্দী হয়ে জেল খাটচ্ছেন। সেসময়ে আপনারা চার কুতুব নেতৃত্ব দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানকে বংগবন্ধু উপাধি দিয়ে “জেলের তালা ভাংবো শেখ মুজিবকে আনবো’ আমরা এই শ্লগান দিয়ে ওনাকে আপানাদের নেতৃত্বে আমরা জেল থেকে বেড় করে এনেছিলাম। তাকে বের করার জন্যে আপনারা আদা-জল খেয়ে রাস্তা কাপিয়ে দেশ গরম করে নেতাকে জেল থেকে ফুলের মাল দিয়ে বের করে এনেছিলেন। এইধরনের মামলাকে বলা হতো রাজনৈতিম মিথ্যা মামলা। কিন্তু খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়েছে কিন্তু তিনি জেলে যান নি বহাল তবীয়তে বাসায় থেকে আরাম আয়েশে রানীর মত রাজনীতি করে বেড়িয়েছেন দেশে জ্বালাও পোড়াও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেও বহালতবিয়তে বিলাশিতার সাথে জীবন কাটিয়েছে। এই সময়ে তাকে জেলে রাখা হলে বলা যেত মিথ্যা মামলায় রাজনৈতিক বন্দী হিসাবে জেলে রাখা হচ্ছে। আমরা বহুবার বঙ্গবন্ধুকে সহ সেসময়ের অনেক নেতাকা রাজনৈতিক ভাবে জেল খাটতে দেখেছি ইদানিং কালে এরশাদকে দেখেছি খালেদা জিয়ার আক্রশের ফলে বিনা বিচারে জেল খাটতে যাকে বলা যায় রাজনৈতিক ভাবে রাজবন্দী। আমারা আবার ফখরুল-মঈন আমলে দেখেছি খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক ভাবে রাজবন্দি হয়ে জেল খাটতে। এরপর খালেদার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় টাকা অপচয় করার দায়ে মামলা হয়েছে সেসব মামলার রায় হবার আগে খালেদাকে জেল খাটতে দেখা যায়নি বা জেলে রাখা হয়নি। এখন খালেদা জিয়ার সাজা হয়ে গেছে এবং তিনি সাজা খাটছেন এটাই মহা সত্য। তাকে নিয়ে একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ দাবীদার। একসময়ের ডাকশেটে ছাত্র নেতা যদি বাস্তবতা ভুলে গিয়ে মামুর বাড়ির আবদারের মত করে খালেদাকে.... রাজবন্দী বলেন তাহলে তাকে কি বলা যায়?? আমার মনে হয় সেই প্রবাদ বুড় বয়সে শিশুদের মত হয়ে যায় তাই নানা বাহনা মানে মামুর বাড়ির আবদার করে। এখন রব সাহেব কামাল সাহেবদের সেই অবস্থাই হয়েছে তারা সেটা তাদের কথা বর্তায় বুঝিয়েছেন সেজন্যেই জনগণ তাদের কথার মূল্যায়ন করছেনা এটাই মহা সত্য। তাহলে এখন বলতে হয়না আপনার বয়স হয়েছে আপনার এখন শিশু শুল্ভ আচরণ এসে গেছে। কাজেই রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে এখন বিদায় নিন। নয়ত আপনার এসব আবোল তাবোল কথা আপনাকে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করবে এটাই মহা সত্য। আল্লাহ্‌ আমাদেরকে সত্য পথে থেকে সততার সাথে চলার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আবদুর রব


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ