Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

স্ত্রী-মেয়েকে দিয়ে দেহ ব্যবসা খুন করে পুলিশকে ফোন

বালাগঞ্জ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০১৮, ৫:০৫ পিএম

সিলেটের ওসমানীনগরে মাটি খুঁড়ে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার হওয়ার কয়শ ঘণ্টার মধ্যেই এ ব্যাপারে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় আটক হওয়া আব্দুল বারী ওরফে কানা বারী (৪০) ওই নারী হত্যায় নিজে জড়িত থাকার দায় পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তার দেওয়া তথ্য ও স্বীকারোক্তি মতে, আব্দুল বারীর কথিত স্ত্রী পাখি বেগম (২০), মেয়ে মোনালিসা (১৩) ও তাজপুর ইউপির মজলিসপুর গ্রামের জনাব আলীর ছেলে সেলিম মিয়াকেও (৩৫) আটক করা হয়েছে। এমন তথ্য জানিয়েছেন ওসমানীনগর থানা পুলিশের একাধিক সূত্র।
পুলিশের সূত্রমতে, খুন হওয়া নারী ও কথিত স্ত্রী-মেয়ে এবং বিভিন্ন নারীকে দিয়ে নিজের বাড়িতেই দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন আব্দুল বারী। নিহত নারীকে কয়েকজন মিলে ধর্ষণের পর হত্যা করেন বলে বারী পুলিশের কাছে জানান। তবে ওই নারীকে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে তা জানাননি বারী। অজ্ঞাত নারীর এখনো কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ধৃত আব্দুল বারী উপজেলার দয়ামীর ইউপির দয়ামীর খালপাড় গ্রামের মৃত হুরমত উল্যার ছেলে।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, সোমবার বেলা ১১টার দিকে আব্দুল বারী ও অন্য আরেকজন থানায় ফোন করে দয়ামীরে অজ্ঞাত এক নারীকে খুন করে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে বলে জানান।
খবর পেয়ে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার অনুসন্ধান করে এর সত্যতা পায়। ঘটনার পুরো সংবাদ জানতে কৌশলে আব্দুল বারীকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ওই নারীকে তার বাড়িতে রোববার রাতে খুন করে দয়ামীর বাজারের পশ্চিমে মাটিচাপা দিয়ে লাশ গুমের কথা স্বীকার করেন। খুন করতে তাকে আরও কয়েকজন সহযোগিতা করেছেন বলেও জানান বারী।
নিহত নারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি। আব্দুল বারী খুন হওয়া নারী ও তার কথিত স্ত্রীসহ বিভিন্ন নারীদের দিয়ে নিজের বাড়িতেই দেহ ব্যবসা পরিচালনা করতেন।
সোমবার দুপুরে দয়ামীর ইউপির দয়ামীর বাজারের কনাইশাহ (র.) মাজারের পশ্চিম পাশ থেকে ওই নারীর লাশ তোলা হয়। এর আগে রোববার রাতে ওই অজ্ঞাত নারীকে হত্যা করা হয়।
ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম আল মামুন জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। বারীসহ আটককৃতদের থানায় রেখে এ বিষয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্ত্রী-মেয়েকে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ