Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাল পবিত্র আখেরি চাহার সোম্বা

মো. আবদুর রহিম | প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০১৮, ৪:১১ পিএম
কাল হিজরি বর্ষের সফর মাসের শেষ বুধবার, পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা। এ দিনে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জ্বরমুক্ত হয়ে সর্বশেষ গোসল করেন। গোসল শেষে নাতিদ্বয় হযরত ইমাম হাসান (রা.), হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) এবং মা ফাতেমা (রা.) কে ডেকে এনে তাদের সাথে সকালের নাস্তা করেন। হযরত বেলাল (রা.) এবং সুফফাবাসীগণ বিদ্যুতবেগে এ সুসংবাদ মদিনার ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দেন। এ সুসংবাদে সাহাবায়ে কেরামগণের মধ্যে আনন্দের ঢেউ খেলে যায়। তারা বাঁধভাঙা স্রোতের ন্যায় দলে দলে এসে হুজুর (সা.)-কে একনজর দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠেন।
 
হুজুর (সা.)-এর রোগমুক্তিতে সাহাবায়ে কেরাম এতটাই খুশী হয়েছিলেন যে, হযরত আবুবকর সিদ্দিক (রা.) তৎকালীন সময়ে ৫ হাজার দিরহাম গরীবদের মধ্যে বিলি করেছিলেন। হযরত ওমর (রা.) দান করেন ৭ হাজার দিরহাম। হযরত ওসমান (রা.) দান করেছিলেন ১০ হাজার দিরহাম ও হযরত আলী (রা.) দান করেছিলেন ৩ হাজার দিরহাম। ধনী ব্যবসায়ী হযরত আবদুর রহমান (রা.), ইবনে আউফ (রা.) ১০০ উট আল্লাহর রাস্তায় বিলিয়ে দেন। রাসূল (সা.)-এর সামান্য আরামবোধের কারণে সাহাবীগণ কিভাবে জান-মাল উৎসর্গ করতেন এটাই তার সামান্য নমুনা। সুবহান আল্লাহ।
 
রাসূল (সা.) এর রোগমুক্তির দিবস আখেরি চাহার সোম্বার দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে পারস্যসহ এশিয়ার পাক-ভারত উপমহাদেশে অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে এ দিনটি পালন করা হয়। যারা এ দিবস পালনকে বিদ’আত বলে অপপ্রচার করে তারা এ ঘটনাকে মুসলমানদের হৃদয় থেকে মুছে ফেলার জন্যই তা করে। এরা সাহাবায়ে কেরামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ইমান হারা হচ্ছে। অথচ পবিত্র কুরআনে পূর্ববর্তী অনেক ঘটনার বর্ণনা রয়েছে মানুষকে স্মরণ ও সতর্ক করে দেয়ার জন্য। ফেরাউনের ঘটনা, হযরত ইব্রাহীম (আ.) অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপের এবং মুক্তির ঘটনা পবিত্র কুরআনে বর্ণিত বহু অতীত ঘটনারই অংশ।
 
কুরআনের এসব অতীত ঘটনা স্মরণ করে মানুষ হেদায়েতের আলো লাভ করে। আখেরি চাহার সোম্বার দিনে গোসল শেষে শোকর গোজার হিসেবে দু’রাকাত নফল নামাজ আদায় শেষে রোগ থেকে মুক্তির দোয়া ও দান-খয়রাত হচ্ছে বুজুর্গানে দ্বীনের আমল। আজ আখেরি চাহার সোম্বার দিবস স্মরণে মুসলীম বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও বিভিন্ন দরবার, মাজার, খানকায় নফল নামাজ, ওয়াজ-নসিহত, জিকির-আজকার, মিলাদ, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এদিন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি ছুটির দিন এবং অফিস-আদালতে ঐচ্ছিক ছুটির দিন।


 

Show all comments
  • NAZRUI ISLAM ৬ নভেম্বর, ২০১৮, ৪:৪২ পিএম says : 0
    ভাল কিছু জানলে/পড়লে মনকে পবিত্র রাখতে ইচ্ছা লাগে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চাহার সোম্বা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ