ঢাকার ধামরাইয়ে মসজিদের মাইকে ঘোষণার মাধ্যমে লোকজন জড়ো হয়ে এলাকাবাসী গণপিটুনি দিয়ে এক ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।
গতকাল সোমবার দিনগত রাতে ধামরাই সদর ইউনিয়নের ছোট আশুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মিলন মিয়া (৩০) চাঁদপুর জেলার বাসিন্দা। এ সময় আহত হয়েছেন ২০ সন্ত্রাসীসহ ৩০জন।
এলাকাবাসী জানায়, ধামরাই সদর ইউনিয়নের ছোট আশুলিয়া গ্রামের হাজী আজিজুল ইসলামের সঙ্গে ৬ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে একই গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের।
ওই জমিতে রোববার বাউন্ডারির কাজ করছিল আজিজুল ইসলাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার দিবাগত রাতে গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ইব্রাহিম ঢাকার সাভার থেকে অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী জমি দখলের জন্য ভাড়া করে আনে।
রাত ৮টার দিকে ওই সন্ত্রাসীরা অর্তকিতভাবে নির্মাণাধীন বাউন্ডারি ভাংচুর ও নির্মাণ শ্রমিকসহ আজিজুল ইসলামের ওপর হামলা করে।
এ সময় তারা চিৎকার করলে স্থানীরা এগিয়ে এলে অস্ত্রের ভয় দেখায় সন্ত্রাসীরা। উপায় না পেয়ে এলাকাবাসী স্থানীয় মসজিদের মাইকে এলাকায় ডাকাত পড়েছে বলে ঘোষণা দেয়। এ খবর পেয়ে এলাকার নারী পুরুষ লাঠিসোটা নিয়ে চলে আসে।
অবস্থা বেগতিক দেখে সন্ত্রাসীরা পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু জনতা তাদেরকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে এবং তাদের বহনকারী মাইক্রোবাস ভাংচুর করে। সেই সঙ্গে মো. মিলন মিয়া নামে এক ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে।
তারা সাগর (২৩) ইব্রাহিম (৩৮) ডালিম (২৫)মমিন (২৭)সহ ৭ সন্ত্রাসীকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায় এবং পরে তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলায় আহত কলেজের শিক্ষকসহ আরও ২৫ জনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী খুন হওয়ার ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান ওসি।