পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে চলমান আন্দোলনকে সফল করতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম। গতকাল মতিঝিলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি যোগদানের ঘোষণা দেন। গত ৩ নভেম্বর এ বিষয়ে জানানোর কথা ছিল তাঁর। সেদিন ৫ নভেম্বর তাঁর অবস্থান জানাবেন বলে ড.কামাল হোসেনের কাছ থেকে সময় নিয়েছিলেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগদানের ঘোষনার পর কাদের সিদ্দিকী তার সহকর্মীদের নিয়ে ড.কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারে যান। সেখানে ড. কামাল হোসেন কাদের সিদ্দিকীকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। এ সময় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, আজ আমি অনেক সৌভাগ্যবান। এমন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছেন, ঝুঁকি নিয়েছেন। এখন আমার আর কোনো চিন্তা নেই। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়ায় আমরা খুবই গর্বিত।
সংবাদ সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকী বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য এ মুহূর্ত থেকে আমি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিলাম। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে চলমান আন্দোলনকে সফল করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে থেকে ড. কামাল হোসেন আমাদের আইনি সহায়তা দেবেন আর আমরা বাকিরা দেশের জন্য যুদ্ধ করব। জাতির মুক্তির জন্য একসঙ্গে কাজ করব। কাদের সিদ্দিকী বলেন, শেখ হাসিনা দেশ চালানোর কারণে দেশের আজ এ পরিস্থিতি হয়েছে। এরপরও তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। অনেক দিন পরে হলেও তিনি আলোচনায় বসেছেন। যে মুহূর্ত থেকে আলোচনায় বসেছেন, সে মুহূর্ত থেকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সামান্য হলেও উন্নতি হয়েছে।
বঙ্গবীর বলেন, বি. চৌধুরী, কামাল হোসেন ও আমরা মিলে জাতীয় ঐক্য তৈরির প্রচেষ্টার কথা অনেক আগেই বলেছিলাম। ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসের অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। কামাল হোসেনের কথা শুনে তিনি আসেননি। সামনে নিশ্চয়ই আসবেন। সে প্রত্যাশায় রইলাম। তবে তিনি যদি মনে করেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আবার ক্ষমতায় আসবেন আর তার পুত্র মাহি বি চৌধুরী সংসদে থাকবে তাহলে বলবো তিনি ভুল করছেন। কেননা দেশের মানুষ আর প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। মানুষ চায় পরিবর্তন।
জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, আজকের এই দিনটি দেশের জন্য ল্যান্ডমার্ক। ঐক্য গঠন করতে তাঁর (কাদের সিদ্দিকী) যথেষ্ট অবদান রয়েছে। আমাদের এ লড়াই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই। ভোটের অধিকার আদায়ের লড়াই। তাঁর যোগদানের মধ্য দিয়ে লড়াইয়ের মাত্রা বেড়ে গেল।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে আ স ম রব বলেন, আপনাদের পায়ের তলার মাটি নেই। দেশের মানুষ বোকা নয়। ছলচাতুরি করে আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। ভোট জালিয়াতি জন্য ইভিএম চাচ্ছেন, ইভিএম বন্ধ করতে হবে। নির্বাচন করতে হলে সাত দফা মানতে হবে। যদি আমাদের দাবি না মানেন, যদি দেশের সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরী না করেন তাহলে যে পরিস্থিতির তৈরী হবে তার দায় সরকারকে নিতে হবে।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা মহসীন মন্টু কাদের সিদ্দিকীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা একসঙ্গে কাজ করব। দেশের মানুষ আশা নিয়ে সংলাপের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা আশা করি দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরী হবে। আপনাকে পেয়ে আমাদের শক্তি এবং সাহস আরও বেড়ে গেল। আমাদের আন্দোলনের বিজয় আরও সুনিশ্চিত হলো।
বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু বলেন, আমাদের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়ার জন্য মোবারাকবাদ জানাই। তাঁর যোগদানের মধ্য দিয়ে আন্দোলন আরও গতিশীল হবে এবং যৌক্তিক পরিণতি লাভ করবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, বিএনপি ভাইসচেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, গণফোরামের নেতা এডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, আ ও ম শফিকুল্লাহ, কৃষক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীর প্রতীক, নাসরিন সিদ্দিকী, ইকবাল সিদ্দিকী প্রমুখ।
এর আগে কাদের সিদ্দিকী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। ক্ষুদ্র পরিসরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা করেন। গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জোটে বিএনপি, নাগরিক ঐক্য, জে এস ডি, এখ্য প্রক্রিয়া আগে থেকেই রয়েছে। এবার এ জোটে যুক্ত হলো কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।