পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাগরিক ঐক্যের আহ্য়বাক ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকার আলোচনার নামে ছল চাতুরি করছে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান না হলে আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। আগামী ৬ নভেম্বরের সমাবেশ থেকে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মান্না বলেন, আমরা আমাদের চিঠি নির্বাচন কমিশনে দিয়েছি, প্রধানমন্ত্রীর দফতরে দিয়েছি। আমি আশা করি তারা চিঠি পেয়েছেন। আমরা অপেক্ষা করছি। তিনি বলেন, ৬ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ থেকে আমরা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবো। প্রধানমন্ত্রী শুনে রাখুন- ৬ তারিখের জনসভায় আমরা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবো। কিন্তু আন্দোলন মনে সহিংসতা নয়, ভাঙচুর নয়। কিছুই করি নাই, তাতেই তাদের যে অবস্থা, কিছু করলে কি হবে? সন্ত্রাস কাকে বলে, তা আপনারা করছেন। গুম-খুনের ইতিহাস আপনাদের সবচেয়ে বেশি। এইসব পথ বাদ দিয়ে একটা সুষ্ঠু সুন্দর পথে আসুন।
মান্না বলেন, আমরা যদি আলোচনায় সমস্যার সমাধান করতে পারি, তাহলে আন্দোলনে যাওয়া লাগবে না। কিন্তু আলোচনা হবে না বলে ছল চাতুরি করে ক্ষমতায় টিকে থাকবেন তা হবে না। যদি মনে করেন গতবারের মতো নির্বাচন করে পার পেয়ে যাবেন তবে মনে রাখবেন, এবার পালাবার কোনও পথ পাবেন না। এবার সবক্ষেত্রে লড়াইয়ের মোকাবিলা করে যেতে হবে।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, একটি সুস্থ, সুন্দর পথে আসুন। আমরা যদি সুন্দর আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে পারি তাহলে আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি দেয়ার প্রয়োজন পড়বে না। কিন্তু এটা নিশ্চিত জানেন, কোনো ছলচাতুরতা, ষড়যন্ত্র করে আন্দোলন বন্ধ করে দিয়ে ক্ষমতায় থাকবেন তাহলে আমরা আপনাদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করব।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা আরও বলেন, বিচার করবেন প্রধানমন্ত্রী, রায়ও দেবেন তিনি। আবার বলবেন তালগাছ আমার। আর আমরা বসে থাকবো? আমরা তালগাছ চাই না। একটি সুন্দর, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। এজন্য কঠোর কোনো কর্মসূচি না দিয়ে আলোচনার জন্য বসেছি। আমরা সন্ত্রাস, লুটপাটের কথা আনিনি, যৌক্তিক দাবি এনেছিলাম। কিন্তু আলোচনায় আমাদের কোনো দাবি মানা হয়নি। আপনি বিচার করবেন, রায় দেবেন আবার বলবেন তালগাছ আমার। আমাদের সেটা মানতে হবে?
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, প্রধানমন্ত্রীর যদি আপত্তি না থাকে তাহলে আমরা খোলামেলা আলোচনা করতে চাই। দেশের সবাই জানুক আমাদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে, কী আলোচনা হচ্ছে। আগেও বলেছি এখনও বলছি- একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। এটা আপনাকেই করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, অ্যাডভোকেট মো. আল আমিন, খন্দকার মো. মহিউদ্দিন প্রমুখ।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।