পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলায় মানহানির মামলায় আদালতে হাজির করার সময় রংপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের উপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এসময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ব্যারিস্টার মইনুলকে উপর্যপুরি চড়-থাপ্পড়ের পাশাপাশি তার উপর জুতা ও ডিম নিক্ষেপ করে। বেলা সাড়ে বারোটার সময় আদালত চত্বরে মইনুলের উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে রংপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটক দখলে নিয়ে ঝাড়ু মিছিল ও বিক্ষোভ করছে আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রোববার সকাল ১১টা থেকে তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে।
এদিকে আদালতে শুনানীর সময় নিজের উপর হওয়া হামলার বিষয়ে কথা বলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। আদালত চত্বরে তার উপর হওয়া হামলার বিষয়ে আদালতকে অবহিত করে হামলার বিচার চান ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। হামলায় তিনি আহত হয়েছেন বলেও আদালতকে অবহিত করেন তিনি।
শুনানীর পর ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের আইনজীবীরা সাংবাদিকদের বলেন, শুনানীর সময় আদালত ব্যারিস্টার মইনুলের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন, তবে হামলার বিষয়ে আদালত কিছু বলেননি।
মানহানির মামলায় আজ রোববার রংপুর আদালতে হাজির করার জন্য শনিবার সন্ধ্যায় রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয় ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেনকে।
আদালতে ব্যারিস্টার মইনুলকে হাজির করার সংবাদে সকাল ৯ টা থেকে রংপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের গেটে অবস্থান নেয় আওয়ামীলীগ এবং সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বেলা ১১টায় রংপুর জেলা যুব মহিলালীগ সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববির নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা ব্যারিষ্টার মইনুলের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ঝাড়ু মিছিল বের করে।
এসময় তারা মইনুলবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী তুহিন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রনির নেতৃত্বে নেতাকর্মীরাও বিক্ষোভে অংশ নেয়।
এদিকে হাজিরা দিতে আসা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কারমাইকেল কলেজের সাবেক জিএস শহিদুল ইসলাম মিজু আদালত প্রাঙ্গনে জানান, আমাদের হাজিরা আছে। কিন্তু আদালতের গেট দখলে নিয়ে যেভাবে ঝাড়ু মিছিল করা হচ্ছে। তাতে আমরা আদালতে প্রবেশ করতে পারছি না।
তিনি আরো বলেন, এভাবে আদালত প্রাঙ্গনে ঝাড়ু মিছিল করাটা স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় আঘাত বলে আমি মনে করি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।