Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৭ নভেম্বরের পর আর আলোচনা নয়

সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:২৬ এএম

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ৭ নভেম্বরের পর আর কোনো আলোচনা নয়। সংলাপ দীর্ঘ সময় চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, কারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এর মধ্যেই হয়ে যাবে। সব মিলিয়ে ৮৫টির মতো রাজনৈতিক দল সংলাপ চেয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) বলেছেন, সংলাপের জন্য ওনার দরজা সবার জন্য খোলা। কাজেই আমরা কাউকে নিরাশ করবো না। তবে ৭ তারিখের পরে সিডিউল ডিক্লেয়ার হয়ে গেলে আসলে আমাদের কর্মকান্ড আরও বিস্তৃত হয়ে যাবে। সে অবস্থায় সংলাপ দীর্ঘ সময় চালিয়ে সম্ভব হবে না।
গতকাল জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর আওয়ামী লীগের সহযোগী ও অঙ্গংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন।
সংলাপ কত দিন চলবে, জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ পর্যন্ত আমরা ঐক্যজোট, যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ করেছি। সংলাপে অংশ নেয়া পার্টি, সব মিলিয়ে ৮০টার মতো দল হয়ে যায়। এ পর্যন্ত আমরা ৩২টি আবেদন পেয়েছি। এর মধ্যে ১৪ দল এবং জাতীয় পার্টি ছাড়া ৩১টি আবেদন পেয়েছি। আমরা ৮ তারিখ পর্যন্ত যেতে পারছি না, কারণ সিডিউল ডিক্লেয়ার, নমিনেশন নানা বিষয় আছে। আমরা ৭ তারিখে শেষ করব। ৪ তারিখে ১৪ দল, ৫ তারিখে জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে আমরা বৈঠক করব। এরপর ইসলামী কিছু দল আছে, সিপিবির নেতৃত্বে বাম গণতান্ত্রিক জোটও সংলাপে অংশ নেবে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ নিয়ে সব সময় আশাবাদী হতে হয়। আমরা চাই, একটা সুষ্ঠু, ক্রেডিবল, এক্সেপ্টেবল, পার্টিসিপেটরি, ইনক্লুসিভ ইলেকশন। সেজন্য সবাই অংশ নিক, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। এর ব্যত্যয় হলে সেটা দেশের জন্য ভাল হবে না। আমরা সতর্ক আছি, কারণ কারও মনে যদি হীন কোনো মতলব থাকে, কেউ যদি আজকে সংলাপে এসে লোকদেখানো অংশ নিয়ে ভেতরে- ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতির পাশাপাশি নাশকতার ছক আঁকে, সহিংসতার দিকে পা বাড়ায়, সেদিকেও আমরা সতর্ক আছি।
নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে মন্ত্রী কাদের বলেন, আমরা সংলাপও করছি, নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছি। কেউ যদি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করে, সেটার সমুচিত জবাবের প্রস্তুতিও আমরা নিচ্ছি। নির্বাচনের প্রস্তুতির নামে লোকদেখানো সংলাপের পেছনে নির্বাচন বানচালের মতো যেকোনো অপতৎপরতার বিষয়ে সতর্ক আছে আওয়ামী লীগ।
সংলাপে বিএনপি সন্তুষ্ট নয়, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি বলেন, সবাই তো আর সন্তুষ্ট হবেন না। আমরা দলনেতার বক্তব্যেকেই প্রধান্য দিচ্ছি। ড. কামাল হোসেন কিন্তু বলেছেন, ভাল আলোচনা হয়েছে। কাজেই আমরা সেটা নিয়েই আপাতত থাকি। গতকাল (শুক্রবার) বি চৌধুরীর নেতৃত্বে যে সংলাপ হয়েছে সবাই কিন্তু একই সুরে কথা বলেছেন। মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনা, বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব এ ব্যাপারে কিন্তু কোনো দ্বিমত তারা করেননি। এ ব্যাপারে আমাদের মতোই জোরালো বক্তব্য তারা রেখেছেন।
কাদের বলেন, আমার মনে হয়, কিছু কিছু বিষয়ে তাদের দাবি-দাওয়া ছিল। আমরা তাদের সেগুলো মেনে নিতে রাজি হয়েছি। আমাদের নেত্রী বলেছেন, এসব দাবির মধ্যে যেসব গ্রহণযোগ্য, সংবিধান লংঘন করবে না, সংবিধান সংশোধন করতে হবে না-সেসব মেনে নিতে কোনো আপত্তি নেই। কিছু বিষয় আছে ইলেকশন কমিশনের ব্যাপার। ইলেকশন কমিশন সিদ্ধান্ত নিবেন।
জাতীয় পার্টি (জাপা) মহাজোটে থাকবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে আমাদের যারা প্রতিপক্ষ তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কিনা তার উপর নির্ভর করছে। এখন মেরুকরণটা যেখানে গিয়ে দাঁড়াবে সমীকরণ এলায়েন্স ঠিক সে রকম হবে।#



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওবায়দুল কাদের


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ