রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চিনা সিএসসির অধীনে কর্মরত বাঙালি শ্রমিকদের আন্দোলনের দাবি অবশেষে পূরণ হতে চলেছে। এতে খনি কতৃপক্ষের সাথে শ্রমিকদের ঐক্য বৃদ্ধি পেয়ে খনির উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ার আশা প্রকাশ করছেন খনির কর্মকর্তা ও শ্রমিক নেতারা।
এদিকে খনির শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা বলেছেন, খনি কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে যখন শ্রমিক নেতারা তাদের দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণের লক্ষ্যে ব্যস্ত, ঠিক সেই সময় একটি মহল খনিকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র করছে। একটি মহলের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির খনি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, খনি শ্রমিক ইউনিয়নের দীর্ঘ দিনের দাবি শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা, ফেইজ বোনাস, প্রফিট বোনাস, নৈমিত্তিক ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি, সরকারি ছুটি ও ঈদ উৎসব ছুটি বাস্তবায়নের জন্য গত অক্টোবর মাসের ২০ তারিখে, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যানের সাথে তার কার্যালয়ে একটি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা বৈঠকে শ্রমিকদের রেশনিং ভাতা মাসিক এক হাজার ৫০০ টাকা, পাঁচ হাজার টাকা ফেইজ বোনাস, ২০ হাজার টাকা প্রফিট বোনাস বছরে ১০দিন নৈমিত্তিক ছুটি, ৫২দিন সাপ্তাহিক ছুটি, ১০দিন সরকারি ছুটি ও ছয়টি ঈদ-উৎসব ছুটি দেয়ার অঙ্গীকার করে পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান। যা চলতি নভেম্বর মাস থেকে বাস্তবায়ন হবে। খনি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আরো বলেন, পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যানের সাথে শ্রমিকদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ খনির পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই শ্রমিক নেতা আরো বলেন, শ্রমিক নেতারা যখন শ্রমিকদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে, ঠিক সেই সময় গত অক্টোবর মাসের ২৮ তারিখে একটি ষড়যন্ত্রকারী মহল শ্রমিকদের ভুল বুঝিয়ে খনির ভেতর মিছিল মিটিং করার চেষ্টা করেছে। এতে করে খনির প্রথম শ্রেণির এই কেপিআই এলাকাটিকে পুনরায় অশান্ত করার অপচেষ্টা করছে একটি মহল। আর তাদের সেই কর্মসূচির সাথে বড়পুকুরিয়া শ্রমিক ইউনিয়নের কোনো সম্পক নেই বলেও তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন।
এদিকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফজলুর রহমান বলেন, খনি শ্রমিকদের দীর্ঘ দিনের দাবি পর্যায়ক্রমে পূরণ করা হচ্ছে। এতে করে শ্রমিকদের সাথে খনি কর্তৃপক্ষের বন্ধন আরো বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে খনিতে কয়লা উত্তোলনও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।