Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

তফসিল পেছাতে ইসিকে ঐক্যফ্রন্টের চিঠি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০১৮, ৪:৫০ পিএম | আপডেট : ৫:৪১ পিএম, ৩ নভেম্বর, ২০১৮

একাদশ জাতীয় নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে নিবাচন কমিশন (ইসি) তে।
আজ শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা রফিকুল ইসলাম এ চিঠি নিয়ে রওয়ানা হয়েছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনের পক্ষ থেকে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে। রফিকুল ইসলাম পথিক গণফোরামের গণমাধ্যম কর্মকর্তা।

গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু ইনকিলাবকে বলেন, সংলাপ শেষ না হওয়ায় পর্যন্ত জন্য যেন তফসিল ঘোষণা করা না হয়, সে জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সংলাপ শেষ হলে যেন তফসিল ঘোষণা করা হয়, সে বিষয়টি চিঠি উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর পাঠানো চিঠি ড. কামাল বলেছেন, তফসিল ঘোষণার তারিখ নির্ধারণে কমিশন অপেক্ষা করলে রাজনৈতিক দল ও জনগণের মধ্যে কমিশনের প্রতি আস্থা বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ড. কামাল চলমান সংলাপের বিষয়টি ইসির দৃষ্টিতে আনেন। তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে বসতে ইচ্ছুক। চিঠিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, তিনি (কাদের) বলেছেন ৮ তারিখের পর ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গ প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের বিষয়টি বিবেচনায় আছে।

 



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ৪ নভেম্বর, ২০১৮, ৭:৪৯ পিএম says : 0
    আমরা সাধারন জনগণ মনে করি যেহেতু সরকার সংলাপে বিশ্বাসী এবং তার প্রমাণও তারা দিয়েছেন ধর্য্য ধরে প্রতিপক্ষের কথা শুনে তাদের প্রশ্নের জবাব এমন ভাবে দিয়েছেন যে, প্রতিপক্ষের কোন জবাব দেয়ার ছিল না। এখন প্রতিপক্ষ সেই সব উত্তরের উপর জবাব খুঁজে আবার পুনরায় বসার জন্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এরকারন জননেত্রী শেখ হাসিনা সংলাপের সময়ে বলেছিলেন জনগণের স্বার্থে আবারো বসার প্রয়োজন হলে তিনি বসবেন। কাজেই এটা নিশ্চিত যে, জননেত্রী শেখ হাসিনা তার ওয়াদা রাখবেন। কাজেই নির্বাচন কমিশন এখন সরকারের প্রতিপক্ষ তফসিল ঘোষনার জন্যে জনগণের স্বার্থের কথা বলে সময় চেয়েছেন এবং সরকারি দলের মন্তব্য ৮ তারিখের পর প্রধানমন্ত্রী সংলাপে বসার বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছেন তখন নির্বাচন কমিশন চাইলে কয়েকদিন সময় দিতে পারেন এটাই আমাদের বিশ্বাস। তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যে বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছে সে বিষয়ে তাদের প্রথমবারেই প্রস্তুত থাকা উচিৎ ছিল। কিন্তু ফ্রন্টের দূরদর্শিতার অভাবে তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হেরেগিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কোনভাবেই দোষারুপ করতে পারছে না এটাই আমরা বুঝেছি। এবারো তারা দূরদর্শিতার পরিচয় কতটা দিবেন সেটাও একটা প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছ। কারন সরকারি দল অপর একটা যুক্তফ্রন্টের নেতাদের সাথে আলাপে তাদেরকে সন্তুষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে, কাজেই এখন খেলার বলটা পুরো পুরি সরকারি দলের দখলে এবং তারা যদি ভাল ভাবে বলটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে তাহলে এবারো ঐক্যফ্রন্ট সুন্দর ভাবে গোল খেয়ে ফিরে আসবেন এটাও আমরা বুঝতে পেরেছি। তাই আল্লাহ্‌র কাছে আমাদের প্রার্থনা তিনি যেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অগ্রনায়ক ডঃ কামালকে সুবুদ্ধী দান করে দেশকে একটা সাম্ভব্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হাত থেকে রক্ষা করতে মর্জি হয়। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ