Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটের প্রবেশপথে ‘ধর্মীয় তোরণ’ বানাবেন আরিফ

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০১৮, ৩:৪৮ পিএম

সিলেট নগরীর বিভিন্ন মোড়গুলোতে ইতোমধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি চত্বর। কিছু কিছু স্থানে আছে তোরণও। এগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহের পশ্চিম-দক্ষিণ কোণের আল্লাহু পয়েন্ট, পশ্চিম-উত্তর কোণের পয়েন্ট ও পূর্ব-দক্ষিণ কোণের পয়েন্ট এগুলোতে রয়েছে ধর্মীয় ক্যালিগ্রাফি।

কিন্তু পূণ্যভূমিখ্যাত সিলেটের প্রবেশপথে কোন ধর্মীয় তোরণ নেই। অন্যতম প্রবেশ পথ ক্বীন ব্রিজের দুই পাশে যে দু’টি তোরণ বিদ্যমান এগুলোও স্বাভাবিক সাজের। তবে হযরত শাহজালাল (র.) মাজার শরীফের তিনটি প্রবেশ মুখে তিনটি তোরণ রয়েছে।

শাহী ঈদগাহের তিনটি চত্বর ব্যতিত অন্যান্য মোড়গুলো বিদ্যমান চত্বরগুলোর সাজসজ্জাও ভিন্নরূপের। এবার নতুন করে নগরীর যেকোন একটি প্রবেশপথে দৃষ্টিনন্দন ধর্মীয় তোরণ নির্মাণের ঘোষণা দিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

বাংলাদেশ মোয়াজ্জিন কল্যাণ পরিষদ সিলেট মহানগর নেতৃবৃন্দ গতকাল বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) সকালে মেয়রের কুমারপাড়ার ভবনস্থ কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় মতবিনিময়কালে পরিষদের নেতৃবৃন্দ মেয়রের কাছে নগরীর প্রবেশপথে ধর্মীয় তোরণ নির্মাণের দাবি জানান।

তিনশত ষাট আউলিয়ার অন্যতম শাহজালাল (র.) ও শাহপরাণ (র.) স্মৃতি বিজড়িত পূণ্যভূমির ভাবগাম্ভির্য্য বাইরের মানুষের কাছে তুলে ধরতে এরকম তোরণ প্রয়োজন বলে দাবি করেন মোয়াজ্জিন কল্যাণ পরিষদের নগর নেতৃবৃন্দ।

এর বিপরীতে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী তাদেরকে আশ্বস্থ করেন। তিনি বলেন এ বিষয়ে শিগগিরই উদ্যোগ নেয়া হবে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর মোয়াজ্জিন কল্যাণ পরিষদের উপদেষ্টা মাওলানা মুফতী খুবাইব, মাওলানা আছলাম রহমানী, মাওলানা হাফিজ আতিকুর রহমান, মাওলানা সৈয়দ মহসিন উদ্দিন, মুফতী মাওলানা খালেদ আহমদ ও মাওলানা কবির আহমদ, পরিষদের সভাপতি হাফিজ ইদ্রীছ আহমদ, সহ সভাপতি হাফিজ আনছার উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আব্দুল্লাহ আল মোহাইমিন প্রমুখ। এছাড়াও বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, মোয়াজ্জিনগণ ভাগ্যবান ব্যক্তি, তারা প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আজান দেন। তাদের আজান শুনে আমরা সঠিক সময়ে জামাতের সাথে নামাজ আদায় করি। মুয়াজ্জিনগণ সমাজের সম্মানিত ব্যক্তি, তাদেরকে যথাযথ মূল্যায়ন ও সম্মান করার আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

তিনি মোয়াজ্জিনদের প্রস্তাবকে সমর্থন করে নগরীর প্রবেশ মুখে একটি দৃষ্টিনন্দন তোরণ নির্মাণের আশ্বাস প্রদান করেন।



 

Show all comments
  • মোঃ আব্দুল কাদির ২ নভেম্বর, ২০১৮, ৭:৪৬ পিএম says : 0
    পবিত্র ও আধ্যাত্মিক নগরী পুণ্যভূমি সিলেটের ভাবমূর্তি তুলে ধরার জন্য নগরের মেয়র যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার জন্য আমি আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে মেয়র মহোদয় কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আরিফ

২ এপ্রিল, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ