Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাদের সিদ্দিকীর বাসায় ড. কামাল হোসেন

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে নৈতিক সমর্থন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০১৮, ১১:৩১ পিএম | আপডেট : ১২:১২ এএম, ১ নভেম্বর, ২০১৮

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে নৈতিকভাবে সমর্থন জানিয়েছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। গতরাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসভবনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সাথে বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। আগামী শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তার অবস্থান জানাবেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। এর আগে রাত আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত বৈঠক করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন ও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে তাদের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। আলোচনা শেষে নেতার নৈশভোজে মিলিত হন। বৈঠকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্য নেতাদের মধ্যে ছিলেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, গণফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, আ ও ম শফিকুল্লাহ, মোস্তাক আহমেদ প্রমুখ।
এর আগে মতিঝিলের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, তিনি দেশে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তিনি সবাইকে নিয়ে একটি সার্বিক ঐক্য চান। সার্বিক ঐক্যের মধ্যে অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং ড. কামাল হোসেনকে তিনি এক মঞ্চে দেখতে চান। কাদের সিদ্দিকী প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এটি দেশের রাজনীতিতে একটি মাইলফলক। বঙ্গবন্ধুর কন্যা বলেই তিনি এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন।
তিনি বলেন, রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই। রাজনীতি করতে হলে চাড়াল-মুচি তাদের সাথেও আলোচনায় বসতে হয়। যাদের কাছ থেকে আজকে পোড়াগন্ধ আসছে তার সাথেও আলোচনা করতে হয় এবং শেখ হাসিনা সেই কাজটিই করছেন। সরকার ডাকলে সংলাপে যাওয়ার কথা বিবেচনা করবেন বলেও জানান কাদের সিদ্দিকী। সংলাপের জন্য নিজের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে এই নেতা বলেন, সংলাপের জন্য আমি ফুটপাতে ৬৪ দিন কাটিয়েছি এবং ৩০৮ দিন আমি ঘরের বাইরে ছিলাম। ফুটপাতে যখন ছিলাম তখন এই সরকারেরই সন্ত্রাসীরা টয়লেটে ব্যবহার করার জন্য আমার বদনাটাও চুরি করে নিয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানেই পরিষ্কার করা হবে যে আসন্ন নির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ কী পদক্ষেপ নেবে বা কোন জোটে যাবে। আগামী ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন ড. কামাল হোসেন। এ ছাড়া আলোচনা সভায় থাকার জন্য বি চৌধুরীকেও দাওয়াত দেয়া হবে। সেদিন ওই আলোচনা সভায় তিনি তার রাজনৈতিক অবস্থান সবাইকে জানাবেন।
দেশে একটি সম্মানজনক রাজনৈতিক সমাজ চাই, স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই। আজকে শ্রমিকেরা মুখে কালি মাখালো। এই কালি দেশ ও জাতির মুখে মেখেছে। তিনি বলেন, প্রতি মুহুর্তে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হচ্ছে। সংলাপ ডাকার আগে দেশে অস্থিরতা ছিল। এখন তা অনেকটাই কেটে গেছে। এই উদ্যোগ এবং পদক্ষেপ মাইলফলক হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে লেখা থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বুধবার রাতে ডা. কামাল হোসেনকে তিনি নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এতে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীর প্রতীক, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম তারেক প্রমুখ।



 

Show all comments
  • ১ নভেম্বর, ২০১৮, ৪:২৭ এএম says : 0
    kadar siddique and kamal hissain is not factor in our poetical ground's that two leaders is not proper in Bangladesh .
    Total Reply(0) Reply
  • ১ নভেম্বর, ২০১৮, ৪:৩৮ এএম says : 0
    kadar saddique is not popular leader in Bangl proticial fields .so it was not fact .
    Total Reply(0) Reply
  • ১ নভেম্বর, ২০১৮, ৫:৫৯ এএম says : 0
    kader saddique is a hero in Bangladesh proticial fields .
    Total Reply(0) Reply
  • ১ নভেম্বর, ২০১৮, ৬:০৪ এএম says : 0
    kadar saddique is not popular leader in Bangladesh .
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ