পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংলাপ নিয়ে বিদেশিরা খুব খুশি এবং আশাবাদী। সংলাপ রাজনৈতিক পরিস্থিতি উন্নয়নকে উৎসাহী করবে বলেই তারা মনে করছেন। তারা খুব আশাবাদী যে সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটা বোঝাপড়ার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
গতকাল নিজ মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি এ্যানিক বর্ডিন এবং জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোতির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ দুই দেশের রাষ্ট্রদূত একসঙ্গে এসেছিলেন। আমি তাদের আমাদের দেশের ইলেকশন পদ্ধতিটা জানালাম। আমাদের দেশের তফসিল ঘোষণার পর যে আচরণবিধি সেটাতে তারা খুব খুশি। তিনি বলেন, আচরণবিধির বাইরে মন্ত্রী, এমপি- কারো যাওয়ার সুযোগ নেই। আচরণবিধি মেনে নেয়াই লেবেল প্লেয়িং ফিল্ডের প্রধান ফোকাস। তিনি বলেন, সরকার আছে থাকবে। তবে সরকারের কাজ সংকুচিত হয়ে যাবে। ইলেকশন কমিশনের আচরণবিধি আমরা সবাই মেনে নেবো। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি, যুক্তফ্রন্ট ও ঐক্যফ্রন্ট ছাড়াও অন্যান্য দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সংলাপের পক্ষে ছিল না। কিন্তু আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দূরদর্শিতার মাধ্যমে সংলাপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিষয়টি দলমত নির্বিশেষে দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেছেন। আন্তর্জাতিক বিশ্ব প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। গণমাধ্যমগুলোও সম্পাদকীয় লিখে সংলাপকে স্বাগত জানিয়েছে। এটাকে একটি অবিস্মরণীয় উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন সবাই। তবে যারা এর সমালোচনা করছেন সেটাও গণতন্ত্র।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ঐক্যফ্রন্ট ও যুক্তফ্রন্ট ছাড়াও অন্যান্য দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সংলাপ করবে। ঐক্যফ্রন্টে যেহেতু বিএনপি আছে তাই সময় স্বল্পতার কারণে তাদের সঙ্গে আলাদা করে সংলাপ করার সময় পাওয়া যাবে না। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আছে। যদি ৪, ৫ ও ৬ নভেম্বর শিডিউল ঘোষণা হয়ে যায়, তাহলে কীভাবে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ হবে? প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহ থেকে ফিরে যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ করবেন। প্রশ্ন আসতে পারে শুধু ঐক্যফ্রন্ট আর যুক্তফ্রন্টের সঙ্গেই সংলাপ হবে। সে ব্যাপারটা পরিষ্কার করা দরকার। আমরা অন্য দলের সঙ্গেও সংলাপে বসবো।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুটি মামলার রায় ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে সংলাপে এ ব্যাপারে আলোচনা কী হতে পারে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিষয়টি আদালতের। এটির সঙ্গে সংলাপকে সম্পৃক্ত করা বোধহয় ঠিক হবে না। তবে আলোচনার সুযোগ আছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আলোচনা কোনও নির্দিষ্ট করা নেই। যেকোনও বিষয়ে আলোচনা করতে পারবেন। সংবিধান সম্মতভাবে সংলাপের কথা বলা হয়েছে, কিছু কিছু বিষয় সংবিধানসম্মত নয়, সেক্ষেত্রে আলোচনা কী হবে এমন বিষয়ে তিনি বলেন, সংবিধান সম্মতভাবে সংলাপের আলোচনা, সংলাপে যেটা আলোচনার সুযোগ আছে, আলোচনা করে একটা ফলাফলও আসবে। তার আগে আমি এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করবো না। কী ফলাফল বেরিয়ে আসবে তা আমি আগে থেকে বলতে পারবো না।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।