রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা
নির্বাচনী প্রচার প্রচারণাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকরা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিদ্রোহী প্রার্থীর ৩টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ, তার নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্র ও ৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিদ্রোহী প্রার্থী আমিরুল ইসলামসহ কমপক্ষে ৪ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে জেলার বারহাট্টা উপজেলার চিরাম ইউনিয়নের চিরাম মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। চিরাম ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত বিদ্রোহী প্রার্থী আমিরুল ইসলাম জানান, আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিতব্য বারহাট্টা উপজেলার চিরাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে আমি আমার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বাহাদুরপুর গ্রামে গণসংযোগ শেষ করে নৈহাটী বাজারের দিকে যাওয়ার পথে চিরাম মোড়ে পৌঁছলে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী সাইদুর রহমানের চৌধুরীর কর্মী-সমর্থক বিপ্লব, কামাল, মুরাদ মানিক, মাজু ইউসুফের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আকস্মিকভাবে আমার ও আমার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এ সময় আমাদের সাথে থাকা ৩টি মোটরসাইকেলে তারা অগ্নিসংযোগ করে এবং আমিসহ আমার কর্মী সমর্থকদের মারধর করে। এতে আমিসহ শহীদ, নূর গনি, জালাল আহত হয়েছি। পরে কোন রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে নেত্রকোনায় এসে আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হই। তিনি আরো জানান, সাইদুর রহমানের লোকজন নৈহাটী বাজারে আমার নির্বাচনী ক্যাম্প ও ৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাইদুর রহমান চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি হামলা ও ভাঙচুরের কথা অস্বীকার করেন। বারহাট্টা থানার ওসি মো. সালেমুজ্জামান মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আহত স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিরুল ইসলাম গতকাল শুক্রবার সকালে নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবে এসে মোটরসাইকেলের বৈধ কাগজপত্র দেখিয়ে পুড়ে যাওয়া গাড়িগুলো তার বলে জানিয়েছেন। তিনি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনের কাছে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।