পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
১৮৯ জন যাত্রীকে নিয়ে জাভা সাগরে বিধ্বস্ত ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারের বিমানটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বের করতে অনুসন্ধানের এলাকা আরো বাড়ানো হয়েছে। অনুসন্ধান ও উদ্ধার কর্মকর্তারা বুধবার জানান, যে স্থান থেকে বিমানটির সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় সেখান থেকে অনুসন্ধান এলাকা ১৫ নটিক্যাল মাইল সম্প্রসারিত করেছেন তারা। খবর চ্যানেল নিউজএশিয়া ও রয়টার্স।
সোমবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানী জাকার্তা থেকে খনি শহর পাংকাল পিনাং দ্বীপের উদ্দেশ্যে উড্ডয়নের ১৩ মিনিট পর বিমানটির সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিমানটি এ সময় জাভা সাগরের উপর দিয়ে উড়ছিল।
এখন এটা মোটামুটি নিশ্চিত যে বিমানের আরোহীদের কেউই জীবিত নেই। কিন্তু নিহতদের স্বজনরা তাদের প্রিয়জনদের লাশের সন্ধান পেতে মরিয়া। কিন্তু এখন পর্যন্ত ধ্বংসাবশেষ ও শরীরের অংশবিশেষ ছাড়া কিছু পাওয়া যায়নি।
বিমানটি অনুসন্ধানের জন্য ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ ডুবুরিদের পাশাপাশি ককপিট রেকর্ডার খুঁজে পেতে ও কেন একদম নতুন এ বিমানটি বিধ্বস্ত হল তা জানার জন্য ‘পিংগার লোকেটর’ ব্যবহার করছে।
ইন্দোনেশিয়ার নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, তাদের অনুসন্ধান টিম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি ‘পিং শব্দ’ শুনতে পায়। গতকাল বুধবার সে স্থানে অনুসন্ধান করা হয়।
এদিকে কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত নিহত যাত্রীদের ১৪০টিরও বেশি পরিবারের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছে। অন্যদিকে দেহের খন্ডিত অংশগুলো পোস্টমর্টেম করা হলেও কারো পরিচয় জানা যায়নি। কর্তৃপক্ষ সকল নিহতের দেহ উদ্ধার করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে জানিয়েছে।
এ পর্যন্ত ধ্বংসাবশেষের যেসব জিনিস পাওয়া গেছে তার মধ্যে রয়েছে পরিচিতি কার্ড, পাসপোর্ট, বিভিন্ন ব্যক্তিগত জিসিপত্র ও শরীরের বিচ্ছিন্ন অংশ।
জানা গেছে, বিমানের পাইলট উড্ডয়নের পরপরই ফিরে আসার অনুমতি কেন চেয়েছিলেন অনুসন্ধানকারীরা তার কারণ সন্ধান করছেন।
ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনির প্রধান হাদি তাঝানতো বুধবার টিভি ওয়ানকে বলেন, বিধ্বস্ত বিমানটির অংশ বিশেষের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে এটি বিমানটির কোন অংশ তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
ওদিকে ইন্দোনেশিয়ায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দেশটির বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা লায়ন এয়ারের পরিচালককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। লায়ন এয়ারের শীর্ষ এই কর্মকর্তার পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন টেকনিশিয়ানকেও সরিয়ে দিয়েছেন দেশটির পরিবহনমন্ত্রী। গত সোমবারের লায়ন এয়ারের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার উল্লেখ করে ইন্দোনেশিয়ার পরিবহন মন্ত্রী বুদি কারয়া সুমাদি বুধবার বলেন, আজ আমরা পরিচালককে তার পদ ও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। বিমানের কয়েকজন টেকনিশিয়ানকেও সরিয়ে দেয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি।
তবে লায়ন এয়ারের শীর্ষ এই কর্মকর্তাকে সাময়িক না-কি স্থায়ীভাবে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে সে ব্যাপারে পরিষ্কার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে, লায়ন এয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এডওয়ার্ড সিরাত রয়টার্সকে বলেছেন, পরিচালককে সরিয়ে দেয়ার নির্দেশ এখনো তিনি মন্ত্রীর কাছ থেকে পাননি। খবরে বলা হয়, নতুন এই বিমানটির পাইলট ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভ‚ত একজন অভিজ্ঞ পাইলট। ইন্দোনেশিয়ার পরিবহনমন্ত্রী সকল বোয়িং ৭৩৭-ম্যাক্স বিমান পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন। (এ সংক্রান্ত আরো খবর পৃষ্ঠা ৬)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।