Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কক্সবাজারে গায়েবী মামলায় আসামী শত শত নেতা-কর্মী

বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০১৮, ৭:১১ পিএম

বিরোধী দলের সাথে সরকারের সংলাপের আহবান দেশের সংঘাতমুখর রাজনীতিতে ইতিবাচক মনে করা হলেও সারা দেশে গায়েবী! মামলায় জেলে যাচ্ছেন এবং পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বিএনপি জামায়াতের হাজার হাজার নেতা-কর্মী। কোন কারণ ছাড়াই একের পরএক মামলা হচ্ছে বিভিন্ন থানায়। একদিকে গায়েবী মামলায় বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানী অপর দিকে সংলাপের আহবান বিষয়টি কতটুকু সামাঞ্জস্য এনিয়ে প্রশ্ন তোলছেন সচেতন মহল।
গত দু’দিনে কক্সবাজারের চারটি থানায় এভাবে গায়েবী মামলায় আসামী করা হয়েছে পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীকে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ডজন খানেক বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মী। বিশেষ ক্ষমতা আইনে এসব মামলায় গ্রেপ্তারের ভয়ে এখন কক্সবাজারে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বিরোধী জোটের শত শত নেতা-কর্মী।
২৮ অক্টোবর সোমবার কক্সবাজার শহরে গাড়ি ভাঙচুরের একটি কাল্পনিক ঘটনা দেখিয়ে বিএনপি জামায়াতের ১৪৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এতে আসামী করা হয়েছে, কক্সবাজার সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল আলম বাদুর, সাবেক পৌর প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম, ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি সম্পাদক ও সাবেক সভাপতিকে। ১৯ জনের নাম এজহারে উল্লেখ করা হলেও মামলায় আরো ১৩০ জন অজ্ঞাত বলে উল্লেখ করা হয়।
মঙ্গলবারে রামুতে কথিত ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ ৫৬ জনের বিরেিদ্ধ মামলা করা হয়েছে রামু থানায়। এতে এজহারে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হলেও আরো ৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে এই মামলা দায়ের করা হয়।
গতকাল বুধবার একই কায়দায় কোন কারণ ছাড়াই সাড়ে তিন শত জনকে আসামী করে আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে উখিয়া থানায়। এতে এজহারে ৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হলেও বাকি সংখক অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে। এতে বিএনপি জামায়াতের সিনিয়ার নেতাদের নাম অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে বলে জানাগেছে।
একইভাবে মহেশখালীতেও এভাবে একটি মামলা রেকর্ড হচ্ছে বলে জানাগেছে।
জানাগেছে, এই গায়েবী মামলা ছাড়াও গত দশ বছরে শত শত মামলায় হয়রানীর শিকার হয়েছেন হাজার হাজার বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মী। এসব মামলায় এখনো অনেকে রয়েছেন কারাগারে, পালিয়ে দেশ ছেড়েছেন অনেকেই। এর উপর গায়েবী মামলা যেন বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের জন্য ’মরার উপর খাঁড়ার ঘা’।
এ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, সরকার বিরোধী দলকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার জন্য এসব গায়েবী মামলা দিয়ে হয়রানী করছে এবং আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে বির্তকিত করছে। সরকার জনরোশ থেকে বাচাঁর জন্য এই গায়েবী মামলা করছে বলেও তিনি জানান। তিনি এসব গায়েবী মামলা রের্কড করে বিতর্কিত না হওয়ার জন্য আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর প্রতি আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, সরকার একদিকে বিরোধী জোটের সাথে সংলাপে বসার কথা বলছে অন্যদিকে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। সরকারের স্বৈরাচারী কাজ বন্ধ না হলে সংলাপ হাস্যকর হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গায়েবী মামলা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ