পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরিশাল মহানগরীর সিটি কলেজ ক্যাম্পাস গলি থেকে কুড়িয়ে পাওয়া সদ্যজাত শিশু আয়শাকে বিদায়ী মেয়র আহসান হাবিব কামালের ছেলে কামরুল আহসান রূপনের জিম্মায় দিয়েছেন আদালত। শুনানীশেষে বরিশালের শিশু আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান উপস্থিত আইনজীবী ও বাচ্চা নিতে আগ্রহী ৭ আবেদনকারীর বিষয়ে ১ জানুয়ারী সিদ্ধান্ত প্রদানের কথাও জানিয়েছেন। আদালত কামরুল আহসান দম্পতির লালন-পালনে সন্তুষ্ট হয়ে তাদের জিম্মায় ১ জানুয়ারী পর্যন্ত শিশুটিকে রাখা ও লালন পালনের আদেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি শিশুটিকে গ্রহণে আগ্রহীদের পরবর্তি তারিখের দিন আবেদন করারও পরামর্শ দেন।
গত ১০ অক্টোবর নগরীর সদর রোড সংলগ্ন সিটি কলেজ গলিতে এক নবজাতক পেয়ে পুলিশে খবর দেন সাবেক মেয়রের ছেলে কামরুল আহসান রূপন। পুলিশ শিশুটি উদ্ধার করে রূপনের জিম্মায় দেয়। এর পরে আইনগতভাবেই বিষয়টি আদালতের নজরে আনে পুলিশ। ইতোমধ্যে শিশুটিকে দত্তক গ্রহন বা লালন পালনে ৭ জন আবেদনও করে আদালতে। এর মধ্যে এক আবেদনকারী কোটি টাকা জামানতের বিনিময়েও শিশুটিকে গ্রহণে ইচ্ছুক জানিয়েছেন।
নগরীর নিউ সার্কুলার রোডের বাসিন্দা নিঃসন্তান আয়শা সিদ্দিকা শিশু আদালতের বিচারকের কাছে শিশুটিকে লালন-পালনের আবেদন করেন। কিন্তু আদালত আইনগত অভিভাবক না পাওয়া পর্যন্ত বর্তমানে রূপন দম্পতির জিম্মায় থাকা শিশুটিকে তাদের কাছেই রাখার নির্দেশ দেন। এ সময় শিশুটিকে লালন-পালনে আগ্রহী বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ঝিনাইদহ শাখার একজন উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ীসহ ৭ জন আবেদনকারী আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে হাজির হন। ডাচ-বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তা ৫ লাখ টাকার বন্ড নিয়ে আদালতে হাজির ছিলেন। নিঃসন্তান দম্পত্তি যে কোন কিছুর বিনিময়ে শিশুটিকে নিতে আগ্রহী বলেও জানায়। তবে অপর এক আগ্রহী দম্পতি কোটি টাকার বন্ড দিয়ে হলেও শিশুটিকে গ্রহণের কথা জানান। সরকারি বেবীহোম ছাড়া কোন ব্যক্তিকে দেয়া হলে সে ক্ষেত্রে শিশুটির উজ্জল ভবিষ্যতের জন্য নুন্যতম ১০ লাখ টাকার বন্ড দিয়ে নিতে হবে বলেও বিচারক মৌখিকভাবে জানান।
গত ১০ অক্টোবর রাতে বরিশাল মহানগরীর সিটি কলেজ এলাকার নবাব কম্পাউন্ডে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ও রূপনের নানাশশুর নাছির উদ্দিনের গৃহপরিচারিকা মিনারা বেগম বাসার ময়লা ডাস্টবিনে ফেলতে যান। এ সময় ডাস্টবিনের কাছে ৩টি কুকুর ক্রমাগত ডেকেই যাচ্ছিল। পরিচারিকা দেখতে পান তোয়ালে পেচানো ফুটফুটে একটি শিশু কান্না করছে। মিনারা শিশুটিকে কোলে তুলে মালিকের স্ত্রীর কাছে নিয়ে গেলে তিনি নাত জামাই রূপনকে বিষয়টি অবহিত করেন। রূপন বিষয়টি দ্রুত কোতোয়ালী থানাকে জানালে পুলিশ শিশুটিকে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ সাধারণ ডায়েরী করে আইনগত অভিভাবক অথবা আদালতের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত শিশুটিকে রূপনের জিম্মায় দেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।