Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খাস জমিতে সিএনজি স্টেশন

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সরকারি জমিতে দীর্ঘ একযুগ ধরে সিএনজি ফিলিং স্টেশন স্থাপন করে ব্যবসা চালিয়ে আসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি জমি দখল করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সিএনজি স্টেশনের অনুমোদন নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা মূল্যের প্রায় এক একর সম্পত্তি বেহাত হওয়ার পাশাপাশি রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচেছ সরকার। মির্জাপুর উপজেলা সদরের বাওয়ার কুমারজানী গ্রামের মো. ইব্রাহিম মিয়া প্রতারনার মাধ্যমে সরকারি জমিতে মা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের অনুমোদন নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

উপজেলা ভ‚মি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলা সদরের বাওয়ার কুমারজানী মৌজায় এসএ ৪২৪ নং দাগে ৩.১০ একর অর্পিত সম্পত্তি রয়েছে। ১৯৯৫-৯৬ সালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস সড়ক নির্মাণকালে ওই দাগে ১.৫৪ একর ভ‚মি অধিগ্রহণ করে সরকার। ২০০৭ সালে মহাসড়কের বাইপাস সড়ক যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হলে ইব্রাহিম মিয়া ওই দাগে মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে থাকা অবশিষ্ট জমির ওপর মা সিএনজি ফিলিং স্টেশন স্থাপন করেন।

সূত্র জানায়, সরকারের খাস অথবা অর্পিত সম্পত্তিতে সিএনজি ফিলিং স্টেশন স্থাপন করতে হলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে ওই জমি লিজ অথবা বন্দোবন্ত পাওয়ার পরই অনুমোদন মেলে। কিন্ত সরকারের ১/১ খতিয়ানভুক্ত অর্পিত ওই সম্পত্তি লিজ বা বন্দোবন্ত ছাড়াই ইব্রাহিম মিয়া ২০০৭ সালে তথ্য গোপন করে সিএনজি স্টেশনের অনুমোদন নেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারের কোটি কোটি টাকা মূল্যের ওই জমির উপর সিএনজি ফিলিং স্টেশন স্থাপন করতে সুচতুর ইব্রাহিম মিয়া অন্য দাগের জমির কাগজ ওই দাগের দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে পাম্পের অনুমোদন হাতিয়ে নেন।
সেই থেকে দীর্ঘ এক যুগ ধরে সরকারের জমি দখল করে সিএনজি পাম্প স্থাপনের পর এখন মূল্যবান ওই জমি তিনি বেহাতের পাঁয়তারা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে সরকারি ওই জমির উপর থাকা সিএনজি পাম্প দেখিয়ে ইব্রাহিম মিয়া ন্যাশনাল ব্যাংক কালিয়াকৈর শাখা ও ব্র্যাক ব্যাংক টাঙ্গাইল শাখা থেকে কয়েক কোটি টাকা ঋণও গ্রহণ করেছেন বলেও জানা গেছে।

অপর দিকে তথ্য গোপন করে প্রতারণা মাধ্যমে সরকারি জমিতে সিএনজি স্টেশন স্থাপন করে বছরের পর বছর ব্যবসা চালিয়ে এলেও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। প্রতারণার মাধ্যমে সরকারি জমির উপর স্থাপিত সিএনজি স্টেশন উচ্ছেদ ও সরকারি অনুমোদন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। এ ব্যাপারে মা সিএনজি স্টেশনের মালিক মো. ইব্রাহিম মিয়ার সঙ্গে কথা হলে ৪২৪ দাগের ওই জমি সরকারের নয় নিজের দাবি করেন। তবে দখলকৃত জমির কাগজ দেখতে চাইলে বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাস ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি প্রধান কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক বরুন কুমার বলেন, লিজ বা বন্দোবস্ত ছাড়া সরকারি জমিতে কোনো প্রতিষ্ঠান স্থাপনে অনুমোতি পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল মালেক একই কথা জানিয়ে বলেন, প্রতারণার বিষয় প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিএনজি স্টেশন

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ