Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছাত্রদল নেতা পলাশ হত্যা মামলায় খুলনায় ৯ জনের যাবজ্জীবন

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩০ অক্টোবর, ২০১৮, ৬:২৫ পিএম

চাঞ্চল্যকর যশোর জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কবির হোসেন পলাশ হত্যা মামলার রায়ে ১১ আসামির মধ্যে নয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদ- দেওয়া হয়েছে। রায়ে ২ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্তরা হলেন-যশোরের ষষ্টিতলাপাড়ার মৃত শফি মিয়ার ছেলে তরিকুল ইসলাম, চাঁচড়া রায়পাড়ার মৃত বেলায়েত হোসেনের ছেলে প্রিন্স ওরফে বিহরী প্রিন্স, গাড়িখানা রোডের মসলেম উদ্দিন ড্রাইভারের ছেলে জাহিদুল ইসলাম ওরফে কালা মানিক, ঘোপ বৌ-বাজার এলাকার মজিবর শেখের ছেলে রবিউল শেখ, ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের গাজী জাহিদুর রহমানের ছেলে সজল, সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে টুটুল গাজী, বেজপাড়ার টিবি ক্লিনিক এলাকার ফিরোজ আলীর ছেলে ফয়সাল গাজী, রেলগেট পশ্চিমপাড়ার বিল্লাল খানের ছেলে শহিদুল ইসলাম খান ওরফে সাইদুল ও বাঘারপাড়া উপজেলার বহরমপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে শহরের ষষ্টিতলাপাড়ার ভাড়াটিয়া শহিদুল ইসলাম।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- যশোরের চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে আল মাসুদ রানা ওরফে মাসুদ ও পূর্ব বারান্দিপাড়া কবরস্থান রোডের আব্দুল করিম ফকিরের ছেলে রাজ্জাক ফকির।
এরমধ্যে পলাতক আছেন- শহিদুল ইসলাম খান ওরফে সাইদুল, শহিদুল ইসলাম, প্রিন্স ওরফে বিহরী প্রিন্স, জাহিদুল ইসলাম ওরফে কালা মানিক ও রবিউল শেখ।
আর জেলহাজতে আছেন-আল মাসুদ রানা ওরফে মাসুদ, টুটুল গাজী, সজল, রাজ্জাক ফকির, ফয়সাল গাজী ও তরিকুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় এরা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২৩ ও ২৪ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়। ২৫ অক্টোবর উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আদালতের বিচারক মঙ্গলবার রায়ের দিন ধার্য করেন।
গত ৪ আগস্ট মামলার বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। পরে মামলায় জব্দ তালিকা, সুরতহাল রিপোর্ট, চিকিৎসক, দুই আসামির ১৬৪ ধারার জবানবন্দি গ্রহণকারী দুইজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ ২৯ জনের আদালতে সাক্ষ্য ও জেরা সমাপ্ত হয়।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে যশোর শহরের ঈদগাহ মোড়ে চায়ের দোকানে বন্ধুদের সঙ্গে বসে ছিলেন কবির হোসেন পলাশ। এসময় দু’টি মোটরসাইকেলযোগে সন্ত্রাসীরা এসে পলাশকে গুলি ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বোন ফারহানা ইয়াসমিন ১৩ ডিসেম্বর অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন খুলনার বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট এনামুল হক আর আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট তৌহিদুল রহমান তুষার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যাবজ্জীবন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ