পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেওয়া বিচারিক আদালতের রায় আপিলের পর উচ্চ আদালত স্থগিত করলে তার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম। গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা সাজা কাটানোর একটা নির্দিষ্ট সময় পর নির্বাচন করতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতকে তার আপিল গ্রহণ করে বিচারিক আদালতের রায় স্থগিত করতে হবে। তিনি বলেন, তিনি (খালেদা) নির্বাচন করতে পারবেন কি না, তা নির্ভর করবে আদালতের ওপর। উচ্চ আদালত নির্দেশ দিলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন। আগামী ডিসেম্বরে একাদশ সংসদ নির্বাচনের তোড়জোড় চলছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদার এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ এখনও অনিশ্চিত তাকে ছাড়া নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণাও রয়েছে বিএনপির।
গত ফেব্রুয়ারিতে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজার রায়ের পর থেকে বিএনপি চেয়াপারসন কারাবন্দি এর মধ্যে গতকাল জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তার সাত বছর কারাদন্ড হয়েছে। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, ফৌজদারি মামলায় কারও ন্যূনতম দুই বছর কারাদন্ড হলে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন। কিন্তু বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে এবং উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ ও নজির রয়েছে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, এটা যে কোনো নাগরিকের জন্য প্রযোজ্য। এটা আদালতের উপর পুরোপুরি নির্ভর করবে। শুধু খালেদা জিয়ার কথা বলছি না, সবার জন্য বলছি, যদি কোনো ব্যক্তি প্রার্থী হতে চান, কোনো দন্ডে দুই বছরের বেশি দন্ডিত হয়েছেন পূর্বে, এরকম কোনো লোক একটি নির্দিষ্ট সময় পার না হলে প্রার্থী হতে পারেন না। যারা এখন দন্ডিত হয়ে দন্ড ভোগ করছেন, তাদের ক্ষেত্রে দন্ডটার যদি আপিল না থাকে, আপিলে যদি তাকে নির্বাচনে একেবারে অযোগ্য ঘোষণার বিষয়টা যদি নির্দিষ্ট করা না থাকে, তাহলে উনারা কিন্তু নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
বিএনপি যদি আইনি লড়াই চালায়, সেক্ষেত্রে কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, উনারা আবারও আদালতের কাছে যেতে পারেন। আদালত বিচার-বিশ্লেষণ করে উনার প্রার্থিতা বহাল রাখতেও পারেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কিন্তু আমরা জানি না, উনি আপিল করবেন কি না? আপিল করলে সেখান থেকে কী ধরনের রায় আসবে? এটা আদালত নির্ধারণ করে দেবেন। আরেক প্রশ্নের জবাবে রফিকুল বলেন, যদি আইনি কাঠামো না পায়, তাহলে সংসদ ভোটে ইভিএম ব্যবহার করার প্রশ্নই আসে না। আইনি কাঠামো পেলে মিনিমাম হলেও ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে হলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করতে হবে। ইসির প্রস্তাবে মন্ত্রিসভা গতকাল অনুমোদন দিয়েছে। তবে সংসদ অধিবেশন না থাকায় এজন্য অধ্যাদেশ জারি করা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ইসি ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে এগোলেও বিএনপির পক্ষ থেকে প্রবল আপত্তি রয়েছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সীমিত আকারে হলেও ইভিএম ব্যবহারের পক্ষপাতি। তিনি বলেন, রাজনৈতিক শিবিরে বিরোধপূর্ণ অবস্থানে নির্বাচন নিয়ে অনেকে শঙ্কা দেখলেও তা উড়িয়ে দিচ্ছেন। কোনো শঙ্কা নেই। সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, আইন শৃঙ্খলার প্রয়োজনে যদি সেনাবাহিনী নির্বাচনে আনতে হয়, তাহলে আমরা আনব। এটা প্রতিটি নির্বাচনেই হয়। সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করে।
##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।