পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে চালক, সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের হয়রানির প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে তারা মুখে কালো মবিল মেখে ও হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড বহন করে অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছে। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় পরিবহন ধর্মঘটে নারী নির্যাতন, শিশুহত্যা (ধর্মঘটে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্সে এক শিশুর মৃত্যু হয়) এবং শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির প্রতিবাদ জানানো হয়।
মানববন্ধন থেকে তিন দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করতে হবে, আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি না করা এবং অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্যান্য রোগী বহনকারী গাড়ি চলাচল করতে দিতে হবে।
মানববন্ধনে ‘ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কেন’, ‘আলকাতরা সন্ত্রাস নিপাত যাক’, ‘দেশের বুকে চুনকালি, শ্রমিক নেতার নেই বুলি’, ‘স্কুল ড্রেসে কালি কেন?, ‘কালি নাকি কলঙ্ক’ লেখা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আবদুল করিম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, সংবিধান যেকোনো রাষ্ট্রের নাগরিকদের আন্দোলন করার অধিকার দিয়েছে। এটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার। তবে তারা (পরিবহন শ্রমিকরা) আন্দোলনের নামে কোনো নাগরিকের চলাফেরা করার অধিকার এবং তাদের পথ অবরোধ করার অধিকার সংবিধান দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, যখন যৌক্তিক আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছিল তখন তাদেরকে দমন করতে হেলমেট বাহিনী মরিয়া হয়ে উঠেছিল। আজকে যখন সাধারণ মানুষ এবং শিক্ষার্থীরা শ্রমিকদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তখন হেলমেট কোথায়? অন্যদিকে পুলিশ বাহিনীর নিরবতায়ও দেশবাসী আজ বিস্মিত।
অন্য আরেক শিক্ষার্থী বলেন, গত রোববার যে শিশুটি মারা গেছে, এটাকে আমরা মৃত্যু বলতে পারি না। এটা একটি স্পষ্ট হত্যাকান্ড। আমরা শ্রমিকদের আন্দোলনের বিপক্ষে না। কিন্তু এ ধরণের অরাজকতা কোনো শ্রমিক করতে পারে না। এ ধরণের অপকর্মগুলো সরকারের একটি মাফিয়া চক্র দ্বারা করা হচ্ছে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে এসব অরাজকতা মেনে নিতে পারি না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
উল্লেখ্য, সংসদে পাস হওয়া ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ সংশোধনসহ ৮ দফা দাবিতে গত রোববার সকাল ৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। তাদের এ ধর্মঘটে চলাকালে শিক্ষার্থীরাসহ রাস্তার বের হওয়া গাড়িতে ও ড্রাইভারের মুখে পোড়া মবিল লাগিয়ে দেন শ্রমিকরা। এছাড়া তাদের অবরোধে আটকা পড়ে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরেই একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।