ঢাকার ধামরাইয়ে একটি তৈরি পোশাক কারখানার দুপুরের খাবার খেয়ে দুই শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থ শ্রমিকদের দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতাল, ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার বিকেলে ধামরাইয়ের কচমচ এলাকায় স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড’ কারখানায় এঘটনা ঘটে।
আহত সোহেল, রাসেল, বাদল, শিউলী, সুমি, তাসলিমা, শিউলি বেগম, আঁচল, ইসমত আরা, নুরজাহান বেগম, লাবনী, বিলকিছ, রিয়া আক্তার, রাসেদা, লাকী বেগম, রেজিনা, পারুল, রেহেনা, ইতি, শেরিকা, শাহনাজ খাতুন, শান্তা, কনিকা, রিতা, চায়না, মনিকাসহ অনেকেই জানায়, কারখানায় কাজ করে প্রায় আট হাজার শ্রমিক।
দুপুরে খাবার ভাত, মুরগীর মাংস, ডাল খাওয়ার পর ধিরে ধিরে শ্রমিকরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। কেউ মাথা ঘুরে ফ্লোরে পরে যায়, আবার কেউ বমি করতে করতে দুর্বল হয়ে পড়ে যায়। পরে অসুস্থ্য শ্রমিকদের দ্রুত বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, দুপুরের খাবার পর পর্যায়ক্রমে প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ্য হয়ে পরে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনার পর কর্তৃপক্ষ কারখানাটি ছুটি ঘোষনা করেছে। তিনি বলেন, অসুস্থ্য শ্রমিকরা অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছে। অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাদের স্যালান দিয়ে রাখা হয়েছে।
ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক সাহেব আলী জানান, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে খবর পেয়ে অসুস্থ্য শতাধিক শ্রমিককে ফায়ার সার্ভিসের এাম্বুলেন্সে করে ইসলামপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করি। তিনি বলেন, অসুস্থ্য শ্রমিকরা জানিয়েছে, দুপুরের খাবার খাওয়ার পর থেকে শ্রমিকরা অসুস্থ্য হতে থাকে।
ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রের পরিবার পকিল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: ফজলুল হক বলেন, বিকাল পৌনে ৫টার দিকে এহাসপাতালে ৫৪জন অসুস্থ্য শ্রমিক আসে। এরমধ্যে বেশ কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যায়। ১৪জনের অবস্থা বেশী খারাপ হওয়ায় কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের রেফার্ড করে অন্যত্র নিয়ে যায়। সর্বশেষ ৪জন ভর্তি ছিল। কারখানা কর্তৃপক্ষের লোকজন সেই চার জনকেও নিয়ে যায়।
তবে তিনি প্রাথমিকভাবে ধারনা করছেন খাদ্যে বিষক্রীয়ার কারনে শ্রমিকরা অসুস্থ্য হতে পারে। কিন্তু পরীক্ষানিরিক্ষা ছাড়া তিনি জোর দিয়ে কিছু বলতে পারবেন না বলেও জানান।
স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেডের সহকারী পরিচালক মোঃ জয়দুল হোসেন বলেন, দুপুরে খাবার খেয়ে শ্রমিকরা সবায় কাজে যোগদেন কিন্তু হঠাৎ করে তিন তলার সি ফ্লোরের বেশ কিছু নারী শ্রমিক বমি করে অসুস্থ্য হয়ে পরে। তাদেরকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পর্যায়ক্রমে অন্য ফ্লোরের শ্রমিকরাও অসুস্থ্য হয়ে পরে। তবে কি কারণে অসুস্থ্য হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।