পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দশদিনের মধ্যে সরকারের পতন নিশ্চিত উল্লেখ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলেছেন, এই স্বৈরাচার সরকারের সময় শেষ। ধৈর্য্য ধরে আর মাত্র দশদিন অপেক্ষা করুন এ সময়ের মধ্যে সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে। দশদিন পর আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত। নেতারা বলেন, জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সিলেটের পর চট্টগ্রামেও জনতার ঢল নেমেছে। পুলিশবাহিনী ভয়ভীতি দেখিয়ে, নানাভাবে বাধা দিয়েও জন স্রোতকে আটকে রাখতে পারেনি। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে কোন স্বৈরাচারই ক্ষমতায় টিকতে পারে না। এ সরকারও পারবেনা। গতকাল চট্টগ্রাম বিএনপি অফিসের সামনের রাস্তায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত বিশাল জনসভায় নেতারা এ কথা বলেন।
পুলিশ বাহিনীর প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলেন, আজকের এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক বাড়াবাড়ি করেছেন। নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখানো থেকে শুরু করে নানাভবে হয়রানি করছেন। তারপরও জনতার ঢলকে আটকে রাখতে পারেননি। লাখলোকের সমাবেশ হয়েছে। এই সমাবেশ থেকে বলতে চাই এখনো সময় আছে নিরপেক্ষ আচরণ করুন। আপনারা হলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা কর্মচারী। সরকারের অন্যায় নির্দেশ পালন থেকে বিরত থাকুন। বিবেক দিয়ে কাজ করুন। তা না হলে জনরোষ থেকে আপনারও রেহাই পাবেন না। জনতার আদালতে আপনাদেরও দাঁড়াতে হবে।
চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংবিধান প্রণেতা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, এ সরকার প্রতিনিয়ত সংবিধান লঙ্ঘন করছে। সরকার তাদের শপথ ভঙ্গ করছে। এই শপথ ভঙ্গের জন্য তাদের অবশ্যই বিচার হবে। তিনি বলেন, সংবিধানে স্পষ্টকরে উল্লেখ আছে জনগণ দেশের মালিক, আর সরকার হলো তাদের সেবক। সরকার আজ দেশের মালিকদের কাছ থেকে মালিকানা ছিনিয়ে নিয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। তাদের মৌলিক মানবাধিকার নেই। আইনের শাসন নেই। এ সব কিছুর জন্য সরকারকে অবশ্যই জবাব দিহি করতে হবে। সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে তাদেরকে জনগণের আদালতে দাড়াতে হবে।
ড. কামাল বলেন, ২০১৪ জানুয়ারি একটি ভোটারবিহীন নির্বাচনের পর এ সরকার বলেছিল এটা সংবিধান রক্ষার নির্বাচন। খুব শিগগিরই সকলের অংশগ্রহণে আর একটি নির্বাচন দেয়া হবে। আদালত এবং আমরা সরকারের সে ওয়াদার প্রতি বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু সরকার সে ওয়াদা ভঙ্গ করেছে। জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে। এজন্য অবশ্যই সরকারের বিচার করা হবে। তাদের শাস্তি পেতে হবে।
ড. কামাল হোসেন বলেন, বাংলাদেশ কারো পৈতৃক সম্পত্তি নয়। আমরা জনগণ এদেশের মালিক। জনগণ আজ বুঝতে পেরে রুখে দাঁড়িয়েছে। এত বাধা-বিপত্তির পরও জনগণ কষ্ট করে এসেছে। চার-পাঁচ ঘণ্টা দাড়িয়ে আছে। জনগণের এই যে জোয়ার তাতে সরকারের পতন কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।
প্রবীণ এই জননেতা বলেন, এখনো সময় আছে আমাদের ৭দফা দাবি মেনে নিন। জনদাবি না মানলে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। জনগণ এতদিনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে। তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। তখন আর ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন না। জনগণ এবার ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে কোন স্বৈরশাসক টিকে থাকতে পারে না। তাই জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে এবার বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত ইনশাআল্লাহ।
ড. কামাল বলেন, আমরা এখন আর খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইব না। এখন তার মুক্তি আমরা আদায় করবো। সকলের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা আমাদের সকল ন্যায্য দাবী আদায় করে একটি গণতান্ত্রিক ন্যায় বিচারের সুন্দর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়বো।
সমাবেশে প্রধানবক্তা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গণজোয়ার দেখে এ সরকার প্রচন্ড ভয় পেয়েছে। তারা এখন ছায়া দেখলেও ভয় পায়। তাইতো এখন সমাবেশ করতেও দিচ্ছে না। জনগণকে পুলিশ দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে, বাধা দিয়ে আটকে রাখার চেষ্টা করছে। তাতে কোন লাভ নেই। এই চট্টগ্রামের জনসভায় জনতার ঢল নেমেছে। সরকার শত চেষ্টা করেও কোনভাবেই জনগণকে আটকে রাখতে পারেনি। জনগণ আজ জেগেছে। তাইতো সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভয় পায়। কারণ তারা জানে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে জিততে পারবে না। তাইতো হামলা মামলা দিয়ে জনগণকে দাবিয়ে রাখতে চাচ্ছে। যেনতেনভাবে একটা নীল নকশার নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছে। কিন্তু দেশের জনগণ তা হতে দেবে না।
তিনি বলেন, এ সরকারের অত্যাচার জুলুম এসবের জবাব দেবে জনগণ। মামলা অনেক দিয়েছেন। এবার ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছেন। এসব করে কোন লাভ হবে না। গুম, খুনের হিসাব নেবে জনগণ। শত শত নেতা গুম হয়েছে। কত মা তার সন্তান হারিয়েছেন। কত স্ত্রী তার স্বামী হারিয়েছে। কত সন্তান তার পিতা হারিয়ে গুমরে কাঁদছে। এ সব কিছুর জবাব সরকারকে দিতে হবে। তাইতো সরকারের আজ এত ভয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, এদেশের জনগণ বুকের রক্ত ঢেলে স্বাধীনতা সংগ্রাম করেছে। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করে বিজয়ী হয়েছে। এবার জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার যে আন্দোলনে নেমেছে তাতে বিজয় সুনিশ্চিত। ঐক্যবদ্ধ জনগণের আন্দোলন কোনদিন ব্যর্থ হয়নি। এবারও হবে না। বিজয় আমাদের অতি সন্নিকটে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, বাংলায় একটি প্রবাদ আছে সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠেনা। তাই আঙ্গুল বাঁকা করতে হবে। সারাদেশের মানুষকে সাথে নিয়ে মাঠে নামতে হবে। সিলেটের পর এই চট্টগ্রামে যে জনতার ঢল নেমেছে তাতে এই স্বৈরাচারের পতন আর কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।
তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, আসুন দেখে যান চট্টগ্রামে লাখ জনতার সমাবেশ। যে গণজোয়ার সৃষ্টি হচ্ছে তাতে করে পালানোর পথ পাবেন না। তাই সময় থাকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবি মেনে নিন। আমাদের সাত দফা দাবি না মেনে যদি তফসিল ঘোষণা করেন তাহলে বুঝবো আপনারা নির্বাচন বানচাল করতে চান। আর নির্বাচন বানচাল হলে যে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে তার জন্য দায়ি হবেন আপনারা। আ স ম রব বলেন, এই সরকারের সময় প্রায় শেষ। এই পুলিশ বাহিনী আর বেশিদিন সরকারের কথা শুনবে না। তারাও নিরপেক্ষ আচরণ করবে। তা না হলে জনরোষ থেকে তারাও বাঁচতে পারবে না।
তিনি বলেন, জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে মাছ চুরির মামলা দিয়েছেন ভাল করেছেন। কেননা মাওলানা ভাষানীর বিরুদ্ধেও গরু চুরির মামলা দিয়েছিল আইয়ূব সরকার। আপনার পিতা বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধেও সিঁধেল চুরির মামলা হয়েছিল। এসব মামলা জনগণ কখনো ভালভাবে নেয় না। মনে রাখবেন এর পরিণতি ভাল হয় না। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হয়না এটা আজ প্রমাণিত। তাইতো জনগণ আজ তাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেমেছে। হামলা-মামলাসহ সকল ভয়ভীতি অতিক্রম করে তারা আজ রাজপথে নেমে এসেছে। জনগণের এই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী। খুব শিগগিরই এ সরকারকে জনগণের আন্দোলনের মুখে বিদায় নিতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, এ সরকার এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। জনরোষ থেকে বাঁচতে তারা গায়েবি মামলা দিচ্ছে। গত কয়েকদিনে ৫ হাজার মামলায় ৫ লক্ষাধিক আসামী করা হয়েছে। সরকারের অন্যায়, দুর্নীতি, অপকর্ম যাতে মিডিয়ায় প্রকাশ করতে না পারে সে জন্য ডিজিটাল নিরাপত্ত আইন সম্প্রচার নীতিমালা এসব কালো আইন করছে। এতোকিছু করেও কোন লাভ হবে না। জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের দাবি মানতে বাধ্য হবে সরকার। সংলাপে বসতে, সমঝোতায় আসতে বাধ্য হবে। তা না হলে গণআন্দেলনের মুখে সরকারের ক্ষমতা ছেড়ে পালাবে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাষ্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার পাকিস্তানি শাসনের চেয়েও ভয়াবহ শাসন চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার এখন নিজেদের ছায়া দেখেও ভয় পাচ্ছে। যেভাবে গণজোয়ার সৃষ্টি হচ্ছে তাতে এ সরকারের পতন আর কেউ ঠেকাতে পারবে না। আপনারা আর মাত্র ১০ দিন ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করুন। এই ১০ দিনের মধ্যে সরকারের পতন হবে। দেশের বুদ্ধিজীবিসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ যেভাবে এই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে তাতে আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত। আর বিজয়ের পর ড. কামাল হোসেন, মইনুল হোসেনসহ আমরা এদেশে আইনের শাসন কায়েম করবো ইনশাআল্লাহ।
নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকার সব সময় বলে তাদের অধীনে নির্বাচন হবে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই এ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন হবে না। আগে পদত্যাগ করতে হবে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। আর যদি তা না করেন তাহলে কিভাবে গদি থেকে নামাতে হয় তা আমরা জানি। তিনি বলেন, সরকার ঐক্যের বিরুদ্ধে নানা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আপনারা এসব বিভ্রান্তিতে কান দেবেন না। ৭ দফার ভিত্তিতে আমাদের ঐক্য অটুট আছে থাকবে। এই স্বৈরাচারের পতন না ঘটিয়ে আমরা ঘরে ফিরবো না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, এ সরকার এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাই তারা ভূতুরে মামলা দিয়ে জনগণকে ভয় দেখাচ্ছে। কিন্তু দেশের জনগণ তাতে ভীত নয়। সকল ভয়কে জয় করে তারা আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। জনগণের এই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন এবার অবশ্যই সফল হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের চট্টগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আন্দোলনের ঘোষণা দিন চট্টগ্রামের মানুষ আপনাদের সাথে আছে। চট্টগ্রামকে খালেদা জিয়ার ঘাঁটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখান থেকেই সরকারের পতন আন্দোলন শুরু হবে।
ডাকসুর সাবেক ভিপি জাতীয় ঐক্যের নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ নয়। লুটপাটের আওয়ামী লীগ। লুটেরাদের সাথে জনগণ নেই। ঐক্যফ্রন্টের পেছনে জনতা কাতারবন্দী হয়েছে। ভোটের অধিকার আদায়ে দুর্বার আন্দোলন সফল করা হবে।
গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি চট্টগ্রামের কৃতী সন্তান এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে মাইনক্যাচিপায় বন্দি করেছে। গণআন্দোলনের মাধ্যমে হাসিনার পতন ঘটিয়ে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। স্বৈরাচারী আইয়ুব খান আর এরশাদকে হটিয়েছি। হাসিনাকেও হটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব।
২০ দলীয় জোটের শরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জনারেল (অব.) মুহাম্মদ ইবরাহীম বীর প্রতীক ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফার প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে বলেন, ২০ দলের শরিক হিসেবে আমরাও দাবি আদায়ে মাঠে আছি। চট্টগ্রামের মানুষ বিপ্লবী, তারা স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে পরোয়া করে না।
জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন বলেন, ওবায়দুল কাদের বলছেন ভোটে পরাজিত হলে টাকা-পয়সা নিয়ে দেশ ছাড়তে হবে। জনতার সিদ্ধান্ত লুটেরাদের দেশ ছেড়ে পালাতে দেয়া হবে না। ২০ লাখ কোটি টাকা পাচারকারীদের বিচার করা হবে।
নাগরিক ঐক্যের নেতা আ ব ম মোস্তফা আমিন বলেন, ঐক্যফ্রন্টের আন্দোলন গণতন্ত্র বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার আন্দোলন। এ আন্দোলনে দেশবাসীর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন অবশ্যই সফল হবে।
এলডিপির মহাসচিব ড. রেদুয়ান আহমেদ বলেন, মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়েছে। এ সরকার লুটেরাদের। লাখ লাখ কোটি টাকা লুটের বিচার করা হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ ভোটের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ, আজকের এ জনসভা তার বড় প্রমাণ।
বিএনপির অপর ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, জালিম সরকারের পতনে আন্দোলনের বিকল্প নেই। আন্দোলনের মাধ্যমে ভোটের অধিকার আদায় করা হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, খালেদা জিয়া ছাড়া বাংলার মাটিতে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে, ভোটের অধিকার আদায় করা হবে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান বলেন, শেখ হাসিনা ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আন্দোলন ছাড়া অধিকার আদায় করা যাবে না।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, জনসভায় লাখো মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে চট্টগ্রাম জাতীয়তাবাদী শক্তির ঘাঁটি। চট্টগ্রাম থেকে সরকারের পতন আন্দোলনের সূচনা হলো।
সভাপতির বক্তব্যে নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন ধরপাকড়, গায়েবি মামলায় হুলিয়া ও বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে জনসভা সফল করায় চট্টলার বীর জনতার প্রতি সংগ্রামী অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে চট্টগ্রামের বীর জনতা জীবনবাজি রেখে মাঠে থাকবে।
এ ছাড়া জনসভায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, সাবেক ছাত্রনেতা ফজলুর রহমান, গণফোরাম নেতা আ ফ ম সুলতান, নাগরিক ঐক্যের এডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সেক্রেটারী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন, খায়রুল কবির খোকন, বিজেপির আহসান হাবিব মিল্টন, জেএসডি নেতা ও চাকসুর সাবেক জিএস গোলাম জিলানী, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভুঁইয়া, ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা, মহিলা দলনেত্রী নূরী-আরা সাফা, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী মোঃ শাহজাহান জুয়েল, নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ানসহ ঐক্যফ্রন্টের জেলা ও মহানগরের নেতারা বক্তব্য রাখেন। জনসভা সঞ্চালনা করেন নগর বিএনপি নেতা এস এম সাইফুল, কামরুল ইসলাম ও ইয়াছিন চৌধুরী লিটন। জনসভা মঞ্চে বিএনপি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক এবং ২০ দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের পাশাপাশি পেশাজীবী সংগঠনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।