Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইয়াবা-হেরোইন কেনাবেচায় শাস্তি মৃত্যুদন্ড

সংসদে বিল পাস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

ইয়াবা (অ্যামফিটামিন), কোকেন, হেরোইন সেবন, পরিবহন, কেনাবেচা, ব্যবসা, সংরক্ষণ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, হস্তান্তর, সরবরাহ ইত্যাদি অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ মৃত্যুদন্ড ও যাবজ্জীবনের বিধান রেখে সংসদে একটি আইন পাস হয়েছে।
গতকাল শনিবার জাতীয় সংসদে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিল-২০১৮ বিল নামে এটি পাসের প্রস্তাব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। পরে বিলটি কন্ঠভোটে পাস হয়। এসময় সংসদের সভাপতিত্বে ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আইনে মাদকদ্রব্যের অপরাধের ৩৪টি তফসিল বর্ননা করে সর্বনিম্ন এক বছর থেকে সর্বোচ্চ মৃত্যুদন্ড ও যাবজ্জীবনের বিধান রাখা হয়েছে। আইনে মাদকপ্রবণ জেলা সদর বা মেট্রোপলিটন এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক মাদক অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের বিধান রাখা হয়েছে। এই ট্রাইব্যুনাল মাদক অপরাধের বিচার করবে। মাদক অপরাধে গ্রেফতারের পর তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত না ওয়া পর্যন্ত কোন অপরাধী জামিন পাবেন না। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই আইনের অধীন অপরাধ সংঘটনে অর্থ বিনিয়োগ, সরবরাহ, মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতা দিলেও একই ধরনের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। আইনে কোকেন, কোকো মাদক চাষাবাদ, উৎপাদন বা প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে ২৫ গ্রামের বেশি হলে সর্বে্চ্চা শাস্তি মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। আর ২৫ গ্রামের নিচে হলে কমপক্ষে দুই বছর ও সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদন্ডের বিধান আছে। ইয়াবা বহনের ক্ষেত্রে ২০০ গ্রামের বেশি হলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং অর্থদন্ড। তবে ১০০ গ্রাম বা মিলিলিটার হলে সর্বনিম্ন ৫ বছল এবং সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। মাদকাসক্ত ব্যক্তির ডোপ টেস্টে ইতিবাচক ফল পাওয়া গেলে কমপক্ষে ৬ মাস ও সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদন্ড দেয়া হবে।
আইনে বলা হয়েছে অনুমতি ব্যতিত কোন ব্যক্তি অ্যালকোহল পান করতে পারবে না এবং চিকিৎসার প্রয়োজনে সিভিল সার্জন অথবা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অন্যুন কোন সহযোগী অধ্যাপকের লিখিত ব্যবস্থাপত্র ব্যতিত কোনো মুসলমানকে অ্যালকোহল পান করার অনুমোদন দেয়া যাবে না।

লোক প্রশাসন কেন্দ্র ও বাসস বিল সংসদে পাশ
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বিল জাতীয় সংসদে ২০১৮ পাশ হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে সংসদ অধিবেশনে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার কার্যক্রম সঠিকভাবে প্রতিপালনের উদ্দেশ্যে বিলটি আনা হয়েছে বলে জানান উত্থাপণকারী তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এতে বিরোধী দলের কয়েকজন সদস্য বিরোধীতা করেন এবং কিছু সংশোধনী দিয়ে তা পূণরায় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দিলেও তা কণ্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে সংসদে ধ্বনী ভোটে বিলটি পাশ হয়ে যায়।
এছাড়া গতকাল দেশের উর্দ্ধতন সরকারি ও বেসরকারি নির্বাহীগণকে গতিশীল ও উন্নয়নমুখী সমাজ গঠনে নেতৃত্ব দেবার উপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তাদেরকে বুনিয়াদী ও কর্মকালীন শিক্ষা দেবার নিমিত্বে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বিল ২০১৮ সংসদে পাশ হয়েছে। জণপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদের বিলটি উত্থাপণ করলে বিরোধী দলের সদস্যগণের কিছু সংশোধণী ও বিরোধীতা সত্বেও সংসদে ধ্বনী ভোটে তা পাশ হয়ে যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইয়াবা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ