বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নদী গবেষকদের আশঙ্কা তত্ত¡গত বৈপরত্য বা ভূ-তাত্তি¡ক জটিলতার মুখেই বাস্তব রুপে দাঁড়িয়ে গেছে নরসিংদীর চরাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের বহুল আলোচিত মেঘনা সেতু। চরাঞ্চলের মানুষ ৩৯বছর পূর্বে তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী আব্দুল মোমেন খাঁনের নিকট মেঘনা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছিল। ৪ দশক পর সেই স্বপ্নের সেতু নির্মাণ করে দিয়েছেন বর্তমান পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী লে: কর্ণেল (অব.) নজরুল ইসলাম হিরু।
নরসিংদীর এলজিইডি ৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেতু নির্মাণে কাজ বাস্তবায়ন করেছে। ৬৩০ মিটার দীর্ঘ ও ৯.৩ মি: প্রসস্থ এই সেতুটি নির্মাণের ফলে চরাঞ্চলের ২টি ইউনিয়নের সাথে নরসিংদীর মূল ভূ-খন্ডের সরাসরি সড়ক যোগাযোগের সুবিধা সৃষ্টি হয়েছে। নরসিংদীর মূল মেঘনা থেকে বিভাজিত শহর ঘেষা শাখা মেঘনার উপর সেতু নির্মানের প্রথম দাবী তোলা হয় তৎতালীন খাদ্যমন্ত্রী আব্দুল মোমেন খানের নিকট।
পরবর্তীতে সেতু নির্মাণের ক্ষেতে তিনি চরের ভূ-তাত্তি¡ক দিক, নদী গবেষকদের মতামত ও চরের অর্থনৈতিক অবস্থাকে বিবেচনায় এনেছিলেন। নরসিংদী চরাঞ্চলের নজরপুর ও করিমপুর ইউনিয়নের চরভূমি মূল মেঘনার বুকে জেগে ওঠা। আড়িয়াল খা ও হাড়িধোয়া নদীর পলল ভূমি।
ভূ-তাত্বিকদের মতে হাড়িধোয়া আড়িয়াল খা,পাহাড়িয়া, আপার মেঘনা ও পুরাতন ব্রক্ষপূত্র নদ-নদীগুলো রয়েছে অভ্যন্তরীণ সংযোগ। বর্ষা মওসুমে প্রবাহিত পানির পরিমাণ প্রতি সেকেন্ড ১৪,৪০০ ঘনমিটারে। আর এই মেঘনা শাখার উত্তরাংশ নাগরিয়াকান্দি এবং পূর্বতীরের দড়িনবীপুর গ্রামের মাঝে খানেই নির্মিত হয়েছে বহুল আলোচিত মেঘনা সেতু। ৬৩০ মিটার এই সেতুর মূল কাঠামোর নীচ দিয়ে প্রবাহিত হবে ১৪,৪০০ ঘনমিটার পানি, সেতু নির্মাণের পূর্বে এই পানি প্রবাহিত হতো। বর্তমানে সেতুটিকে ৪টি নদ-নদীর ৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার অববাহিক দিক ১৪,৪০০ ঘনমিটার পানি বহনের ঝুঁকি নিয়ে হবে। নদী গবেষকদের মতে স্বাভাবিক বর্ষায় সেতুটির কতটুকু ঝুঁকি থাকবে তা বলা না গেলেও অস্বাভাবিক বর্ষা বড় ধরনের বন্যা হলে অববাহিকার পানির চাপ বাড়বে কয়েকগুন। এ ক্ষেত্রে কোন প্রকার তল¯্রােত সৃষ্টি হলে গোটা চর এলাকা মেঘনায় বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে এমপি ও প্রতিমন্ত্রী লে: কর্ণেল (অব.) নজরুল ইসলাম হিরু চরাঞ্চলের অর্ধলক্ষাধিক মানুষের উন্নয়নের জন্য ৯৪ কোটি টাকা ব্যয় করে সেতু নির্মাণ করেছেন। সেখানে ১৫/১৬ হাজার টন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়। ৪/৫ হাজার টন খাদ্যশস্য উর্দ্বত্ত হয়, এছাড়া বিদেশে চাকরি সুযোগে সেখানে বন্ধু সংখ্যক ক্ষুদ্র পুঁজিব সৃষ্টি হয়েছে। সেতু নির্মাণের ফলে সেখানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শিল্প কারখানা গড়ে উঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে আশা করেছেন চরাঞ্চলের মানুষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।