Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শশী থারুরের নতুন বই উন্মোচন মোদি গেমচেঞ্জার নন নেমচেঞ্জার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

ভারতের পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে প্রকাশিত নতুন এক বইয়ে মোক্ষম বোমা ফাটিয়েছেন কংগ্রেস নেতা ও লেখক শশী থারুর। গতকাল শনিবার প্রকাশিত এক বইতে তিনি বলেছেন, আসলে মোদি যা বলেন তা তিনি করেন না। নয়াদিল্লীতে শনিবার প্রকাশিত হয় শশী থারুরের সাম্প্রতিকতম বই ‘দ্য প্যারাডক্সিক্যাল প্রাইম মিনিস্টার, নরেন্দ্র মোদি অ্যান্ড হিজ ইন্ডিয়া’। বইটির প্রকাশক সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষ নেতা মনমোহন সিংহ। গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত নরেন্দ্র মোদির ‘মহান’ ভূমিকা নিয়ে দেশে-বিদেশে প্রকাশিত হয়েছে শত-শত বই। নিজের বইয়ে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে প্যারাডক্স শব্দটির অর্থের নানা উদাহরণ দিয়েছেন শশী থারুর। তিনি লিখেছেন, ‘এক দিকে নরেন্দ্র মোদি বলেন, সংবিধান নাকি তাঁর কাছে পবিত্র গ্রন্থ। অথচ বাস্তবে গান্ধী-নেহরু-আম্বেদকরের তিল তিল করে গড়ে তোলা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলি গত চার বছরে ধ‚লিসাৎ হয়ে গিয়েছে। মোদি বলেছিলেন, ‘সবকে সাথ, সবকা বিকাশ।’ শশী থারুর পাল্টা পরিসংখ্যান দিয়েছেন কর্মহীনতা এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্যের। তিনি বলেছেন, বড় লোক আরও বড় লোক হচ্ছে। গরিব আরও গরিব। প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব বুঝেছেন যে, ৫০৪ পৃষ্ঠার ওই বইটি নরেন্দ্র মোদি নামক বিজেপির সর্বরোগহর বটিকাকে সম্পূর্ণ উন্মোচিত করার এক ব্রহ্মাস্ত্র এ বই। শশী বলছেন, মোদীকে বলা হয় গেমচেঞ্জার। এখন দেখা যাচ্ছে তিনি আসলে ‘নেমচেঞ্জার’। যোজনা কমিশন থেকে নীতি আয়োগ। ইলাহাবাদ থেকে প্রয়াগরাজ। শশীর প্রশ্ন, ‘মৃতের শরীরে আতর ছড়ালে কি মৃত জীবিত হয়? আসলে মোদি যা বলেন তা তিনি করেন না। বিজেপির নেতারা ওই বইটিতে শশী থারুরের বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। বিজেপির মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, ‘শশী কংগ্রেসের সংসদ সদস্য। তিনি নিরপেক্ষ নন। তিনি গ্লাসে রাখা অর্ধেক পানি দেখে মন্তব্য করছেন, পুরো গ্লাসটা দেখছেন না।’ শশী বলেন, ‘আমি অস্বীকার করছি না যে, আমি কংগ্রেসের এমপি, তাই আমি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। কিন্তু আমি যুক্তিবাদী মন নিয়ে বিষয়টি বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছি।’ শশী থারুর বলেন, পাঁচ বছরে তার মনে হয়েছে, মোদি যতটা দেশের উন্নয়ন করতে চেয়েছিলেন, তার চেয়ে তাঁকে অনেক বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়েছে নিজেকে নিয়ে। এটাই এক ধরনের ‘নার্সিসিজম’ বা আত্মপ্রেম। শশীর বইয়ের প্রচ্ছদে দেখা যাচ্ছে, নিজের মোম-মূর্তিকে গভীর মনোযোগে ছুঁয়ে দেখছেন মোদি। শশীর কথায়, সাম্প্রদায়িকতা আর আত্মপ্রেম মোদিত্বকে হিন্দুত্বের যূপকাষ্ঠে বলি দিতে বাধ্য করেছে। মনমোহন সিং বলেন, ‘গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন মোদি। কিন্তু তিনি ও তাঁর সরকার ভোঁটারদের দেওয়া কথা রাখেননি। তিনি জনতার প্রধানমন্ত্রী হতে চান। অথচ সাম্প্রদায়িক হিংসা, গো-রক্ষকদের তান্ডব, গণপিটুনিতে খুন দেখেও নীরব থাকেন। মোদির শাসনে দেশের ভাল হয়নি।’ এবিপি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ