Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জরাজীর্ণ ভবনে দুপচাঁচিয়া পোস্টঅফিস

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে মো. গোলাম ফারুক | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের প্রধান ডাকঘরটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে কাজ চলছে। ফলে এলাকার গ্রাহকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

বগুড়া জেলার বৃহত্তর উপজেলার মধ্যে দুপচাঁচিয়া উল্লেখযোগ্য। ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকে উপজেলাটি সু-প্রতিষ্ঠিত। একই সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থাও অত্যন্ত উন্নত। দেশের বিভিন্ন কর্মকান্ডের সাথে গতিশীল রেখে উপজেলা প্রশাসনের কাঠামোর ব্যাপক পরিবর্তনের সাথে দুপচাঁচিয়া পোস্ট অফিসটি কাঠামোগত ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। ১৯৮৫ সালে ডাক বিভাগের অর্থায়নে উপজেলা সদরের পূর্বপারাস্থ পুরাতন মাটির ডাক ভবনটি ভেঙে পাকা ইমারত তৈরি করা হয়। পোস্ট অফিসের প্রশাসনিক কাজে ফিরে আসে গতিশীল। প্রতি মাসে গড়ে প্রায় সাধারণ সঞ্চয় ও মেয়াদি সঞ্চয় দেড় কোটি টাকা ও সঞ্চয়পত্র বিক্রয় প্রায় দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের এই ডাকঘরটি সার্বিক উন্নয়নের মাঝেও ব্রিটিশ আমলের নিয়ম ও পদ্ধতিতে কার্যক্রম চলার ফলে গ্রাহকদের দুুুর্ভোগ পোহাতে হয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর সরেজমিন দেখা গেছে, দীর্ঘদিনের নির্মিত নতুন এ ভবনটির অবস্থাও করুণ। ভবনটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় দেয়ালের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে। ছাদের ও ছাদের ভিমের প্লাস্টার উঠে গিয়ে রডগুলো বের হয়ে আছে। অফিস সংলগ্ন পোস্ট মাস্টারের বাসভবনটির অবস্থা একই। ইতঃপূর্বে এই অফিসসহ ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও জরাজীর্ণ এই ভবনে পোস্ট অফিসের কাজ চলছে।

এ দিকে আকাশের বৃষ্টির পানি থেকে রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কম্পিউটার ও অন্যান্য জিনিসপত্র আকাশে মেঘ দেখলেই পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হচ্ছে। ডাকঘরটির পশ্চিম ও দক্ষিণ পার্শ্বে সীমানা প্রাচীর বহু আগে ভেঙে গেছে। এ ব্যাপারে পোস্ট মাস্টার আব্দুল হাকিম মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ‘দৈনিক ইনকিলাব’কে জানান, ভবনটি সংস্কারের জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করেছেন। ইতোমধ্যে ডাক বিভাগের বগুড়া বিভাগের ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল ভবনটি পরিদর্শন করেছেন। জরুরি সংস্কারের জন্য প্রাথমিকভাবে সরেজমিন স্কিম তৈরিও করেছেন। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলেই ভবনটি সংস্কার করা হবে বলে তিনি জানান। এ দিকে ডাকঘরে লোকবলের অভাব রয়েছে। পোস্ট অফিসটি গুরুত্বপূর্ণ লেনদেন এসবি সঞ্চয়পত্র ও এফডি যাতে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা লেনদেন হয়ে থাকে। এ ছাড়াও তথ্য প্রযুক্তির আওতায় ছয় মাসের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও চালু রয়েছে। প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন ছাত্রছাত্রী নিয়মিত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা দ্রুত ডাক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পোস্টঅফিস
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ