পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাদক আর ‘অবৈধ’ নগদ টাকাসহ গ্রেফতার হয়েছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার (কারা তত্ত্বাবধায়ক) সোহেল রানা বিশ্বাস। গতকাল (শুক্রবার) দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে তাকে আটক করে ভৈরব রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরা। এসময় তার কাছ থেকে ‘অবৈধ’ নগদ ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা ও ফেনসিডিল পাওয়া যায়। এছাড়া জেলার সোহেল রানা বিশ্বাসের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া এক কোটি ৩০ লাখ টাকার চেক ও তার স্ত্রীর নামে দুই কোটি ৫০ লাখ টাকার এফডিআর সংক্রান্ত নথি উদ্ধার করা হয়েছে।
রেল পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, ভৈরব স্টেশনে নিয়মিত তল্লাশির সময় বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে তাকে আটক করা হয়। প্রথমে সাধারণ যাত্রী হিসাবে তাকে আটক করা হলেও পরে তিনি তার পরিচয় দেন। এসময় তার কাছ থেকে থেকে নগদ ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা ও ১২ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া যায়। এত টাকার ব্যাপারে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি। পরে তার ব্যাগ তল্লাশি করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া এক কোটি ৩০ লাখ টাকার চেক পাওয়া যায়। এছাড়া তার স্ত্রীর নামে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা এফডিআর সংক্রান্ত কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক রাতে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, রেলওয়ে পুলিশ তাকে অবৈধ টাকা ও মাদকসহ গ্রেফতারের বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছে। সেখানে কারাগারের কর্মকর্তারা গেছেন। তার বিরুদ্ধে রেল পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের হচ্ছে বলেও জানান তিনি। ঘটনাকে দুঃখজনক মন্তব্য করে তিনি বলেন, সোহেল রানা বিশ্বাস ৫দিনের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছিলেন। বাড়ি যাওয়ার পথেই রেল পুলিশের তল্লাশির সময় তাকে আটক করা হয়।
সিনিয়র জেল সুপার বলেন, গত নয় মাস আগে সোহেল রানা চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে জেলার পদে যোগ দেন। তিন মাস আগে তিনি সিনিয়র জেল সুপার পদে আসেন। তিন মাসে তার বিরুদ্ধে তিনি অনেক অভিযোগ পেয়েছেন এবং কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান সিনিয়র জেল সুপার।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানায়, বন্দিদের জিম্মি করে তিনি অর্থ আদায় করতেন। বর্তমানে চট্টগ্রাম কারাগারে ধারণ ক্ষমতার সাড়ে পাঁচগুণ বন্দি আছে। ঠিকাদারদের সাথেও ছিল তার দহরম মহরম। সহকারি জেলার থেকে শুরু করে জেলার পদে তিনি ঘুরে ফিরে দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম কারাগারে আছেন। কারাগারে এবং কারাগারের বাইরে মাদক ব্যবসার সাথেও তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। সিনিয়র জেল সুপার এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি। তবে তার ব্যক্তিগত জীবনেও কিছু সমস্যা আছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।