Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে ভূমিকা রাখার আশ্বাস চীনের

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চুক্তি বাস্তবায়নে চীন সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে। চীনে যেতে হলে আগাম ভিসা নিতে হবে না বাংলাদেশিদের। বিমানবন্দরেই মিলবে ভিসা। গতকাল শুক্রবার সকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।
সচিবালয়ে বাংলাদেশ ও চীনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক সূত্রে আরো জানা গেছে যে, বৈঠকে সন্ত্রাস, কাউন্টার টেরোরিজম, মাদক ও সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা ও ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করা হয়। রোহিঙ্গা ইস্যুতে শিগগিরই বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বৈঠকে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, তারা আশ্বাস দিয়েছেন, তারা ফিল করছেন যে এটা তাড়াতাড়ি সলভড হবে। সেই অনুযায়ী সবকিছু তারা লক্ষ্য রাখবেন, এটা আলোচনার সময় তারা বলেছেন। এক মিলিয়ন রোহিঙ্গা আসায় বাংলাদেশ ভিকটিম হয়েছে। বাংলাদেশ একটা ছোট দেশ, তার পরও এদের শেল্টার দিয়েছে-এ জন্য প্রশংসা করেছেন তারা (চীন)।
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কোনো ধরনের ভূমিকা রাখবে চীন -এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, মিয়ানমার আমাদের সঙ্গে যে এগ্রিমেন্টগুলো করেছে সেগুলো যাতে তাড়াতাড়ি বাস্তবায়ন হয় সেই বিষয়ে তারা সহযোগিতা করবেন। মিয়ানমার, আমাদের ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে, সেখানে আরও ডিসকাশন হবে, যাতে ইজি করে দেয়া যায় এ জিনিসগুলো।
তিনি আরো বলেন, আমাদের এজেন্ডা (আলোচ্য বিষয়) ছিল চারটি, কিন্তু দশটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। তিনটি ডকুমেন্টস সাইন হয়েছে। প্ল্যান অব অ্যাকশন অন ল এনফোর্সমেন্ট ট্র্্েরনিং কো-অপারেশন, কো-অপারেশন ডকুমেন্ট অব এস্টাবলিস্টমেন্ট জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ, সাইনিং অব লেটার অব চেইঞ্জ অন পুলিশ ইকুয়েপমেন্ট এইড। এ তিনটি ডকুমেন্ট সাইন হয়েছে আমাদের মধ্যে আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের জন্য।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জঙ্গি ও ট্রান্স-ন্যাশনাল ক্রাইম এগুলো নিয়ে আমরা সব সময় কথা বলব। আমাদের প্রতিনিধিরা সেখানে যাবেন, ভিউজ অ্যাকচেইঞ্জ হবে। চীনের সঙ্গে ইন্টিলিজেন্স শেয়ার হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কীভাবে চীনের ভিসা আরও ইজি করা যায়। আমরা ইতোমধ্যে ইজি করে দিয়েছি, সেটা নিয়ে কথা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তারা কোনো ধরনের সহযোগিতা দেবে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের পুলিশের যেসব ইকুইপেমেন্ট প্রয়োজন সেগুলো তারা সহযোগিতা করবেন। ট্্েরনিংয়ের ব্যবস্থা তারা সবসময় করবেন। এ ছাড়া আমরা যেভাবে চাই সেভাবে তারা ট্র্্েরনিংয়ের ব্যবস্থা করবেন। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও চীনের জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ও পার্টি কমিটির সম্পাদক ঝাও কেঝির নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষ হয় দুপুর ১২টার দিকে। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় চীনের জননিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী সচিবালয়ে উপস্থিত হলে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অধীন সংস্থা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। চীনের পক্ষে ছিলেন ঝাও কেঝির নেতৃত্বে দেশটির ২৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ