Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুবি ক্যাম্পাস দ্বিভক্তিকরণের গুঞ্জনে সরব কুবির ফেসবুক গ্রুপ

কুবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০১৮, ৪:৪২ পিএম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) সদ্য পাশকৃত অধিকতর উন্নয়ন’ প্রকল্পটির বড় খাত নতুন ভূমি অধিগ্রহণ কোন অংশে করা হবে তা নিয়ে প্রকল পাশের একদিন পার হতেই শুরু হয়েছে ক্যম্পাস দ্বিভক্তিকরণের গুঞ্জন। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়েরশিক্ষার্থীদের অনেকেই ক্যাম্পাস অখন্ড রেখে বর্তমান ক্যাম্পাসের লাগোয়া আশপাশের জমি অধিগ্রহণের দাবি জানাচ্ছেন।
অখন্ড কুবি চাই হ্যাশট্যাগে আহসান হাবিব পলিন নামে এক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপে লিখেছেন,'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান পরিবর্তন মানিনা। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করব। ’
উর্মি আক্তার নামক এক আইডি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক গ্রুপ 'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়-কুবি-তে পোস্ট দেয়া হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেগা প্রজেক্টের আওতাধীন ভূমি অধিগ্রহণে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ৭, ৯, ১২ এবং ১৩ নং মৌজার অন্তর্ভুক্ত জমি নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে ১২ ও ১৩ নং মৌজা হচ্ছে রাজা খোলা গ্রামের মৌজা। যা কিনা মূল ক্যাম্পাস থেকে দূরে। প্রায় একই ধরণের পোস্ট দেয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর আইডি থেকেও।
বুধবার (২৪ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ৪১১ নং রুমে প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিতপ্রেস ব্রিফিং এ ভিসি ভূমি অধিগ্রহণের স্থানটি এড়িয়ে যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের কার্যক্রমের মধ্যে ২০০.২২ একর ভূমি কোন স্থানে নেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, ‘নতুন জমি কোথায় নেওয়া হবে তা সরকার নির্ধারণ করবে। সরকার যেখানে জমি দিবে সেখানেই প্রকল্পের কাজ হবে।’
কিন্তু প্রকল্প অনুমোদন হওয়ার আগেই কোথায় জমি নেওয়া হবে তা নির্ধারিত হওয়ার কথা এমনটাই মনে করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। যা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পক্ষে বিপক্ষে মতামত দিচ্ছেন। যেখানে প্রায় সবাই ই প্রশাসনের সমালোচনা করে তাদের অভিমত ব্যক্ত করছেন।
এদিকে একই গ্রুপে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ তার দেয়া চারবারের সংশোধিত এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন,"চুপ থাকার অনেক ফজিলত। ধনড়ঁঃ ঢ়ৎড়লবপঃ. হাজার হাজার শিক্ষার্থীর স্বার্থে প্রয়োজন হলে ২-৩ দিন পর মুখ খুলব।"
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) ড. মো. আবু তাহের ভূমি অধিগ্রহণ সম্পর্কে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মূল ক্যাম্পাস এখানেই থাকবে। এখান থেকেই ক্যাম্পাস সম্প্রসারণ করা হবে। তবে এই ক্যাম্পাসের পাশে পর্যাপ্ত ভূমি না থাকায় ক্যাম্পাস সম্প্রসারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিমে এক কিলোমিটার দূরে হবে। যেটা শিক্ষার্থীদের তেমন কোন সমস্যার কারণ হবে না বলে মনে করি।'
এদিকে বিশ্ববদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা অখন্ড কুবি চাই হ্যাশট্যাগে পোস্ট দিচ্ছেন এবং ক্যাম্পাস থেকে দূরে অন্যত্র জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতা করছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কুবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ