পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার জোরদার করা উচিত : হাছান মাহমুদ
গ্রেফতার নিয়মিত আইন-শৃঙ্খলা কার্যক্রমের অংশ : মোঃ সোহেল রানা
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার পশ্চিম ধোলাইপাড় এলাকায় গত বুধবার রাতে অভিযান চালায় পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার পর পর হঠাৎ করেই শত শত পুলিশ পুরো এলাকা কর্ডন করে অলিতে-গলিতে অবস্থান নেয়। এতে করে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। পুলিশ অলি-গলিতে প্রবেশ করে তল্লাশী চালায়। পথচারীদেরকেও দাঁড় করিয়ে শরীর তল্লাশী করা হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, হঠাৎ করে শত শত পুলিশের উপস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে এই খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পরায় ঘরমুখি অনেকেই ভয়ে সটকে পড়েন। একই রকম অভিযান চালানো হয় আগের দিন মঙ্গলবার রাতে দনিয়া এলাকায়। রাত ৮টার দিকে হঠাৎ করেই শত শত পুলিশ সদস্য দনিয়ার পোস্ট অফিস গলি ও গোয়ালবাড়ী মোড় এলাকায় কর্ডন করে ফেলে। শত শত পুলিশের উপস্থিতি দেখে এলাকায় আতঙ্ক চড়িয়ে পড়ে। অনেকে পত্রিকা অফিসে ফোন করে জানতে চান, কি হয়েছে যে, এতো পুলিশ এলাকায়। স্থানীয়রা জানান, পুলিশ বিভিন্ন গলির মুখে অবস্থান নিয়ে পথচারীদের শরীর তল্লাশী করে। শুধু তাই নয়, পুলিশ তল্লাশীর জন্য বাসা-বাড়িতেও প্রবেশ করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। স্থানীয় অনেকেরই দাবি, এতো বেশি সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি এর আগে কখনও এলাকায় দেখা যায় নি। সে কারণেই মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই বাসার দরজা বন্ধ করে ভেতর থেকে উদ্বিগ্নভাবে এদিক-ওদিক যোগাযোগ করতে থাকেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এসময় অনেকেই পোস্ট দিয়ে নিজের অসহায়ত্বের কথা প্রকাশ করে।
সে সময় পুলিশের একাধিক কর্মকর্তাকে ফোন দিলে তারা জানান, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। একজন পুলিশের কর্মকর্তা জানান, নির্বাচনকে সামনে ঢাকায় সংহিসতা হতে পারে। মূলত এই ধরণের তথ্যের ভিওিতেও প্রতিটি থানা এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, অভিযানে সন্দেহভাজন ছাড়া কারও বাড়ি-ঘরে তল্লাশী চালানো হবে না। এতে সাধারণ মানুষের ভয়ের কিছু নেই। অথচ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের ভীতি ও আতঙ্কের চিত্র। বুধবার একজন লিখেছেন, চারিদিকে পুলিশ। বাসা থেকে বের হতে পারছি না। কি জানি কি হচ্ছে জানি না। মঙ্গলবারের ঘটনায় দনিয়া এলাকার একজন লেখেন, এলাকায় এত পুলিশ কেন, বুঝতেছি না। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান হলে পুলিশকে সাধুবাদ জানাই।
শুধু মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান নয়; সারাদেশের চলছে গ্রেফতার আতঙ্ক। বিশেষ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার আতঙ্ক বেড়ে গেছে। বিভিন্ন যায়গায় অনেক গ্রেফতারের ঘটনাও ঘটেছে। একারণেই রাজধানীসহ সারাদেশেই বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঝে গ্রেফতার আতংক বিরাজ করছে। মামলার আসামী না হয়েও গায়েবী মামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকেই। দলীয় কর্মকান্ডে সক্রিয় নেতাকর্মীদেরা পাশাপাশি আতংকের মধ্যে রয়েছেন সাধারন মানুষও। বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িতরা গ্রেফতার এড়াতে অনেকে নিজ বাসা ছেড়ে অন্যত্র রাত যাপন করছেন। গতকাল পর্যন্ত সারাদেশে পুলিশের হাতে ৫হাজারের অধিক বিএনপি দলীয় নেতা-কর্মী গ্রেফতার হয়েছেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার গায়েবী মামলার ভয়ে অনেকেই রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে সাময়িক দূরে রয়েছেন।
আইন-শৃংখলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে নাশকতার আশঙ্কা করছে সরকার। বিশেষ করে নাশকতা মামলার আসামিরা ফের জ্বালাও পোড়াওসহ বড় ধরনের হামলা করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সরকারের উচ্চপর্যায়ে এধরনের তথ্যও রয়েছে। এ অবস্থায় কঠোর অবস্থান নেয়ার জন্য দেশের সকল মেট্টোপলিটন ও জেলা পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে পুলিশ সদর দফতর থেকে। যদিও পুলিশের শীর্ষ পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতির কোনো আশঙ্কা নেই। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ গতকাল এক অনুষ্ঠানে বলেন, সন্ত্রাসী, জঙ্গিগোষ্টি ও অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের গ্রেফতার অভিযান আরো জোরদার করা প্রয়োজন।
বিএনপির স্থানী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, আমাদের নির্বাচনের বাইরে রেখে সরকার ৫ জানুয়ারীর মতো একটি প্রহসনের নির্বাচন করতে চায়। এ জন্য একেবারে গ্রামে গঞ্জের ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নামে গায়েরী মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঘরে থাকতে পারছে না। তবে সরকারের এই চক্রান্ত দেশের মানুষ সফল হতে দেবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পুলিশ সদরদফতরের এআইজি (মিডিয়া) মোঃ সোহেল রানা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, গ্রেফতার ও অভিযান নিয়মিত আইন-শৃংখলা কার্যক্রমের অংশ। কোন নিদিষ্ট দল বা ব্যক্তিকে গ্রেফতারে পুলিশের পক্ষ থেকে কোন অভিযান চালানো হচ্ছে না। নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিণœ মামলায় পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
সূত্র জানায়, এর মধ্যে পুলিশ নাশকতা ও গায়েবী মামলার আসামিদের গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক দলে সক্রিয় নেতাকর্মীদের দিকেই পুলিশের নজর বেশি। যারা সরকার বিরোধী অন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে তাদেরই টার্গেট করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, কেবল নাশকতার মামলার আসামি নয়, বরং কোন মামলা ছাড়াই গ্রেফতার করা হচ্ছে দলীয় নেতাকর্মীদের। এমনকি, থানায় মামলা, জিডি, অভিযোগ না থাকলেও পুলিশ বাসা থেকে নিরীহ নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবাস শেষে জামিনে মুক্তিলাভ করা নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে গিয়ে পুলিশ হানা দিচ্ছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মামলা দায়ের ও গ্রেফতার করা হয়েছে ৫হাজারের অধিক। ‘গায়েবি’ এসব মামলায় জ্ঞাত ৮৮ হাজার ৭৭১ জনকে এবং অজ্ঞাত ২ লাখ ৭৭ হাজার ৮০৭ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সিলেটে বিএনপির ৯০ নেতাকর্মী আটক
সিলেট ব্যুরো জানায়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক ধর পাকড়ে মেতে উঠে সিলেট মহানগর পুলিশ। সমাবেশের আগের ও পরে গত ৩৬ ঘন্টায় ঘণ্টায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ৯০ নেতা-কর্মীকে আটকের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার মুক্তাদিরও রয়েছেন। তবে জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ডা: শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েছে লোদিকে আটকের পর ছেড়ে দেয় পুলিশ।
মঙ্গলবার ভোর থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন মামলায় এসব নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে যোগদানে আসা কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতাদের সাথে মঙ্গলবার সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামীমের সুবাহনীঘাটস্থ বাসায় বৈঠককালে পুলিশ হানা দিয়ে আটক করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক আহবায়ক শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী এবং সিলেট মহানগর বিএনপির সহসভাপতি ও সিলেট সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদীসহ ৬ জনকে। তবে রাতেই শাহরিযার হোসেন চৌধুরী ও রেজাউল হাসান কয়েস লোদীকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এছাড়াও সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।
অপরদিকে, ঐক্যফ্রন্ট সমাবেশ থেকে ফেরার পথে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির সহ বিএনপির ২০/২৫ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তাকে হাজির করা হলে পরে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিচারক। খন্দকার মুক্তাদিরকে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম ও নাশকতার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গত ১৫ অক্টোবর স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে খন্দকার মুক্তাদিরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনিপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ বলেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে দমন নিপীড়নের অংশ হিসেবে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয় সিলেটে। এছাড়া গ্রেফতারী আতঙ্ক রয়েছেন হাজার হাজার নিরপরাধ নেতাকর্মী।
নলছিটিতে বিএনপি নেতা আটক
ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা : নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনার অভিযোগে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক ও মোল্লারহাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস ছালামকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে মোল্লারহাট বাজারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে তাঁকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় নলছিটি থানায় আবদুস ছালামসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করে পুলিশ। মামলায় অজ্ঞাত আসামী করা হয় ৭০-৮০ জনকে।
পুলিশ জানায়, গত বুধবার রাতে মোল্লারহাটে আবদুস ছালামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লোকজন নিয়ে নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এসময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও আবদুস ছালামকে আটক করা হয়। নলছিটি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল হালিম তালুকদার বলেন, ছালামের বিরুদ্ধে নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
রাজশাহীতে ২৯ গায়েবি মামলা সহ¯্রাধিক আসামি
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহীতে জেলা ও মহানগর পুলিশ প্রতিদিন রাতে অভিযান চালাচ্ছে। গড়ে আটক হচ্ছে অর্ধশতাধিক। এরমধ্যে রাজনৈতিক নেতাকর্মী, মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী আর অন্যান্য আসামি। প্রতিদিন পুলিশের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য দেখা যায়। গত এক সপ্তাহের প্রতিবেদন দেখা যায় প্রায় তিনশতাধিক আটক হয়েছে।
পুলিশ বলছে এটা তাদের নিয়মিত কর্মর্সূচির অংশ হিসাবে এমন আটক। বিএনপির ত্রান ও পুর্নবাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি এ্যাড. শফিকুল হক মিলন বলেন, প্রতিদিন পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে। এমনকি কর্মসূচিতে অংশ নেবার জন্য দলীয় কার্যালয় কিংবা তার আশেপাশে এলেও পুলিশ তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। কালো পতাকা কর্মসূচিতে অংশ নিতে আসার সময় চার ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে। বিনা কারণে সাম্প্রতিককালে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে গায়েবি মামলা হয়েছে উনত্রিশটি। আরো প্রায় দুই হাজার মামলায় আসামি রয়েছে কয়েক হাজার। তারপরও আবার রয়েছে অজ্ঞাত আসামির ফাঁদ। রাজশাহী চারঘাটের জনপ্রিয় নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ চাঁদকে বেশ কিছুদিন থেকে আটক রাখা হয়েছে। আদালত থেকে জামিন নিলেও ফের কারা ফটকে আরেকটি মামলা দেখিয়ে আটক রাখা হচ্ছে। এনিয়ে তিনবার কারা ফটকে দেখানো হলো। সামনে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের সমাবেশ ঘিরে আরো ধড়পাকড়ের আশংকা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।