পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যুক্ত হওয়ার কারণে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ। সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেছেন, একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিকে যেভাবে প্রশ্ন করতে হয় সে ভাষায় প্রশ্ন করেননি। বরং আক্রমণাত্মক ভাষায় অসম্মানজনকভাবে প্রশ্ন করেছেন। একজন আইনজীবী নেতা হিসেবে আমরাও অসম্মান বোধ করছি। ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণেই রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। অনতিবিলম্বে আমরা তার মুক্তি দাবি করছি। গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্টের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে সমিতির পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
জয়নুল আবেদীন বলেন, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন এক সময় আওয়ামীলীগ থেকে নির্বাচিত এমপি ছিলেন। ওই সময় বাকশাল প্রতিষ্ঠার প্রতিবাদে একমাত্র তরুণ সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি পদত্যাগ করেছিলেন। তিনি তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি। একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিকে যেভাবে প্রশ্ন করতে হয় সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি সে ভাষায় প্রশ্ন করেননি। বরং আক্রমণাত্মক ভাষায় অসম্মানজনকভাবে প্রশ্ন করেছেন। এতে করে তিনি অসম্মানবোধ করেছেন। একজন আইনজীবী নেতা হিসেবে আমরাও অসম্মানবোধ করছি। জয়নুল আবেদীন বলেন, ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন মাসুদা ভাট্টির কাছে লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু মানহানির অভিযোগ এনে মাসুদা ভাট্টি মামলা করেছেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ৫০০ ধারায় এসব মামলায় আদালত জামিন দিতে বাধ্য। বরং জামিন না দেয়া অপরাধ। জয়নুল আবেদীনের অভিযোগ, একই ঘটনায় একাধিক মামলা করার আইন নেই, তবুও করা হচ্ছে। তার বক্তব্যকে রাজনৈতিকভাবে নিয়ে যুবলীগের নেত্রীরা সারাদেশে মামলা করছেন। কারণ, এ দলের লোকেরা সংবিধান মানেনা, আইন মানেনা। এসব মামলা জামিনযোগ্য। কিন্তু আদালত তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এটা দুঃখজনক। আমরা অনতিবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করছি। সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা, ড. গোলামর হমান ভূঁইয়া। এ ছাড়াও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, মানহানি মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসনকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।