রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের পাহাড়পুর ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী মাইন উদ্দিন চিশতীকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ মিলেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল পাশা মোবাইল ফোনে এই হুমকি দেন। ওই প্রার্থীর বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে। এ ঘটনার পর ওই প্রার্থী ও তার সমর্থকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদের প্রতিদ্বন্দ্বী মোট ৬ জন। এর মধ্যে ৪ জন বিভিন্ন দলের। আর স্বতন্ত্র ২ জন। ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে চিশতীর ওপর চাপ। কাজী মাইন উদ্দিন চিশতী জানান, গত মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৪ টায় বিজয়নগর থানার ওসি তাকে ফোন দেন। জানতে চান তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়েছে কিনা। আমি তখন জনগণের চাপে নির্বাচন করছি বলার পর তিনি (ওসি) আমাকে বলেন, আপনার জনগণ থাকবে না, আপনিও থাকবেন না। আমাকে দেশ ছাড়া করার কথা বলেন তিনি। এরপর ওইদিন রাত পৌনে ১১টায় আমার বাড়িতে দুই গাড়ি পুলিশ এসে তল্লাশি চালায়। যেভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে তাতে শেষ পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবো কিনা তা নিয়ে আমি সন্দিহান। ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদূন নূর জানান, সুষ্ঠুু নির্বাচন যদি হয় আর তাতে বিদ্রোহী প্রার্থী পাস করে তাহলে কেউ কি ফেরাতে পারবে? তবে আ.লীগ প্রার্থী আবদুর রশিদ খন্দকার জানান, তার নির্বাচনী মাঠ ভালো। বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল পাশা জানান, চিশতী সরকারী দলের সদস্য হয়ে সরকারী দলের বিরুদ্ধে নির্বাচন করছে। তাই মাঠ দখলে নিতে তাকে তো কিছু বলতেই হবে। সে সেটাই করছে। তাছাড়া এ সব না বললে সাংবাদিকরা কি লিখবে? প্রার্থীদের বাড়িতে পুলিশ যাচ্ছে তাদের কোন সমস্যা আছে কিনা সেই খোঁজখবর নেয়ার জন্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।