পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720152171](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের গ্রেফতার ও জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় উঠেছে। গত সোমবার রাত সাড়ে ৯ টায় উত্তরায় ঐক্যফ্রন্ট ও জাসদ নেতা আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফেসবুক, টুইটার, গুগল ও ইউটিউবে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের গ্রেফতার বিষয়ক খবর ব্যাপকভাবে শেয়ার ও কমেন্ট
হতে থাকে। এ ঘটনার পক্ষে বিপক্ষে নানা মন্তব্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা পোস্ট দিতে থাকে। এসব পোস্টের বেশিরভাগই ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের পক্ষে। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অনেকেই ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের গ্রেফতারের নিন্দা করে পোস্ট দেয়, কেউবা লেখেন, সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে। কেউ লেখেন, বিরোধী জোটের আন্দোলনকে দমনের জন্য মইনুল হোসেন সাহেবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেউ লিখেছেন, সরকার বিরোধী আন্দোলনকারীদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে দিতে এই গ্রেফতার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন খ্যাতনামা ও জনপ্রিয় শিক্ষক মইনুল হোসেন সাহেবের গ্রেফতার নিয়ে আইনের যেসব ব্যত্যয় ঘটেছে তা তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন। এতে তিনি বলেছেন,
“ক) একটা অভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা হয়না। বিশেষ করে বাদী নিজে সংক্ষুদ্ধ হয়ে মামলা করার পরে একই অভিযোগে অন্যদের মামলা দায়েরের কোন যুক্তি থাকতে পারেনা। আদালত আগে দায়ের করা মামলাগুলো জুডিশিয়াল নোটিশে নিতে পারতো। না নিলে, নিজে অন্তত মামলা আমলে নেয়ার আগে তদন্তের আদেশ দিতে পারতো সিআরপিসি সেকশন ২০২ অনুসারে।
খ) মামলা আমলে নিলেও গ্রেফতারী পরোয়ানা না দিয়ে আসামীকে হাজির হওয়ার জন্য সমন দিতে পারতো আদালত। মানহানির মতো খুব লঘু একটি ফৌজদারী অপরাধে একবারে
গ্রেফতারী পরোয়ানা দিয়ে দেয়ার নজীর আদৌ আছে কিনা আমার সন্দেহ রয়েছে।
গ) পেনাল কোডের ৫০০ ধারার অধীন মানহানি মামলা একটি জামিনযোগ্য অপরাধ। এমন একটি অপরাধে জামিন মঞ্জুর হওয়াটা্ই খুব স্বাভাবিক হতো। এসব বিবেচনায় নিলে ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেনের বিচার স্বাভাবিকভাবে হচ্ছে না মনে হতে
পারে যে কারোর।” শুধু এ নয়, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিন বাতিল ও ডিভিশন না দেয়ার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক প্রতিবাদ করা হয়। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন দেশের অন্যতম প্রাচীন ইংরেজি দৈনিকের সম্পাদক, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী পদমর্যাদায় সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে আইন অনুযায়ী ডিভিশন প্রাপ্য হলেও তাকে ডিভিশন না দেয়ায় ব্যাপক সমালোচনা করা হয়।
ব্যারিস্টর মইনুল হোসেনের টক শোতে দেয়া বক্তব্যগুলো নতুন করে ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক শেয়ার দেয়া হয়েছে। এসব ভিডিও হাজার হাজার ভিউ দেখা যায়। দৈনিক ইনকিলাবেও ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের উপর করা নিউজগুলো ব্যাপক পঠিত হয়, সর্বাধিক পঠিত তালিকার মধ্যেও উঠে যেতে দেখা যায়।
তবে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিপক্ষেও অনেককে পোস্ট দিতে দেখা যায়। অনেকে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাংবাদিক সম্মেলনে দেয়া ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সম্পর্কে দেয়া বক্তব্য হাইলাইট করে বক্তব্য পোস্ট দিয়েছে। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের টেলি কনফারেন্সের কথোপকথনও ফেসবুকে ব্যাপক শেয়ার করা হয়েছে। বিশেষ করে তারেক রহমানের নেতৃত্ব ধংস করা বিষয়ে মইনুল হোসেন সাহেবের দেয়া বক্তব্য হাইলাইট করে মইনুল বিরোধীরা
পোস্ট দেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।