পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘মেলায় যাই রে, মেলায় যাই রে/ বাসন্তী রঙ শাড়ি পড়ে ললনারা হেটে যায়’ (ফিডব্যাক)। প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদের ভাষায় শুধু ‘গরীবের বউ’ নয়; রাজনীতি যেন মাকসুদের গান ‘মেলায় যাই রে’ হয়ে গেছে। রাজনীতি হলো রাজার নীতি; আদর্শ-নীতি-নৈতিকতা ইত্যাদি লক্ষ্য-উদ্দেশ্যে বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দল গঠিত হয়। অথচ দেশে রাজনৈতিক দল গঠনের হিড়িক চলছে। ‘ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার! দর্শন-নীতি-আদর্শ-উদ্দেশ্য ও জনসমর্থন দূরের কথা, কর্মী-সমর্থকের বালাই নাই; দেদারসে গড়ে উঠছে নতুন নতুন প্যাড সর্বস্ব রাজনৈতিক দল। মেলায় যেমন মুড়ি-মুড়কিসহ হরেক রকম দোকান বসে; রাজনৈতিক দলের নামে যেন শত শত দোকান খোলা হয়েছে। মা এবং ছেলে একই নামে দু’টি দল খুলছেন। অফিসের পিয়ন নিজের নেতৃত্বে দল প্রতিষ্ঠা করছেন। সরকারি অফিসে পিয়নের চাকুরে, ফুটপাতে ফলমূলের দোকান করেন তারাও খুলে বসেছেন রাজনৈতিক দল। একাই দলের রাজা-মহারাজা। অধিকাংশ দলের আবার নিজস্ব কোনো অফিস নেই। এমনকি নেতা মিটিং-মিছিল দূরের কথা নিজেরা প্রেস রিলিজ লিখতে পারেন না। ব্যাগের মধ্যেই প্যাড থাকে। দু’তিনশ টাকা দিয়ে প্রেস রিলিজ লেখিয়ে নেন। কেউ কেউ সাংবাদিকের হাতে ৫শ টাকা ধরিয়ে দিয়ে পত্রিকায় নাম ছাপান। হরেক রকমের রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে খোলা হয় জোট-ফ্রন্ট-ঐক্য নামের নানান প্লাটফর্ম। একটি দল রয়েছে তিন/চারটি করে ফ্রন্টে। নির্বাচন এলেই এই দলগুলো মধ্যে জোট-মহাজোট, উপজোট, ফ্রন্ট খোলার হিড়িক পড়ে গেছে। ডান-বাম, মধ্যপন্থী-ইসলামী সবত্রই একই চিত্র।
দেশের রাজনীতির দরজা এখন হাঁ হাঁ উন্মুক্ত। নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় সেই উন্মুক্ত মাঠ উথাল-পাথাল। বড় দলগুলোর নেতাদের ক্ষমতায় যাওয়ার লক্ষ্যে মন-মনন শব্দবন্ধে আচ্ছন্ন; করছেন জোট-মহাজোট-উপজোট-পাতিজোট। যেভাবেই হোক ‘সোনার হরিণ ক্ষমতা’য় যাওয়া চাই। সে জন্য বড় দলগুলো ঝুকছে জোট-মহাজোটের পথে; সেই সুযোগ নিয়ে প্যাড সর্বস্ব দলগুলো মূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। নির্বাচনে ১০ জন প্রার্থী দেয়ার মুরোদ নেই; দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট করতে গিয়ে দেড়শ আসন দাবি করেন। ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার পদে ভোট করলে ১০ ভোট পাবেন না; তিনিও চাচ্ছেন সংসদের আসন। আহা! কত চমৎকার রাজনীতি!! এ যেন নিছক ছেলেখেলা!!!
এক. লিখতে বসতেই চোখের সামনে ভেসে উঠলো ফিরোজ মোঃ লিটনের মুখ। সে পিএনপি (প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল) ও এনপিপি (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি) প্রতিষ্ঠাতা শেখ শওকত হোসেন নিলুর অফিস পিয়ন। নিলু পিএনপি থেকে এনপিপি গঠন করলে লিটন নিজেই পিএনপির চেয়ারম্যান হয়ে যান। নিলুর দলের আরেক নেতা বাবুল সর্দার চাখারী কাকরাইলের এজি অফিসের পিয়ন। তিনি ছিলেন এনপিপিতে। হঠাৎ তিনি নিজেই চেয়ারম্যান হয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল পিপলস পার্টির জন্ম দেন। একাই দলের হর্তাকর্তা। কর্মী-সমর্থক দূরের কথা দলে দ্বিতীয় কোনো ব্যাক্তি নেই। মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী প্রতিষ্ঠিত ন্যাপের কথাই ধরি। রাজনীতির জীবন্তকিংবদন্তী অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ ও তাঁর স্ত্রী আমেনা আহমেদের নেতৃত্বে বর্তমানে ন্যাপ ১৪ দলীয় জোটে। দেশের প্রতিটি গণআন্দোলনের পুরোধা ব্যাক্তিত্ব প্রবীণ রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টাচার্য ঐক্য ন্যাপের আহবায়ক। এ দু’টি দল ছাড়াও বর্তমান রাজনীতির বাজারে ন্যাপ নামে রয়েছে আরো ১০টি দল। এগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছেন মওলানা ভাসানীর পুত্রবধু পারভীন নাসের ভাসানী, নাতি আবু রেজা খান ভাসানী পরশ, মোসতাক আহমদ, আনোয়ারুল হক, আবদুল হাই সরকার, হাসরত খান ভাসানী, এ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, জেবেল গণি, শাওন সাদিক প্রমূখ। এরা সবাই দলের চেয়ারম্যান-সভাপতি।
দুই. নির্বাচন কমিশনে ৩৯টি দল নিবন্ধিত। কয়েক মাস আগে ৭২টি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু মৌচাকে ঢিল ছুঁড়লে উড়ন্ত মৌমাছির সংখ্যা গণনা যেমন দূরহ; তেমনি দেশের রাজনৈতিক দলের সঠিক সংখ্যা গণনা দূরহ। আবার রাজনৈতিক জোট-ফ্রন্ট-উপজোট-পাতিজোটের সংখ্যা ১৬। এই জোটগুলোর মধ্যে নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত দল এবং সংগঠনের সংখ্যা প্রায় তিনশ। জোটগুলো হলো-১৪ দলীয় জোট, ২০ দলীয় জোট, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, সম্মিলিত জাতীয় জোট, গণতান্ত্রিক বাম জোট, যুক্তফ্রন্ট, জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়া, ইসলামিক ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, বাম ঐক্যফ্রন্ট, জাতীয় ইসলামী মহাজোট, বাংলাদেশ জাতীয় জোট (বিএনএ), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(এনডিএফ), গণতান্ত্রিক জোট, প্রগতিশীল জোট, হুদা জোট ও বিজেপি। এর মধ্যে আবার একই দল একাধিক জোটের শরীক। এই প্যাড সর্বস্ব দল আবার ভেঙ্গে ক্ষুদ্র অনু-পরমানু হয়ে নানান জোটের শরীক। এই জোটগুলোর কার্যক্রমে দেখা যায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটে ১২ দল। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। এরশাদের নেতৃত্বে সম্মিলিত জাতীয় জোটে ৫৮ দল। বি. চৌধুরীর নেতৃত্বের যুক্তফ্রন্ট ভেঙ্গে গেছে। ১৬ দল নিয়ে গঠিত হয় ইসলামিক ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স। ২২টি বামদল জোট করেছে ৪টি। ইসলামী দলগুলোর জোটও কয়েকটি। কয়েকটি ইসলামী দল আদর্শ সিঁকেয় তুলে রেখে মধ্যপন্থী দলগুলোর সঙ্গেও জোট করে হালুয়া-রুটি খাচ্ছে।
আসুন জোটগুলোর চিত্র দেখি। ১৪ দলীয় জোট ঃ আওয়ামী লীগ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ (ইনু), জাসদ (বাদল), ন্যাপ (মোজাফফর), গণতন্ত্রী পার্টি, গণআজাদী লীগ, বাসদ (রশীদ খান), কমিউনিস্ট কেন্দ্র, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, সাম্যবাদী দল। ২০ দলীয় জোট ঃ বিএনপি, জামায়াত (নিবন্ধন স্থগিত), বিজেপি, ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত মজলিস, এলডিপি, জাগপা, কল্যাণ পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাপ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি, লেবার পার্টি, মুসলিম লীগ, ন্যাপ ভাসানী, ইসলামিক পার্টি দুই গ্রুপ, ডেমোক্রেটিক লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম দুই গ্রুপ, পিপলস লীগ, জাতীয় পার্টি, সাম্যবাদী দল। বাম জোট ঃ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী), বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম এল), জাতীয় বিপ্লবী পার্টি, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, বাংলাদেশের সোস্যালিস্ট পার্টি, বাংলাদেশের সমতা পার্টি, বাংলাদেশের শ্রমিক পার্টি। গণতান্ত্রিক বাম জোট ঃ বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ, গণমুক্তি ইউনিয়ন, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক পার্টি ও কমিউনিস্ট ইউনিয়ন। জাতীয় মুক্তি জোট ঃ জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, জাতীয় গণফ্রন্ট, বাংলাদেশে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন। বাম গণতান্ত্রিক জোট ঃ সিপিবি, বাসদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন, গণসংহতি আন্দোলন, বাসদ (মার্ক্সবাদী)। বিজেপি জোটঃ বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান আদিবাসী পার্টি, বাংলাদেশ সচেতন সংঘ, জাগো হিন্দু পরিষদ, আনন্দ আশ্রম, হিন্দু লীগ, সনাতন আর্য সংঘ, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন, বাংলাদেশ ঋষি স¤প্রদায়, বাংলাদেশ মাইনরিটি ফ্রন্ট, হিউম্যান রাইটস, হিন্দু ঐক্য জোট। গণতান্ত্রিক জোট ঃ বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স, বাংলাদেশ জনতা দল, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামিক মুভমেন্ট, বাংলাদেশ আইডিয়াল পার্টি, জমিয়াতুল উলামা ফ্রন্ট, বাংলাদেশ আওয়ামী পার্টি, স্বাধীনতা পার্টি, বাংলাদেশ প্রতিবাদী জনতা পার্টি, জন গণতান্ত্রিক পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি ও বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টি। হুদা জোট ঃ তৃণমূল বিএনপি, গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স, সম্মিলিত ইসলামিক জোট, কৃষক শ্রমিক পার্টি, একামত আন্দোলন, জাগো দল, ইসলামিক ফ্রন্ট ও গণতান্ত্রিক জোট। হুদার নেতৃত্বে ২০১৫ সালে ২৫ দলীয় বাংলাদেশ জাতীয় জোট (বিএনএ) গঠন হলেও পরে ভেঙ্গে যায়। ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ঃ ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনডিপি), তৃণমূল ন্যাপ, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি, ন্যাশনাল কংগ্রেস বাংলাদেশ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি। ইসলামিক ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স ঃ এম আউয়াল এমপি (ব্যক্তি), বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট (মিছবাহ), গণতান্ত্রিক ইসলামিক মুভমেন্ট, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি (রশিদ), বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ জমিয়তে দারুস সুন্নাহ, বাংলাদেশ গণ কাফেলা, বাংলাদেশ জনসেবা আন্দোলন, ইমাম-উলামা কল্যাণ পাটি, ইসলামী পেশাজীবী পরিষদ, শরিয়াহ আন্দোলন। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ঃ গণফোরাম, ফরোয়ার্ড পার্টি, গণদল। প্রগতিশীল জোট ঃ গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি) ও মুসলিম লীগ। জাতীয় ইসলামী মহাজোট ঃ জাতীয় পার্টি, গণ ইসলামিক জোট, পিপলস জাস্টিস পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ ইসলামিক লিবারেল পার্টি, জাতীয় শরিয়া আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ, বাংলাদেশ জনতা পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামি জনকল্যাণ পার্টি, ইউনাইটেড ইসলামিক লীগ, জমিয়তে মুসলিমিন বাংলাদেশ, ন্যাপ-ভাসানী, খেলাফত সংগ্রাম পরিষদ, বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি, ইসলামি গণ-আন্দোলন, জাতীয় ইসলামি আন্দোলন, জমিয়তুল ওলামা পার্টি, জাতীয় ইসলামিক মুভমেন্ট, খেলাফত আন্দোলন বাংলাদেশ, ইনসানিয়াত পার্টি, খেলাফত বাস্তবায়ন পার্টি, ইসলামি আক্বিদা সংরক্ষণ পার্টি, ইসলামী সংরক্ষণ পার্টি, ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ, মুসলিম জনতা পার্টি, ইসলামি আক্বিদা সংরক্ষণ আন্দোলন, খেদমতে খালক পার্টি, ওলামা মাশায়েখ সমন্বয় পরিষদ, ইউনাইটেড ইসলামিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ইসলামি পার্টি, ইসলামী সমাজ কল্যাণ আন্দোলন, বাংলাদেশ ইত্তেহাদুল মুসলিমিন, বাংলাদেশ খেলাফাতুল উম্মাহ, বাংলাদেশ আক্বিমুদ্দিন মজলিস, সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট পার্টি, জমিয়তুল হেদায়াহ মুভমেন্ট। এ ছাড়াও আরো একাধিক জোট দৃশ্যমান। সম্প্রতি মুসা বিন শমসেরের পুত্র ববি হাজ্জাজের জোট ও দলের নিবন্ধন নিয়ে হাইকোর্ট নির্দেশনা দিয়েছে।
দেশে সংসদীয় আসন সংখ্যা ৩শ। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরীক দলগুলোর দাবির দিকে তাকালে দেখা যায় দলগুলো আসন্ন নির্বাচনে যে আসন দাবী করছে তা পুরণ করলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেয়ার জন্য ৫০ আসনও থাকে না। গণতন্ত্রী পার্টি, দুই জাসদ, ওয়ার্কার্স পাটিই চায় অর্ধশত আসন। গণতন্ত্রী পার্টি ১৪ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। বিএনপির ২০ দলের অবস্থাও একই। বি. চৌধুরীর বিকল্পধারাই চেয়েছিল দেড়শ আসন। বে-সুমার গজিয়ে ওঠা প্যাড সর্বস্ব এই রাজনৈতিক দল মানুষের উপকারে আসছে কী? ছোট ছোট দলগুলোর মূল্যায়ন হওয়া উচিত। ছোট দলেও অনেক মেধাবী, প্রতিশ্রুতিশীল, ত্যাগী নেতা রয়েছেন। দেশের জন্য তাদের অবদানও কোনো অংশে কম নয়। ছোট দল আর হঠাৎ গজিয়ে ওঠা ভূঁইফোড় দল এক জিনিস নয়। কিন্তু মূল্যায়নের একটা সীমা পরিসীমা রয়েছে। সাম্যবাদী দলের দীলিপ বড়ুয়াকে মন্ত্রী এবং আবদুল কালাম আজাদসহ কয়েকজনকে এমপি করার পর প্যাড সর্বস্ব দলগুলোর নেতাদের যে আকাশ ছোঁয়া প্রত্যাশার সৃস্টি হয়েছে তা ঠেকাবে কে? আর সবজি বিক্রেতা ও অফিস পিয়নরাও যদি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করে পকেটে প্যাড নিয়ে ঘোড়েন তাদেরও মূল্যায়ন করতে হবে! সত্যিই কী রাজনীতির অবস্থা ব্যান্ড সংগীতের ‘মেলায় যাই রে’?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।