পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বড়সড় জনসভা করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এই লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি-প্রক্রিয়া। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের চট্টগ্রামের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, আগামী ২৭ অক্টোবর (শনিবার) ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোগে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে আয়োজিত এ জনসভা হবে বৃহৎ পরিসরে ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে। এরজন্য যথানিয়মে মাঠ ব্যবহারের অনুমতি পাওয়া গেছে। এখন পুলিশ কর্তৃপক্ষের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। তবে লালদীঘির ময়দানে জনসভার অনুমতি পাওয়া না গেলে নগরীর কাজীর দেউড়ী অথবা বিকল্প অন্য কোনো সুবিধাজনক জায়গায় ঐক্যফ্রন্টের বিভাগীয় এ জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে ঐক্যফ্রন্ট চট্টগ্রামের নেতারা লালদীঘি মাঠে জনসভার অনুমতি পাবেন বলে আশাবাদী। চট্টগ্রামের ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ জানান, আগামী শনিবার অনুষ্ঠিতব্য চট্টগ্রামের জনসভায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রধান গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ জাতীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন। এরফলে লালদীঘির জনসভায় মহানগরী ছাড়াও বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাপক জনসমাগমের আশা করছেন তারা। গতকালসহ (রোববার) গত দুই দিনে ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ জনসভার প্রস্তুতিমূলক বৈঠক করেছেন।
এ প্রসঙ্গে গতকাল সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, আগামী ২৭ অক্টোবর শনিবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোগে লালদীঘি ময়দানে জনসভার প্রস্তুতি এগিয়ে চলেছে। আমরা ইতোমধ্যে লালদীঘি মাঠ ব্যবহারের জন্য চট্টগ্রাম সরকারি মুসলিম স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে দরখাস্ত দিয়ে গত শনিবার অনুমতিও পেয়েছি। এখন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাছে যথারীতি অনুমতি চেয়ে আজ (গতকাল রোববার) দরখাস্ত জমা দিয়েছি। আমরা আশা করছি নিয়মতান্ত্রিক এ জনসভার জন্য অনুমতি পাবো। আমরা সিএমপি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছি। ডা. শাহাদাত হোসেন ছাড়াও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টভূক্ত গণফোরাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, নাগরিক ঐক্যের চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দও লালদীঘি ময়দানে আগামী শনিবারে অনুষ্ঠেয় জনসভার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাজধানী ঢাকায় ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের ঘোষণা, একই মঞ্চে নেতৃবৃন্দ উপবিষ্ট হয়ে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে দাবি-দাওয়া ও লক্ষ্য ঘোষণা, শীর্ষ নেতাদের বক্তব্য-বিবৃতি, অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রী-এমপিদের বক্তব্যে তীব্র ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি মিলিয়ে গত কয়েক সপ্তাহের রাজনৈতিক পালাবদল আর মেরুকরণ নিয়ে রাজনীতি সচেতন বৃহত্তর চট্টগ্রামবাসীর মাঝে আলোচনা-পর্যালোচনা চলছেই। নানান শ্রেণি-পেশার মানুষ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং সরকারি দলের নেতাদের বক্তব্যগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করছেন। এ নিয়ে ঘরে-বাইরে চাটগাঁর সর্বত্র সরব আর নীরব গুঞ্জন। শুধু জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট-ভূক্ত দলগুলো কিংবা সাধারণ চট্টগ্রামবাসীর গন্ডিতে নয়; আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট এবং চট্টগ্রামের অপরাপর দল-সংগঠন-জোটগুলোর তৃণমূল পর্যায়ের কর্মী-সমর্থকদের মাঝেও ঐক্যফ্রন্টকে ঘিরে রাজনীতির মাঠের নানামুখী হিসাব-নিকাশ শুরু হয়ে গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।