পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্নীতি অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাসেমকে গতকাল ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)। তার বিরুদ্ধে রয়েছে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ। দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মোশারফ হোসেইন মৃধা সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এই জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ কক্ষ থেকে তিনি বেরিয়ে অপেক্ষায় থাকা সাংবাদিকদের সামনে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। বিএনপির সাবেক এই এমপি ব্যবসায়ী এম এ হাসেমকে গত ১৯ সেপ্টেম্বর নোটিস দিয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর তলব করা হয়েছিল। কিন্তু অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ওই দিন তিনি হাজির না হয়ে এক মাসের সময় চেয়ে আবেদন করেন। এরপর তাকে ২১ অক্টোবর তলব করে আবারও নোটিস পাঠান অনুন্ধান কর্মকর্তা মোশারফ হোসেইন।
এম এ হাসেমের বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকি, বৈধ ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা ও সরকারের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি দখলসহ দুর্নীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে দুদকের হাতে। এছাড়া পারটেক্স গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে স্বল্প মূল্যে পণ্য আমদানি করে নথিতে বেশি দাম দেখিয়ে তিনি শত শত কোটি টাকা বিদেশ পাচার করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এম এ হাসেম ও তার দুই ছেলেকে এর আগে চিনি আমদানিতে দুর্নীতির একটি অভিযোগে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল দুদক।
তামাক দিয়ে ব্যবসা শুরু করা হাসেম গত পাঁচ দশকে তার বাণিজ্যের বিস্তার ঘটিয়েছেন আবাসন, আমদানি-রপ্তানি, পার্টিকেল বোর্ড, ইস্পাত, প্লাস্টিক, ভোগ্যপণ্য, ব্যাংক-বীমাসহ বিভিন্ন খাতে। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নায়াখালী-২ (বেগমগঞ্জ-সোনাইমুড়ী) আসনের সাংসদ নির্বাচিত হন। ওই সরকারের মেয়াদ শেষে রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্যে রাষ্ট্রক্ষমতা চলে যায় সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবাধয়ক সরকারের হাতে। আরও অনেক ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদের মত হাসেমও গ্রেপ্তার হন। পরের বছর জামিনে মুক্তির পর বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন।
বর্তমানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এম এ হাসেম এক সময় সিটি ব্যাংক লিমিটেড ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।