পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই মুহূর্তে সংলাপের কোনও পরিবেশ ও প্রয়োজনীয়তা নেই। নির্বাচন কমিশন সচিব নভেম্বরের প্রথম সাপ্তাহে তফসিল ঘোষণার কথা বলেছেন।
তাহলে এখন আর ১০-১২ দিনের মধ্যে কে-কার সঙ্গে সংলাপ করবে? দেশে সংলাপ করার মতো এমন কোনও পরিবেশ নেই, প্রয়োজনীয়তা নেই। গতকাল রাজধঅনীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমন্ডলীর এক সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেছেন ওবায়দুল কাদের। জনগণের মধ্যে বিরোধী জোটের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই দাবি করে তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে তারা প্রথমেই বিদেশিদের কাছে গিয়েছে, দেশের জনগণের কাছে তো যায়নি। দেশের জনগণের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই।
জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জোট থেকে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার ব্যাপারে এইচ এম এরশাদের ঘোষণার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এরশাদ সাহেব তো পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে বক্তব্য রাখতে পারেন। উনি সংসদে বিরোধী দলের আসনে আছেন, বিরোধী দলের পক্ষ থেকে যে কোনও বক্তব্য উনি দিতেই পারেন। উনি তো আর উনার পার্টিকে আওয়ামী লীগে দিয়ে দেননি। এরশাদ সাহেব আমাদের সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচন করতে পারেন আবার নাও করতে পারেন। আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।
বিকল্পধারার ভাঙ্গন এবং বিএনপি ভাঙতে পারে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভাঙ্গনের প্রক্রিয়ায় আমাদের অংশ নেওয়ার কিছু নেই। অন্য দল যদি ভাঙ্গে, তাহলে তারা নিজেরাই নিজেদের দল ভাঙবে। সেখানে আমাদের তো কোনও হাত নেই।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিলেটে মাজার জিয়ারত করতে তারা যেতে পারে। নির্বাচনের আগে সিলেটে মাজার জিয়ারত করার একটা ট্রেডিশন রয়েছে। কিন্তু মাজার জিয়ারতের নামে যদি কোনও নাশকতা, কোনও সহিংসতার পরিকল্পনা নিয়ে তারা সেখানে যান। তা থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি নির্ধারণ করে দেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী ধরণের পদক্ষেপ নেবে।
কাদের বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যারা গত দশ বছরে আন্দোলন করতে পারে নাই, শুরুর আগেই যাদের দুই উইকেট পড়ে গেছে। আরও কত উইকেট পড়বে তা সময় বলে দেবে।
সম্প্রতি একটি টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির উদ্দেশে করা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মন্তব্যকে অশালীন বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, একটি টেলিভিশন টকশো’তে নারী সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে নিয়ে এক-এগারোর কুশীলব, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন যে অশালীন, অশোভন আচরণ করেছেন আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। ব্যারিস্টার মঈনুল মাসুদা ভাট্টিকে যে ভাষায় কথা বলেছেন, তা বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ। আমরা নারী সাংবাদিকদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মণি, জাহাঙ্গীর কবির নানক; সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম; দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুনন্নাহার লাইলী, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুনন্নাহার চাপা, তথ্য ও গবেষণ বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।