পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দীর্ঘ দিন ধরে রাজধানীর মহাখালি ও কড়াইল মৌজাসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির সরকারি ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) পরিশোধ করলেও জমির নামজারি কাগজ পাচ্ছে না শত শত নাগরিক। এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ব্যক্তি মালিকানা জমির সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানী করছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক)।
ঢাকা জেলার কড়াইল মৌজার ব্যক্তির নামে রেকর্ডকৃত জমির নামজারী ও ভূমি উন্নয়ন আদায়ের নির্দেশনা চেয়ে ঢাকার জেলা প্রশাসককে (ডিসি) চিঠি দিয়েছে। এদিকে ঢাকা জেলা প্রশাসককে চিঠি দেয়ার দুই মাস পেড়িয়ে গেলও কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি বলে জানা গেছে। সহকারি কমিশনারের চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান ইনকিলাবকে বলেন, এখনো জবাব দেওয়া হয়নি। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। দ্রুত বিষয়টি সমাধান করা হবে। তিনি বলেন, রাজউকের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে রাজধানীর অনেক এলাকার সাধারণ মানুষ নানা ভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। এ গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে। গুলশান রাজস্ব সার্কেলের সহকারি কমিশনার (ভূমি )রাকিব হাসান স্বাক্ষরিত পাঠানো চিঠিতে বলা হয়,রাজধানীর কড়াইল মৌজার গুলশান লেকের ভিতরে সিটি বিভিন্ন দাগের নামজারি ও ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করার নিমিত্তে এ কাযালয়ে আবেদন করেছেন। কিন্তু ২০০০ সালের ৮ মার্চ তারিখে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তির আলোকে কড়াইল মৌজায় কোন ভূমিই ব্যক্তি মালিকানার নামে নামজারী ও ভূমি উন্নয়ন কর আদায় বন্ধ ছিল এবং এ সার্কেল শরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত উক্ত মৌজার ভূমির ব্যক্তি মালিকানার নামজারী ও ভূমি উন্নয়ন কর বন্ধ অবস্থা রয়েছে। বর্নিত মৌজায় রাউজকের প্রস্তাব অনুযায়ী এল এ কেস০১/১৬-১৭ এর মাধ্যমে ব্যক্তি মালিকানা ভূমি হিসেবে অধিগ্রহনের উদ্দেশ্য ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এ এ শাখা-১ থেকে ৩ ও ৬ ধারা নোটিশ করা হয়েছে।এ প্রেক্ষিতে কড়াইল মৌজা এলাকার ভূমির মালিকরা ভুমির নামজারী ও ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের জন্য আবেদন করেছেন। যেহেতু কড়াইল মৌজার ভূমি নামজারী ও ভুমি উন্নয়ন কর আদায় বন্ধ ছিল। সেকারণে উক্ত মৌজার নামজারী ও ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের নির্দেশনার প্রয়োজন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
রাজধানী কড়াইল মৌজার এলাকার মো: আবু নছর নেছারউদ্দিন আহম্মেদ হোসাইন তার নিজস্ব জমির ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করে আসছে কিন্তু নামজারির কাগজ পাচ্ছেন না। সেই নামজারি কাগজ চেয়ে গুলশান রাজস্ব সার্কেলের সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিসে আবেদন করে। সেই আবেদনের কোন জবাব দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) উন্নয়ন প্রকল্পের নামে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ব্যক্তি মালিকানা জমির সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানী করে আসছে। এ গুলো দেখার কেউ নাই।
জানা গেছে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর আগে রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ থেকে খিলক্ষেত নিকুঞ্জ পর্যন্ত ১ হাজার ৩৮৫ একর জমি প্রকৃত মালিকদের নামে নামজারিসহ সরকারি খাজনা নেয়া র্দীঘ কয়েক বছর বন্ধ করে দেয়। পরে গত বছর ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ও ভূমিপ্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জমি-মালিকদের দীর্ঘদিনের সমস্যা নিরসনে জন্য মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দেয়ার পর খাজনা নেয়া শুরু করে ঢাকা ডিসি অফিস।
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর ইনকিলাবকে বলেন, জমি-মালিকদের দীর্ঘদিনের সমস্যা নিরসনে জন্য মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যারা জমির মালিক তারাই সব কিছু করতে পারবে। রাজউক জমির মালিক নয় তার পরও আমাদের না জানিয়ে এসব কাজ করছে। এটা ঠিক নয়। ডিসিদের উচিত হবে জনগনের সমস্যা দুর করা।
ভূমিপ্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ইনকিলাবকে বলেন, জমির খাজনা না নেওয়া এবং নামজারি করতে না দিয়ে আটকে রাখা এক ধরনের রাষ্ট্রীয় হঠকারিতা।একইসঙ্গে তা সরকারের সিদ্ধান্তকে অবজ্ঞা করারও শামিল।
এ বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান ফোনে ইনকিলাবকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ধরনের কাজ হয়ে থাকলে আমরা সমাধনের চেষ্টা করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।