পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গতকাল নৌ দস্যু আর পেশাদার সন্ত্রাসীদের ৬টি গ্রুপের ৪৩ জন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছে মহেশখালী দ্বীপে। সাগরে এক আতঙ্কের নাম মহেশখালী কুতুবদিয়া চ্যানেল। এ চ্যানেলে নৌ দস্যুতার কারনে শত শত জেলের জীবন বিপন্ন হয়েছে। এসব নৌ দস্যু আর পেশাদার সন্ত্রাসীদের ৬টি গ্রুপের ৪৩ জন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছে মহেশখালী দ্বীপে।
র্যাব-৭ আয়োজিত মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গতকাল শনিবার ১২টায় মহেশখালী কুতুবদিয়া অঞ্চলের চিহ্নিত নৌ দস্যুদের আত্মসমর্পণকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা আর নৌকার বিকল্প নৌকা । শান্তিতে ঘুমাতে যা যা প্রয়োজন সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা এ সুবর্ণ সুযোগে আত্মসমর্পন করেনি তাদের অতিদ্রুত আত্মসমর্পন করার সুযোগ রয়েছে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এখন যারা আত্মসমর্পন করছে তারা যেন পূনরায় পূর্বের পেশায় ফিরে না যায় তার জন্য আহবান জানান। আত্মসমর্পনকারীদের অর্থনৈতিক পূণর্বাসনসহ কর্ম দক্ষতায় গড়ে তোলা হবে। মহেশখালী হবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নত সমৃদ্ধ একটি সোনালী অঞ্চল, এ অঞ্চলে কখনো নৌ দস্যু, ভূমি দস্যু, সন্ত্রাসী, গড ফাদার, দখলবাজ, কারো স্থান হবে না। পর্যায়ক্রমে সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা হবে। র্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক মিফতাহ উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নৌদস্যু আত্মসমর্পন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহেশখালী কুতুবদিয়া সাংসদ সদস্য ¦ আশেক উল্লাহ রফিক, রামু কক্সবাজারের সংসদ সদস্য সায়মুন সরওয়ার কমল, র্যাব মহাপরিচালক বেনজির আহমদ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খোন্দকার গোলাম ফারুক, কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, আওয়ামীলীগর সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার পৌর মেয়র, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন। আত্মসমর্পনকারী নৌ দস্যুদের পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করেন নৌদস্যু আনজু বাহিনীর প্রধান আনজু মিয়া সিকদার, মোনাফ মিয়া। ৬ টি আত্মসমর্পনকারী নৌদস্যু গ্রুপের মধ্যে রয়েছে সোনাদিয়া এলাকার আনজু বাহিনী তার দলের সদস্য সংখ্যা ১০, জমা অস্ত্র- ২৪, গোলাবারুদ- ৩৪৫ রাউন্ড। কুতুবদিয়ার রমিজ বাহিনী আত্মসমর্পনকারী সদস্য-২, জমা অস্ত্র- ৮, গোলাবারুদ-১২০। কালারমারছড়া নুরুল আলম প্রকাশ কালা বদা বাহিনী সদস্য-৬, জমা অস্ত্র- ২৩, গোলাবারুদ- ৩৩৩, হোয়ানকের জালাল বাহিনী সদস্য ১৫, অস্ত্র-২৯, গোলাবারুদ ৬৭৯৮, হোয়ানকের আইয়্যুব বাহিনী সদস্য-০৯, অস্ত্র- ০৯, গোলাবারুদ ৩৭, বড় মহেশখালীর আলাউদ্দিন বাহিনীর আলাউদ্দিন সদস্য- ০১, জমা অস্ত্র- ১, গোলাবারুদ- ৪ রাউন্ড। আত্মসমর্পনকারী বাহিনীর সংখ্যা ০৬, নৌদস্যু ও সন্ত্রাসী ৪৩, জমা অস্ত্রের সংখ্যা- ৯৪, উদ্ধার গোলাবারুদ-৭৬৩৭ রাউন্ড।
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের ব্যবস্থাপনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নিকট আত্মসমর্পনকারী নৌদস্যুরা হলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের তালিকাভূক্ত সোনাদিয়া দ্বীপের শীর্ষ নৌদস্যু সোনাদিয়ার আনজু ডাকাত (৩৩), সুমন মিয়া (৩৮) মকছুদ মিয়া (৩২) মোনাফ মিয়া (২৮) মোবারক (২৭) মনজুর মিয়া (৩০) নুরুল মোস্তফা নাগু (৩০) ছৈয়দ হোছন (৩০) নবাব মিয়া (২৯) ইমতিয়াজ উদ্দিন নকিব (৩১) কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর দুরুং মিয়াকাটা গ্রামের রমিজ উদ্দিন (৫৩) লেমশিখালীর কবির পাড়া গ্রামের ছালেহ আহমদ ছইল্যা ডাকাত (৪৬) কালারমারছড়ার কালাবদা বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ শাহঘোনার আবুল কাশেমের পুত্র নুরুল আলম প্রঃ কালা বদা (৪৪) ফরিজুম পাড়ার রশিদ মিয়া (২৯) নোনাছড়ি এলাকার মোহাম্মদ আলী (৩৩) আধারঘোনা এলাকার আলমগীর প্রঃ টুনু টুইন্যা (২৪) অফিস পাড়ার আবু জাফর প্রঃ আবু জাইল্যা (৪৮) মোহাম্মদ শাহঘোনার আলা উদ্দিন (২৩) হোয়ানকের জালাল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড কাঠালতলি গ্রামের ছিদ্দিক আহমদের পুত্র ইসমাইল (৩১) পূর্ব কালাগাজির পাড়া গ্রামের মোস্তফা কামাল পারভেজ (২৫) কাঠালতলি পাড়া গ্রামের ওসমান (৩০) পূর্ব কালাগাজির পাড়া গ্রামের আহমদ জামান (৪০)কাঠালতলি পাড়ার নুরুল আমিন (২৬) আবু তাহের (৩১) আব্দুল মান্নান (২৬)কেরুনতলী নয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নাত (৩৩) রাশেদ (৩২)কালারমারছড়া নোনাছড়ি গ্রামের লোকমান (৩১) ফকিরজোম পাড়ার জয়নাল আবেদীন (৩৫) ছোট মহেশখালী তেলিপাড়া গ্রামের শহিদুল্লাহ (৪৫) কালারমারছড়া আধারঘোনা বাদল (৩৪) আধারঘোনা গ্রামের মাহাবুব আলম (৩৫) আতা উল্লাহ বাহারী (৩৩) হোয়ানকের আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী আয়োব বাহিনীর আত্মসমর্পনকারী সদস্যরা হলো পূর্ব কাঠালতলি পাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান কালু (২৫) জসিম উদ্দিন (২৭) রবিউল আলম (২২) মো রুবেল (২২) আবু তাহের (২৪) মোঃ আনোয়ার (৩২) আনোয়ার পাশা (২৭) মোঃ ইউনুছ, মোঃ কামাল (৩৫) বড় মহেশখালীর আলাউদ্দিন বাহিনীর প্রধান ফকিরাকাটা গ্রামের সোনা আলীর পুত্র মোঃ আলা উদ্দিন (৪৫)। নৌদস্যু জমা দেয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে এসএমজি (ঋঘ ঋঅখ) বেলজিয়াম-১টি, বৃটিশ.৩৮রিভলবার ১টি, দেশীয় পিস্তল-২টি,দেশী-বিদেশী একনলা বন্দুক (এসবিবিএল) ৫২টি, দেশী-বিদেশী দুনলা বন্দুক (ডিবিএল) ২টি, ওয়ানশুটারগান ১৯টি, থ্রি কোয়ার্টারগান ১৫টি,.২২বোর রাইফেল ২টি। আত্মসমর্পনকারীদের কাছে পুনর্বাসনের আওতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জন প্রতি নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।