পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মাধ্যমেই বর্তমান সরকার সংলাপে বসতে বাধ্য হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, আজকে সারা জাতি ঐক্যবদ্ধ। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা হয়েছে, এটা সকল শ্রেণির সকল দলের মানুষের মনের কথা প্রকাশ করেছে। এই কারণে গোটা দেশে গ্রামগঞ্জে পর্যন্ত এই ঐক্যের ডাক পৌঁছে গেছে। দেশের মানুষ এই ঐক্যের মাধ্যমে এই সরকারের পরিবর্তন আনতে বদ্ধপরিকর। এই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মাধ্যমেই সরকারের পরিবর্তন আনা হবে। তাদেরকে (সরকার) বাধ্য করা হবে সংলাপে বসতে, বাধ্য করা হবে সংসদ বাতিল করে দিতে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে। গতকাল (শনিবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহিলা দল আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ফরমায়েশি রায় প্রত্যাহারের› দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট দেখে সরকারের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে মন্তব্য করে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, আজকে তাদের (সরকার) গাত্রদাহ হয়েছে এতো বড় ঐক্যফ্রন্ট কি করে হলো? সে জন্য বিভিন্ন মন্ত্রীরা বিভিন্ন অশালীন ভাষায় মন্তব্য করা শুরু করেছেন এটাই প্রমাণ করে আমরা ঠিক কাজই করেছি। সরকার আমাদের যতই সমালোচনা করবে ততই বুঝতে হবে আমরা ঠিক কাজ করেছি। আমাদের এই ঐক্য আরও জোরদার হবে। আর এটির মাধ্যমে আমরা আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করবো
সিলেটে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পূর্বঘোষিত জনসভায় প্রথমে অনুমতি দিয়ে সেটি আবার বাতিল করা হয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, আজকে (গতকাল) একটি দল (জাতীয় পার্টি) ডাক ঢোল পিটিয়ে সমাবেশ করছে। তাদেরকে কোনো বাধা দেয়া হচ্ছে না, আমরা করলে এর চেয়ে ২০ গুণ বেশি লোকের জনসমাগম ঘটতো। সবাইকে অনুমতি দেয়, জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টিকে দেয় আমাদেরকে দেয়না, ২৩ তারিখে সিলেটে আমাদের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভার প্রথমে অনুমতি দিয়ে পরে আবার সেটি প্রত্যাহার করেছে। কারণ, এটা একটি স্বৈরাচারী সরকার, ফ্যাসিবাদী সরকার এরা জনগণকে ভয় পায় এরা আইনের শাসন বিশ্বাস করে না।
২১ আগস্ট বোমা হামলার বিষয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, এই হামলা একটি মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা সকলেই এর নিন্দা করেছি, এখনো করছি। এই ঘটনা বাংলাদেশের কোনো মানুষ সহজভাবে নিতে পারেনি। এটি অনেকটা জাতীয় ট্র্যাজেডি বলা যেতে পারে। তিনি বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে কোনো সাক্ষী বলেননি যে, এর সঙ্গে বিএনপি ও তারেক রহমান জড়িত। কিন্তু শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য এই মামলায় তারেক রহমানকে জড়িয়ে সাজা দেওয়া হয়েছে। এটি একটি ফরমায়েশি রায়। এই রায় দেশের জনগণ মানেনি। কারণ এই মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষীর বক্তব্য তারা উত্থাপন করেনি।
তিনি বলেন, তারেক রহমান যেদিন দেশে ফিরে আসবেন, তিনি আপিল করবেন। আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইবেন। হাইকোর্টে প্রমাণ করবেন, তাঁর বিরুদ্ধে রায় একটি অচল রায়। এই রায়টি তখন কার্যকর হবে না, হাইকোর্ট তাঁকে নির্দোষ বলে খালাস দেবেন, এই বিশ্বাস আমরা রাখি।
এ সময় সাবেক আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে সাত দিনের মধ্যে স¤প্রচার আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করবে। মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য জেবা খান, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমূখ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।