স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, প্রতিথযশা সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরী বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিভিন্ন বিশ্লেষণধর্মী কলাম লিখেছেন। আর্ন্তজাতিক বিশ্লেষণধর্মী লেখা খুবই জটিল কিন্তু তিনি দেশের স্বার্থ রক্ষা করে সাবলীলভাবে এ কাজটি করে গেছেন। এ সময় স্পিকার জগলুল আহমেদ চৌধুরীর লেখনী তরুণ প্রজন্মের সাংবাদিকদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস বলে উল্লেখ করেন।
গতকাল শনিবার রাজধানী সিরডাপ মিলনায়তনে জগলুল আহমেদ চৌধুরী স্মৃতি ট্রাস্ট আয়োজিত সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরীর “নির্বাচিত কলাম” শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরী স্মৃতি ট্রাস্টের সভাপতি ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও ভোরের কাগজ এর সম্পাদক এবং জগলুল আহমেদ চৌধুরী স্মৃতি ট্রাস্ট এর মহাসচিব শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় জগলুল আহমেদ চৌধুরীর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করা হয়। এসময় সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সি, এম সফি সামি, বাসসের সাবেক এমডি মনোজ রায়, বনানী সোসাইটির সভাপতি শওকত আলী ডিলন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার সাহা , আবিষ্কার প্রকাশনীর সত্ত¡াধিকারী এমডি হাসান, পরিবারের পক্ষে খালেদ শামস ও সেলিনা চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, রাজনীতি ও কূটনীতি সম্পর্কে ভাল জ্ঞান না থাকলে বিষয় নিয়ে সংবাদ পরিবেশন কিংবা কলাম লেখা সহজ নয়। সেকারণে তিনি পড়াশোনার মাধ্যমে নিজেকে শানিত করেছেন। বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা ছিল তার বড় গুণ। তী² মেধার প্রকাশ ঘটানোতে তিনি ছিলেন অনন্য। জগলুল আহমেদ চৌধুরী ছিলেন সদালাপী, অমায়িক ও বন্ধুবৎসল সর্বপরি মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন একজন মানুষ।
স্পিকার বলেন, নির্বাচিত কলাম এর সংকলন একটি অমূল্য জ্ঞান ভান্ডার। জগলুল আহমেদ চৌধুরী এই কলাম সংকলন এবং তার কৃতকর্মের মধ্য দিয়ে তিনি অনন্য প্রেরণার উৎস হয়ে যুগ যুগ বেঁচে থাকবেন। জগলুল আহমেদ চৌধুরী স্মৃতি ট্রাস্ট এ বছর থেকে ফেলোশীপ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা অত্যন্ত সময়োপযোগী।