পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বর্তমান সরকারের একজন মন্ত্রীও জিততে পারবেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। তিনি বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা নিজেরাও জানে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের একজনও জিততে পারবেন না। এজন্য সরকার এককভাবে নির্বাচন করতে চায়। তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চান না। আর তিন মাসও নেই, কিন্তু সরকারের আচরণ দেখে বোঝা যায় তারা আজকে কতটা ভীত। অথচ সরকারের উচিত ছিল নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা। কিন্তু উল্টো প্রমাণ করেছে, তারা একক নির্বাচন করতে চায়। শুধু এই লক্ষ্যে তারা কাজ করছে। সরকারই ইচ্ছেকৃতভাবে পরিবেশ নষ্ট করছে। গতকাল (শুক্রবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, সময় কম, অল্প সময়ের মধ্যে এই সরকারের বাঁধ ভাঙতে হবে। মাঠে নামতে হবে যাতে সরকার আলোচনায় বসতে বাধ্য হয়। তিনি বলেন, সরকার মনে করেছিল, খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করলে বিএনপি খন্ড-বিখন্ড হয়ে যাবে। বর্তমান বিএনপি আগের যেকোনও সময়ের চেয়ে ঐক্যবদ্ধ।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর থেকে সরকার বিচলতি হয়ে পড়েছে মন্তব্য করে মওদুদ বলেন, বিভিন্ন রকমের বক্তব্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন তারা ঐক্যফ্রন্টকে ভয় পান। এই ঐক্যের মাধ্যমে আমরা যে সঠিক কাজ করেছি সরকারের সমালোচনা শুনেই সেটা বুঝতে হবে। তাদের অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যে প্রমাণ হয়ে গেছে আগামীতে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে পরাজিত হবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মাধ্যমেই এই সরকারের পতন হবে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের মধ্যে একটা আশা তৈরি হয়েছে, আজকে গ্রামগঞ্জের মানুষ একটাই কথা বলে, ঐক্য হয়ে গেছে। একটা আশার আলো দেখতে পারছেন তারা। নিজেদের মধ্যে একটা আস্থা ফিরে পেয়েছেন। মানুষ আশা করছেন আগামী নির্বাচনে নিজেদের ইচ্ছামতো ভোট দিতে পারবেন।
নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মওদুদ আহমেদ বলেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। এক একটি মামলায় ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আজকে নেতাকর্মীদের আগাম জামিনের জন্য আসতে হচ্ছে ঢাকায়। সাড়ে তিন লাখ আসামি করেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের। এটা কি নির্বাচনের পরিবেশ? ভুতুড়ে মামলা করে সব নেতাকর্মীদের নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হচ্ছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচনা করে বিএনপি নেতা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে তারা আজকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। এটা সরাসরি সংবাদ মাধ্যমে হস্তক্ষেপ। স¤প্রচার আইন করা হয়েছে নির্বাচনের আগে সরকারের সমালোচনা যাতে না করতে পারে। গণমাধ্যমগুলোকে শুধু সরকারের উন্নয়নের গান গাইতে হবে, কোনও সমালোচনা করা যাবে না।
সরকারের জনপ্রিয়তা নিচে নেমে গেছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ঐক্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকারের আঁতে ঘা লেগেছে। সরকারের পরাজয় হবে সামনে। সিলেটে জনসভার জন্য প্রথমে অনুমতি দেওয়া হলো, আবার নিয়ে নেওয়া হলে। এতে প্রমাণিত সরকার জনপ্রিয়তায় কত নিচে নেমে গেছে। জনগণ তাদের সঙ্গে নেই এটাই তারা বারবার প্রমাণ করছেন।
বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করবে না উল্লেখ করে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, আমরা আগামীতে প্রমাণ করবো দেশের মানুষ বিএনপিকে পছন্দ করে। কঠিন কাজ একটি স্বৈরচার সরকারকে হটানো। তারাই আজকে বলছে সরকার ক্ষমতায় না থাকলে তিন লাখ লোক মারা যাবে। আপনারা যদি এতই ভালো কাজ করে থাকেন তাহলে ভয় কিসের? তারা অন্যায়-অত্যাচার, দুর্নীতি করেছে বলেই ভয় পাচ্ছে। তবে আমি বলে রাখতে চাই, আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করবো না।
এসময় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলাম, সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।