Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হিলিতে লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ রাজস্ব আয়

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার প্রায় দ্বিগুণ রাজস্ব এসেছে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর)। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বেশি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ তিন মাসে বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য ছিল ৩০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৫৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। 

চলতি অর্থবছরের মাসওয়ারি হিসাবে প্রথম মাস জুলাইয়ে রাজস্ব এসেছে ২৫ কোটি ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১ কোটি ২২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা কম। দ্বিতীয় মাস আগস্টে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ১৫ কোটি ২১ লাখ টাকা, যা বছরওয়ারি হিসাবে ২ কোটি ৪৫ লাখ ৭১ হাজার টাকা বেশি। আর গত মাসে রাজস্বের পরিমাণ বছরওয়ারি হিসাবে ১২ কোটি ৮১ লাখ ৭৬ হাজার হাজার টাকা বেড়ে ১৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা দাঁড়িয়েছে।
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আহরণের পাশাপাশি প্রথম প্রান্তিকে বছরওয়ারি হিসাবেও রাজস্ব আহরণের পরিমাণ বেড়েছে। গত অর্থবছরের (২০১৭-১৮) প্রথম তিন মাসে ১৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আহরণ হয়েছিল ৪৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে আহরণ হয়েছে ৫৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এ হিসাবে প্রথম প্রান্তিকে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে ১৪ কোটি ৫ লাখ টাকা বা ৩০ দশমিক ৬০ শতাংশ।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ার কারণে হিলি স্থলবন্দর এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচলের অন্যতম পয়েন্ট হিসেবে সুনাম অর্জন করেছে। ফলে এখন পূর্বের যেকোনো সময়ের তুলনায় এই বন্দরের প্রতি লোকজনের আগ্রহ বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ও চার শতাধিক যাত্রী চলাচল করছে। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সাধারণত চাল, পেঁয়াজ, পাথর, ভুট্টা, খৈল, মরিচ, টমেটো, শিল্পের কাঁচামাল প্রভৃতি পণ্য আমদানি ও রাইস ব্রান ভারতে রফতানি করা হয়। গত তিন মাসে বন্দর দিয়ে স্বাভাবিকভাবে পণ্য আমদানি-রফতানি হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আহরণ সম্ভব হয়েছে।
সব ধরনের অনিয়ম ও শুল্ক ফাঁকি প্রতিহত করা এবং সৎ ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে শুল্কস্টেশন কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া আমদানি-রফতানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, বন্দর, কোয়ারেন্টাইন, বিজিবি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন, গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে এ পরিস্থিতি বজায় থাকলে চলতি অর্থবছরেও হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের সার্বিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা করা যায়।
উল্লেখ্য, হিলি স্থলবন্দর থেকে গত অর্থবছরও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আহরণ হয়। পুরো অর্থবছরে ১৯০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আহরণ হয় ১৯৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি রাজস্ব এসেছিল। সে সময় ৪৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ১৯০ কোটি ৪০ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।
এর আগের অর্থবছরগুলোয় কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ও রাজস্ব আহরণের পরিসংখ্যান ছিল বিপরীতগামী। হিলি স্থল শুল্কস্টেশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১৫৬ কোটি ৮৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ৩০ কোটি ৫৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। লক্ষ্য অর্জন না হওয়ায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তা খানিকটা কমিয়ে ৩৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে রাজস্ব আহরণে উন্নতি পর্যবেক্ষণসাপেক্ষে লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করে ১১০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু অর্থবছর শেষে ফের উল্টো চিত্র দেখা যায়। ওই অর্থবছরে হিলি স্থলবন্দর থেকে সরকারের আয় হয় ৭৬ কোটি ৪৮ লাখ ১১ হাজার টাকা। ঘাটতি রয়ে যায় প্রায় ৩৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাজস্ব


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ