Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাবির ভর্তি জালিয়াত চক্রের সদস্যকে গণপিটুনি, আটক

রাবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০১৮, ৯:৫৫ এএম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন নিলে ৫০ হাজার টাকা আর দেড় লাখ টাকায় সরাসরি ভর্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নিতে এসে ফেঁসে গেছে বিশ^বিদ্যালয়ের ভর্তি জালিয়াত চক্রের এক সদস্য। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রিফাত আরা মুন নামের এক ভর্তিচ্ছুকে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষার্থী গোলাম রাব্বানী। বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) প্রতিশ্রুতির অগ্রিম ২০ হাজার টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিতে এসে ধরা পড়েন তিনি। পরে রিফাত আরা মুনের বন্ধুরা প্রতারক গোলাম রাব্বানীকে ধরে গণপিটনী দিয়ে থানায় দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের পাশ থেকে তাকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত গোলাম রাব্বানীর বাড়ি রাজশাহীর বাগমারায়। ২০১৬ সালে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ পাস করেন তিনি। বর্তমানে রাজশাহীর সিটি কলেজ থেকে বিবিএস ডিগ্রি করছেন।
রিফাত আরা মুন ও গোলাম রাব্বানী জানান, এক মাস আগে বাসে তাদের পরিচয় হয়। সেখানে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন দেয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেয়ার মতো লবিং আছে বলে রিফাত আরা মুনকে জানায় গোলাম রাব্বানী।
সেই সূত্র ধরে এক সপ্তাহ আগে রিফাত আরাকে ফোন করেন গোলাম রাব্বানী। তখন গোলাম রাব্বানী রিফাত আরাকে জানায়, ‘যদি তুমি আমাকে ৫০ হাজার টাকা দাও, তাহলে আমি পরীক্ষার রাতে প্রশ্ন দিতে পারব। আর যদি সরাসরি ভর্তি হতে চাও তাহলে দেড় লাখ টাকা লাগবে। তাদের কথোপকথোন অনুযায়ী রিফাত আরা প্রশ্ন নেয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা দিয়ে প্রশ্ন নিতে রাজি হন। পরবর্তীতে রিফাত আরা মুন তার বন্ধু শেখ সৌরভকে জানায়। এবং তার সাথে যোগাযোগ করে অগ্রিম ২০ হাজার টাকা দেয়া হবে বলে জানানো হয়। ক্যাম্পাসে টাকা নিতে আসলে তাকে আটক করে বেধরক গণপিটুনী দেয় রিফাত আরা মুনের বন্ধুরা। পরে তাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
নগরীরর মতিহার থানায় গোলাম রাব্বানী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি মোবাইলে তাদেরকে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন দেয়া ও সরাসরির ভর্তি কথা বলেছিলাম। কিন্তু তাদের সঙ্গে সেটা আমি ফাজলামো করেছিলাম। তাদেরকে আমি বুঝাতে এসছিলাম যে, এসব ভুয়া। কেউ প্রশ্ন দিতে পারে না, টাকা দিয়ে কেউ ভর্তিও করাতে পারে না। কিন্তু তারা আমাকে ধরে মারধর করে পুলিশে দিল।
নগরীরর মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন বলেন, এক যুবককে ধরে আনা হয়েছে। সে ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থীকে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন দিতে চেয়েছিল। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভর্তি জালিয়াত চক্র
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ