বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিরাজগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলার ও ১১টি থানার আঞ্চলিক সড়ক-মহাসড়কগুলোতে প্রতিদিন চলাচল করছে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার সিএনজি অটোরিকশা চালিত। বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ি এই সিএনজি অটোরিকশাগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ এক হাজারটির ট্যাক্স, ফিটনেস ও রুট পারমিট হালনাগাদ করা রয়েছে, বাকি সাড়ে চার হাজার সিএনজি অটোরিকশারই নেই বৈধ কাগজপত্র। তারপরও প্রতিদিন লক্ষাধিক যাত্রী জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে অবৈধ তিন চাকার এই যানবাহনগুলোতে। পর্যাপ্ত জনবল ও সময় সঙ্কটের কারণে অবৈধ এই যানবাহনগুলোকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) আঞ্চলিক সহকারী পরিচালক।
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ), জেলা অটোটেম্পু ও অটোরিকশা মালিক সমিতি ও সিএনজি অটোরিকশা মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, যাত্রী চাহিদা বাড়ায় মূলত ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক সহকারী পরিচালকের (এডি-ইঞ্জি) অফিস থেকে ব্যাপকহারে সিএনজি অটোরিকশা রেজিস্ট্রেশন গ্রহণ শুরু হয়। ওই সময় থেকে চলতি বছরের আগস্ট মাস অবধি প্রায় চার হাজার সিএনজি অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে শুধু চলতি রছরের আট মাসেই গ্রহণ করা হয় পাঁচ শতাধিক সিএনজি অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন। এ ছাড়া আরো অন্তত এক হাজার সিএনজি অটোরিকশা রয়েছে রেজিস্ট্রেশনবিহীন।
রেজিস্ট্রেশনকৃত ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন এই সাড়ে পাঁচ হাজার সিএনজি অটোরিকশা মালিকেরা জেলার পাঁচটি মালিক সমিতির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। সিএনজি অটোরিকশাগুলো জেলা অটোটেম্পু ও অটোরিকশা মালিক সমিতি নির্ধারিত রেলগেট স্ট্যান্ড ও জেলা অটোটেম্পু ও অটোরিকশা মালিক গ্রুপ নির্ধারিত বাজার স্টেশন কড়িতলা স্ট্যান্ডসহ অনির্ধারিত শতাধিক স্ট্যান্ড থেকে চলাচল করছে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রামাঞ্চলে। তিনচাকার এই যানবাহনগুলো দ্রুত গতির হওয়ায় যাত্রীদের চলাচলে পছন্দনীয় হয়ে ওঠায় প্রতিদিন লক্ষাধিক যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে, কিন্তু এই যানবাহনগুলোর বেশির ভাগই আইনগতভাবে অবৈধ।
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক সহকারী পরিচালকের (এডি-ইঞ্জি) অফিসসূত্র জানায়, সরকারি নিয়ম অনুযায়ি প্রতিবছরেই সিএনজি অটোরিকশাগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করানোর মাধ্যমে ফিটনেস সনদ হালনাগাদ করার কথা। এ ছাড়া ট্যাক্স ও রুটপারমিট প্রতিবছরে হালনাগাদ করা না হলে রেজিস্ট্রেশন অবৈধ হিসেবে গণ্য করা হয়। রেজিস্ট্রেশন গ্রহণ করা ও রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করা জেলার সাড়ে পাঁচ হাজারটি সিএনজি অটোরিকশারই ফিটনেস, ট্যাক্স ও রুট পারমিট হালনাগাদ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু চলতি বছর এ পর্যন্ত মাত্র এক হাজারটির ফিটনেস, ট্যাক্স ও রুট পারমিট হালনাগাদ করা হয়েছে। বাকি সাড়ে চার হাজারটি ফিটনেস ও কাগজপত্র হালনাগাদ করেনি। জানা গেছে, অনেক সিএনজির গ্যাস সিলিন্ডার নকলও রয়েছে। যেটা যে কোনো সময় বোমার মতো ফেটে গিয়ে যাত্রীদের জীবন নাশের কারণ হতে পারে। এ কারণেও অনেকে সিএনজি মালিক বিআরটিএর শরণাপন্ন হচ্ছে না।
বিআরটিএর হিসাব অনুযায়ী চলতি বছরের শুধু আগস্ট মাসেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে প্রায় সিএনজি অটোরিকশা থেকে প্রায় ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা করা হয়েছে। মামলা প্রদান করা হয়েছে অন্তত ৯৮টির বিরুদ্ধে।
সিরাজগঞ্জ জেলা অটোটেম্পু ও অটোরিকশা মালিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ জানান, জেলার পাচটি সমিতির আওতায় অন্তত সাড়ে পাচ হাজার সিএনজি অটোরিকশা রয়েছে। এর মালিকদের সচেতনতার অভাবেই অধিকাংশ সিএনজি অটোরিকশার কাগজপত্র ও ফিটনেস হালনাগাদ করা হচ্ছে না। আমরা প্রতিটি মালিক সমিতিই আমাদের সদস্যদের যানবাহনের কাগজপত্র ও ফিটনেস হালনাগাদ করার জন্য বলেছি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক অফিসের সহকারী পরিচালক (এডি-ইঞ্জি) আলতাব হোসেন জানান, অবৈধ যানবাহনের দৌরাত্ম্য বন্ধে আমাদের অফিস থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। কিন্তু এই অভিযান যথেষ্ট না। আমরা প্রতিদিনের অফিস ওয়ার্ক শেষে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় যে সময় পাই তা অত্যান্ত নগণ্য। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় প্রয়োজনীয় জনবলেও ঘাটতি রয়েছে। তারপরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি আইন অমান্যকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।