বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশাল সিটি করপোরেশন ভবনে স্থাপিত মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের বুথে করের টাকা জমা নিয়ে গরমিলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত জানুয়ারী থেকে এ পর্যন্ত ১৩ জন গ্রাহক তাদের টাকা উধাও হবার অভিযোগ জানিয়েছেন নগর ভবনে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বুথে দায়িত্বরত কর্মকর্তা বদল করা হলেও কোন পরিত্রাণ পাওয়া যায় নি। তবে বুথে বর্তমান দায়িত্বরত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিল পরিশোধের শেষ সময়ে একদিনে সহস্রাধিক গ্রাহকের বিল গ্রহণ করতে হয়। তখন এ ধরনের কিছু ভুল হতে পারে। পরে গ্রাহকের অভিযোগ পেলে তারা সংশোধন করে দিচ্ছেন।
জানা গেছে, সর্বশেষ গত মঙ্গলবার তিনজন গ্রাহক একই অভিযোগ জানিয়েছেন নগর ভবনে। নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা ফয়জুর রহমান বলেন, প্রায় ৬ মাস আগে তিনি নগর ভবনের বুথে ২০১৭-১৮ বছরের হোল্ডিং বিল বাবদ ১২৬০ টাকা পরিশোধ করেন। একমাস আগে নগর ভবন থেকে ২০১৮-১৯ বছরের হোল্ডিং বিলের সাথে ২০১৭-১৮ বছরের কর বকেয়া দেখিয়ে তাও পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। ব্যাংক থেকে দেওয়া পরিশোধের রশিদের কপি নিয়ে তিনি গত ১৫ দিন আগে নগর ভবনে গিয়ে এ বিষয়ে অভিযোগ জানান। তখন নগর ভবনের আদায় শাখা থেকে তাকে জানানো হয়, বুথ থেকে বিল পরিশোধের কপি না পাওয়ায় নগর ভবনের লেজারে হোল্ডিং বকেয়া রয়েছে।
হোল্ডিং বিল বাবদ নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পলিটেকনিক এলাকার বাসিন্দা নাসরিন নাহার লিজা ১৬,৪০৩ টাকা, একই ওয়ার্ডের জাহানারা বেগম ১৬,২৮১ টাকা, বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান খোকন ১৭,৮২০, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের খান সড়কের আকলিমা বেগমের ৩,৭০০ টাকা নগর ভবনের ব্যাংকটির বুথে পরিশোধ করেছেন। তাদেরকেও ঐসব বিল বকেয়া দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি তা পরিশোধের তাগাদা দিচ্ছে নগর ভবনের কর আদায় শাখা। একই ধরনের অভিযোগ করেছেন ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের নরেন বাবু। এরা সকলে নগর ভবনে মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংকের বুথে টাকা জমা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন।
বিসিসি’র আদায় শাখার অফিস সহকারী নূর হোসেন বলেন, এ পর্যন্ত ১৩ করদাতা তাদের কাছে একই অভিযোগ করেছেন। তারা বিষয়টি মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংকের স্থানীয় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আগামী রোববারের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
বিসিসির একাধিক সূত্র জানায়, টাকা জমা দেওয়ার পর ব্যাংকের কপিটি বুথে দায়িত্বরতরা গায়েব করে ফেলায় বিসিসির লেজারে টাকা জমা হচ্ছেনা। এ অভিযোগ জানার পর দুইমাস আগে বুথ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ও নিরাপত্তা প্রহরী জাকিরকে প্রত্যাহার করে নেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে সিটি করপেপারেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সচিব মো. ইসমাইল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তিনি একটি কর্মশালায় ঢাকায় অবস্থান করছেন। তাছাড়া সিইও’র দায়িত্ব নিয়েছেন অল্পকিছুদিন আগে। তাই পুরো বিষয়টি তিনি অবগত নন। বরিশালে এসে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।