পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন নেই। গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যাত্রা শুরু। এই ঐক্যফ্রন্টের পতাকাতলে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব। আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আসুন সবাই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হই। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে নতুন সংগঠন মুভমেন্ট ফর জাস্টিস- এর আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। বিদ্বেষ ও বিভাজন’ এর রাজনীতির পরিবর্তে জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্য নিয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে নতুন সংগঠন ‘মুভমেন্ট ফর জাস্টিস’। সংগঠনটি প্রধান সমন্বয়ক সাবেক ছাত্র দল নেতা সানাউল হক নীরু এই নতুন সংগঠনের ঘোষণা দেন।
১২ দফা লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ তুলে ধরেন নীরু বলেন, আমরা রাজনীতির গুনগত পরিবর্তন চাই। একটি ইতিবাচক গণতান্ত্রিক ও সুস্থধারার রাজনীতির চর্চা চাই। আমরা এই পরিবর্তনের প্রত্যাশা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গণতান্ত্রিক ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সাথে যুক্ত হতে চাই। দলের জন্য ছাত্রজীবন থেকে কাজ করে যাওয়া নীরু নিজের দুঃখ-বেদনার কথা বলতে গিয়ে এক পর্যায়ে আবেগপ্রবন হয়ে পড়েন। ৮০‘ দশকের শেষ দিকে ডাকসু নির্বাচনের আগে ছাত্র দল থেকে নীরু বহিস্কার হন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ড. কামাল হোসেন থাকার কথা থাকলেও তিনি অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি। তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেছেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের ‘মুক্তিযুদ্ধ’ চলবে। আমরা সকলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আছি।
গণস্বাস্থ্য কেেেন্দ্রর প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, কেউ যদি সমালচনা করে সে কি রাষ্ট্রদ্রোহী? আমি একটা কথা বলেছিলাম কথাতে শব্দের ভুল ছিল। আমি তারপরেও ভুল স্বীকার করেছি। তাই বলে কি আমি রাষ্ট্রদ্রোহীতা করেছি? তার মানে রাষ্ট্র এখন মানসিক গ্রস্ত এবং আমরা মানসিক গ্রস্ত হয়ে পড়েছি । আমাদের চোখে ছানি পড়ে গেছে আসল জিনিসটা দেখতে পাচ্ছি না। জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা গণতন্ত্রের কথা বলছি, কিন্তু গণতন্ত্র গণহীন হয়ে পড়েছে। শুধু সংখ্যা দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে না। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে। জনগণের সামনে উপস্থিত হতে হবে। বিভিন্ন দলের জনগণের সামনে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। তিনি বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকাল কাটিয়ে উঠতে হলে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচনে সবাইকে সমঅধিকারে অংশগ্রহণ করতে দিতে হবে। নির্বাচনে অংশ গ্রহন করলাম মিটিং মিছিল করতে যাওয়ার আগে আমাকে আটক করা হলো। হামলা মামলা করা হলো। এতে তো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন তিনি দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন। আগে কি হয়েছে ভুলে যান। এখন সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, প্রতিদ্ব›িদ্বতামূলক নির্বাচন চাই, ওনাকে আমি যথেষ্ট পরিমাণ বিশ্বাস করি কিন্তু উনার চারিপাশে যে চাটুকারিতার লোক আছে তারা হয়তো এদিক সেদিক করছে।
তিনি বলেন, হাসিনা দেশের যথেষ্ট উন্নয়ন করেছেন। পদ্মা সেতু করছেন। যদিও ৮ হাজার কোটি টাকা যেখানে লাগবে সেখানে ৩৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে।
ডা. জাফরুল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, শেখ হাসিনা নির্বাচনে হারলেও জেলে যাবে না এটা আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি। তিনি বলেন, আমি যদি এই প্রক্রিয়ার সাথে থাকি আর হাসিনা যদি নির্বাচনে হারে তাহলে সে জেলে যাবে না। তার যথাযথ বিচার হবে। তিনি জামিন পাবেন। খালেদা জিয়ার উপরে যে অন্যায় অত্যাচার হচ্ছে তার উপরে হবে না। একই জিনিস যদি পুনরাবৃত্তি হয়। তাহলে দেশে শান্তি আসবে কোথা থেকে। এসময় দেশের সকল সংগঠন ও জনগনকে আহবান করে তিনি বলেন, আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করি। আপনারা সবাই যদি এই ঐক্যে যোগ দেন তাহলে এই কাজটা আরও সহজে করা যাবে।
আয়োজক সংগঠন মুভমেন্ট ফর জাস্টিস এর প্রধান সমন্বয় সানাউল হক নীরুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আসিফ নজরুল, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আবম মোস্তফা আমিন, সাবেক ছাত্র নেতা এনামুল হক শহীদ, সাংবাদিক রিতা রহমান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।