Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসি মাহবুবের পদত্যাগ চায় ১৪ দল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের পদত্যাগ দাবি করেছে ১৪ দল। ক্ষমতাসীন জোটের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, মাহবুব তালুকদার সাংবিধানিক পদে থেকে অসাংবিধানিক কথা বলায় তার দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া উচিত।
গতকাল ১৪ দলের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবির কথা জানান। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
নাসিম বলেন, সাংবিধানিক পদে থেকে নির্বাচন কমিশনের গোপনীয় বিষয় নিয়ে প্রকাশ্য কথা বলা সংবিধান পরিপন্থী। মাহবুব তালুকদার সাংবিধানিক পদে থেকে অসাংবিধানিক কথা বলায় তার দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া উচিত।
পরিক্ষিত গণতন্ত্র বিরোধী শক্তির কথায় বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে চৌদ্দ দলের মূখপাত্র বলেন, সংবিধান অনুযায়ি নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি সরকার দেশ পরিচালনা করবে। এটা সংবিধান নির্ধারিত। কিন্তু বিএনাপি জামায়াত নতুন সাথী নিয়ে অযৌক্তিক দাবি তুলে অশুভ চক্রান্ত শুরু করেছে। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে তারা একটি অবিলাস নিয়ে মাঠে নেমেছে। ১/১১ এর সময় দেশবাসী ড. কামাল হোসেনের ভূমিকা দেখেছে। তিনি তখনকার অনির্বাচিত সরকার সম্পর্কে বলেছিলেন এই সরকার যত দিন ইচ্ছা চালিয়ে যেতে পারবে। এই হচ্ছেন ড. কামাল হোসেন।
ব্যারিস্টার মইনুল প্রসঙ্গে নাসিম বলেন, ব্যারিস্টার মইনুল কে? তিনি সেই লোক, যিনি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে বিশ্বাসঘাতক মোশতাকের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। পরে তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টিও গঠন করেছিলেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট নিয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দিয়েছিলেন তিনিই। সেই মইনুল আজ বিএনপির প্রিয় ও বিশ্বস্ত লোক হয়েছে। আর এখন গণতন্ত্রের কথা বলছেন। এটা গণতন্ত্র উদ্ধার করার নয়, অশুভ শক্তি। এরা পরিক্ষিত গণতন্ত্র বিরোধী শক্তি। এদের কথায় দেশের মানুষ বিভ্রান্ত হবে না।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে উদ্দেশ করে নাসিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সঙ্গে তার সম্পর্ক আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তিনি সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করার অভিপ্রায়ে সেনাপ্রধান সম্পর্কে এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। নির্বাচন বানচাল করার জন্য যারা ষড়যন্ত্র করছেন, তাদের মধ্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন। ১৪ দলের পক্ষ থেকে জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান মোহাম্মদ নাসিম।
পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করলে দেশের মানুষ তাদের প্রতিহত করবে জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, নির্বাচনে আসুন, তাদেরকে নির্বাচনে স্বাগত জানাই। কিন্তু অযৌক্তিক দাবি আদায়ের নামে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করলে দেশের মানুষ তাদের প্রতিহত করবে। নির্বাচন যথা সময়েই হবে, কেউ ঠেকাতে পারবে না।
নির্বাচন সামনে রেখে মহাজোট ছোট বা আরও বড় করা হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেন, এখনই বলা যাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি যদি হয়, সেটি তিনি দেখবেন জোটের পরিসর বাড়ানো যায় কিনা।
জাতীয় পার্টির(জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ১৪ দলের এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ দীলিপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরিফ নূরুল আম্বিয়া, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, ওয়ার্কার্স পার্টি পলিটব্যুরোর সদস্য কামরুল আহসান, গণআজাদি লীগের এসকে সিকদার, আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া। #



 

Show all comments
  • নাম অপ্রকাশ্য ১৮ অক্টোবর, ২০১৮, ১:৫১ পিএম says : 0
    ন্যায় কথা বললেই সংবিধান পরিপন্থি হয়!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ