রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার ৭ ইউনিয়নে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। গত রোববার প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে এ দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়। জানা যায়, আগামী ২৮ মের ৫ম দফা ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থিতা চূড়ান্ত করার জন্য তৃণমূল পর্যায়ে সমাবেশে ডেকে ফরম বিতরণের মাধ্যমে প্রার্থী তালিকা করা হয়। এ সময় ৪নং শাকপুরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় ফরম নেন ১৩জন সম্ভাব্য প্রার্থী, ৫নং সারোয়াতলী ইউনিয়নে ১১জন, ৬নং পোপাদিয়া ইউনিয়নে ৫জন, ৭নং চরণদ্বীপ ইউনিয়নে ১৩জন, ৮নং শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নে ৪জন, ৯নং আমুচিয়া ইউনিয়নে ৫জন এবং ১০নং আহল্লা-কড়লডেঙ্গা ইউনিয়নে ১৪জনসহ সর্বমোট ৬৫জন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে নতুন পুরাতন মিলিয়ে যারা ফরম সংগ্রহ করেন তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানান এলাকার তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। কিন্তু আমুচিয়া ইউনিয়নের বেলায় এ চিত্রটি যেন ভিন্ন থেকে ভিন্নতর। জানা যায়, এবারের নির্বাচনে ০৯নং ইউনিয়নে তৃণমূল সভায় মনোনয়ন বাচাই ফরম নেন ৫ জন। এদের মধ্যে তিনজন আওয়ামী রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত। অপর দু’জনের মধ্যে অজিত বিশ্বাস বোয়ালখালী পূজা কমিটির সভাপতি, অপরজন কাজল দে শুধু হিন্দু ছাড়া দলীয় কোন পরিচয় তার কখনো ছিল না বলে জানান স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক প্রবীণ ও নবীন নেতাকর্মী। কারণ গত দেড় যুগেও বোয়ালখালীতে আওয়ামী লীগের কোন কমিটি হয়নি। দেড় যুগের পুরোনো এ কমিটির সদস্য হওয়ারও কোন সুযোগ ছিল না। এ দীর্ঘ সময়ের মধ্যে কোন মিটিং, সভা-সমাবেশ হয়নি বলেও জানান তৃণমূলের কর্মীরা। কোন কমিটির সদস্যতো হয়নি বরং স্থানীয় কোন কর্মীর সাথেও তার কোন সখ্যতা ছিল না এ যাবৎ। তবে গত ৫ বছরে চেয়ারম্যানি করে দুর্নীতির আঁখড়া হিসেবে গড়ে তুলতে পারদর্শি ছিল সেই ভূমিদস্যু কাজল দে। এ অপরাধ আড়াল করতে দলীয় পরিচয় দেয়ার জন্য ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র দু-এক নেতাকে। সে জন্য প্রতি মাসে তাদের পেছনে খরচ করতো হাজার হাজার টাকা। এভাবে থাকতে থাকতে এক পর্যায়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এবার ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে দেয়ার ব্যাপারেও মন জয় করে নেয় সিনিয়র নেতাদের। ঠিক যেমন কথা তেমন কাজ। দলের কেউ না হলেও উপজেলার নেতাদের মাধ্যমে পূর্ণ মন জয় করে নেয় জেলা নেতাদেরও। বোয়ালখালীতে নৌকার মাঝি হলেন যারা, উপজেলার ০৪নং শাকপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান মোনাফ। ০৫নং সারোয়াতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বেলাল হোসেন। ০৬নং পোপাদিয়ায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম জসিম। ০৭নং চরণদ্বীপে আওয়ামী লীগ নেতা শামশুল আলম কন্ট্রাক্টর। ০৮নং শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোকারম। ০৯নং আমুচিয়ায় দুই নেতার কথিত ও বানোয়াট আওয়ামী নেতা কাজল দে ও ১০নং আহলা কড়লডেঙ্গা ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ। ৫ম দফায় আগামী ২৮মে বোয়ালখালী উপজেলা ৭ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২ মে, যাচাই-বাচাই ৪-৫ মে, প্রত্যাহার ১২ মে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।